জাতীয় গণফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস বলেছেন, হাসিনার পদত্যাগ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিজয়। যারা ক্ষমতায় বসবেন তাদের মনে রাখতে হবে সবধরনের হত্যা, নির্যাতনকারী এবং লুটেরাদের অবিলম্বে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। মেনন, ইনু, দিলীপ বড়য়াসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে যুক্ত সকলকে গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে।
গত ৬ আগস্ট মঙ্গলবার জাতীয় গণফ্রন্ট এক সমাবেশ পল্টন মোড়ে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, হাসিনাসহ তার মন্ত্রিসভার এবং আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের গণহত্যাকারীদের বিচার চাই। তাদের দেশ ছেড়ে চলে যাবার সুযোগ দেওয়াকে নিন্দা জানান।
সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় সদস্য কামরুজ্জামান ফিরোজ। আরো বক্তব্য রাখেন এড. দেলোয়ার হোসেন, ইফতেখার চৌধুরীসহ মহানগরের নেতৃবৃন্দ।
তিনি আরো বলেন, এক নাগাড়ে ১৬ বছর বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকার মধ্য দিয়ে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহকে কোনঠাসা করে রেখেছে। সরকার বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিসমূহকে নির্যাতন, গুম, খুন চালিয়ে এক নৈরাজ্যিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
হাসিনা ১৬ বছর ক্ষমতায় থেকে ভারতীয় আধিপত্যবাদীর কাছে দেশের স্বাধীনতা বিক্রি করে দিয়েছে। সর্বশেষ ট্রানজিটের নামে করিডোর দিয়েছে। বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী ‘র’ বসে আছে। আমাদের সেনাবাহিনীকে পরিচালনা করছে। ৫৪টি নদীর পানি একতরফাভাবে ভারত নিয়ন্ত্রণ করছে।
আমরা আধিপত্যবাদ ভারত, মার্কিন, চীন, রুশ সাম্রাজ্যবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই। দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিতে হবে। কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্য ও সার, বীজ, পানির মূল্য কমাতে হবে। তিনি আরও বলেণ, সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষা করতে হবে। পাহাড়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বার জনগণের উপরে বাংলাদেশ সৃষ্টির শুরু থেকে গুম, খুন, নির্যাতন জারি আছে। সেখানে অঘোষিত সেনাশাসন চলছে। দ্রুত সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সরকার পরিবর্তন হয় কিন্তু শ্রমিক-কৃষক মেহনতি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় না। জাতীয় গণফ্রন্ট চায় নিরন্ন শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত জনগণের মৌলিক অধিকার ও সভা সমাবেশ বাক-ব্যক্তি ও সংগঠন, অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বাসস্থানের অধিকার। এড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পরিবর্তন হয়েছে তবে শ্রমিক-কৃষকের কাজের মধ্যে দিয়ে নিজেদের সরকার গড়ে তুলতে হবে। খুনি হাসিনার ২৪ সালের ডামি নির্বাচনের দোসর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের অবিলম্বে পদত্যাগ চাই। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে ভিত্তি করে অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে। হাসিনাসহ হত্যা-নির্যাতন ও লুটপাটকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।