ঊনবাঙালের ৪৩তম সাহিত্যসভা অনুষ্ঠিত হয় ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মুক্তি জহির। এবারের থিমেটিক আলোচনার বিষয় ছিল ‘রাষ্ট্র সংস্কারে সাহিত্যের ভূমিকা’। আলোচনা পর্বটি সঞ্চালনা করেন কবি ও আবৃত্তিশিল্পী সুমন শামসুদ্দিন। আলোচনা করেন কবি কাজী জহিরুল ইসলাম ও ঢাকা থেকে আগত কথাশিল্পী নূর কামরুন নাহার। কাজী জহিরুল ইসলাম বলেন, দুভাবে সাহিত্য রাষ্ট্র সংস্কারে ভূমিকা রাখতে পারে। রাষ্ট্র সংস্কার একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এ সময়কালে প্রক্রিয়ার চালিকাশক্তিটি যেন ঝিমিয়ে না পড়ে, হতাশ হয়ে না পড়ে, সেজন্য তাদেও উজ্জীবিত রাখার কাজটি করতে পারে সাহিত্য। অন্যদিকে তারা যেন ভুল পথে না হাঁটেন, মূল স্রোত থেকে বিচ্যুত না হন, সেজন্য দেশের মানুষকে সচেতন রাখা এবং সরকারকে ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরিয়ে দেওয়ার কাজটি করতে পারেন লেখক গোষ্ঠী। নূর কামরুন নাহার প্লেটোকে উদ্ধৃত করে বলেন, আদর্শ সমাজে কবির কোনো জায়গা নেই বলেছেন প্লেটো, যদিও অ্যারিস্টটল তা নাকচ করে দিয়েছিলেন। কবিরা লিখবেন, লেখকেরা লিখবেন, শিল্পীরা তাদের শিল্পকর্ম করবেন, এসবের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের জনগণ অনুপ্রেরণা পাবেন।
স্বরচিত লেখা পাঠ ও আবৃত্তি পর্বে অংশ নেন ঢাকা থেকে আগত মুশতারি বেগম, নাসিমা আখতার, রওশন হক, হাসমত আলী, আহসান হাবীব, জেবুন্নেসা জ্যোৎস্না, এস এম মোজাম্মেল হক, ইমাম চৌধুরী, দেওয়ান নাসের রাজা, ফাহমিদা ওয়াদুদ, নজরুল ইসলাম, মিয়া এম আসকির, নূর কামরুন নাহার ও কাজী জহিরুল ইসলাম।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন সৈয়দ ফজলুর রহমান ও মুজিব বিন হক। পঠিত লেখাগুলোর ওপর আলোচনা করেন কাজী জহিরুল ইসলাম।