২৬ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ০৩:০৮:২২ পূর্বাহ্ন


ঐক্য সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের জয়গান
বিয়ানীবাজার সমিতির বিশাল বনভোজন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৭-২০২৫
বিয়ানীবাজার সমিতির বিশাল বনভোজন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধান অতিথি আতাউর রহমান সেলিম


বর্ণাঢ্য আয়োজন, শিশু-কিশোর, তরুণ- তরুণী, আবাল- বৃদ্ধা- বণীতার পদচারনায় প্রবাসী বিয়ানীবাজারবাসির উপস্থিতিতে সু-শৃঙ্খলভাবে পরিচালিত বনভোজন হয়ে উঠে প্রবাসে একখন্ড বিয়ানীবাজার। বনভোজনে প্রবাসী বিয়ানীবাজারবাসির সৌহার্দ্য- সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন প্রতিফলিত হয়েছে। বিয়ানীবাজার সমিতির ঐতিহ্য অক্ষুন্ন প্রমাণিত হয়েছে বিশাল বনভোজনে। বনভোজনে আগতদের আপ্যায়নে বনভোজন পরিচালনা কমিটির তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত।.বিশেষ করে সমিতির বর্তমান সেক্রেটারি রেজাউল আলম.অপুর র‌্যাফেল ড্রর স্পন্সর সংগ্রহের ভূমিকা সবাইকে অবাক করেছে। বনভোজনের কোন রকম ক্রুটি যাতে না হয় অথবা অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সে দিকে লক্ষ্য রাখা, র‌্যাফেল ড্র টিকেট বিক্রয়ে সতর্ক দৃষ্টি ও অর্থ সংগ্রহে স্বচ্ছতা প্রশংসিত হয়েছে। র‌্যাফেল ড্র বিক্রিতে সমিতির সবাই কাজ করেছেন। বিশেষ করে বিয়ানীবাজার সমিতির বর্তমান সহ সভাপতি ও আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী মুহিবুর রহমান রুহুল এবং বিয়ানীবাজার সমিতির বর্তমান কোষাধ্যক্ষ আসন্ন নির্বাচনে সেক্রেটারি পদের প্রার্থী আব্দুল হান্নান দুখুর ভূমিকায় প্রায় ১৭/১৮ হাজার ডলার সংগৃহীত হয়েছে। বনভোজনকে সফল করতে বর্তমান সভাপতি আব্দুল মান্নানের ভূমিকাও ছিলো প্রশংসনীয়।

গত ১৪ জুলাই বিয়ানীবাজার সমিতির বনভোজন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি লংআইল্যান্ডের হেমস্টেট পার্কে অনুষ্ঠিত হয়। বনভোজনকে ঘিরে আড্ডা, সৌজন্যতা, বাচ্চাদের দৌড় ঝাঁপ, মানুষের স্বত:স্ফূর্ত উপস্থিতি এক সময় পুরো এলাকা একখন্ড বিয়ানীবাজারে পরিণত হয়। নানা আয়োজনের মধ্য খেলাধুলা ও সর্বস্তরের উপস্থিত বনভোজন যেন মিলনসেলায় রূপান্তরিত হয়। হাসি- আনন্দে সবাইকে যেন একাকার হয়ে যান। বনভোজন বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলোর মধ্যে বাচ্চাদের দৌড়, পুরুষদের ফুটবল খেলা, মোরগ লড়াই এবং মহিলাদের পিলো খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বনভোজনে বিয়ানীবাজার সমিতির ইতিহাসে প্রথম সবচেয়ে বেশি র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যাফেল ড্রতে ৩১ ধরনের পুরস্কার ছিল। এর মধ্যে একটি সুপার মার্কেটের ২ টি ডিসকাউন্ট কুপন মিলে ৩৩টি র‌্যাফেল ড্র’র পুরষ্কার। প্রতিটি র‌্যাফেল ড্র টিকেট মূল্য ছিল ৫ ডলার।

খেলাধুলা ও দুপুরের খাবার শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মান্নান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম অপু। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির বর্তমান সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী, সোসাইটির সিনিয়র সহ সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহ সভাপতি কারুজ্জামান কামরুল, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, বর্তমান সভাপতি (একাংশের) বদরুল হোসেন খান, উপদেষ্টা মোজাহিদুল ইসলাম, গহর চৌধুরী কিনু, এনা চৌধুরী, বেলাল উদ্দীন ফখরুল, ফখর উদ্দীন, বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিছবাহ আহমদ, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, সাবেক নির্বাচন কমিশনের সদস্য হেলাল উদ্দিন। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম বনভোজনের বিশাল আয়োজন এবং সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকলের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিলো কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠার। সে সেন্টারের খবর অতি শীঘ্রই জানতে পারবেন। তিনি সকলের সাহায্য ও সহযোগিতার আহ্বান জানান। সে সাথে সোসাইটির আজীবন সদস্য হওয়ার আহ্বান জানান। বনভোজনকে সুন্দর ও সাবলীলভাবে সম্পন্ন করার জন্য শামছুল আলম শিপলুকে আহ্বায়ক ইকবাল হোসেনকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট বনভোজন কমিটি ছিল। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন ছিদ্দিক আহমদ, মাসুদুর রহমান ও শরীফ আহমদ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সভাপতি আব্দুল মান্নান, সহ সভাপতি মুহিবুর রহমান রুহুল, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম অপু, সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমদ, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান দুখু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল কবির রুবেল, ক্রীড়া সম্পাদক জামিল আহমদ (জাফরুল), সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফয়েজ আহমদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হাফছ ফেরদৌস হেলন, কার্যকরি সদস্য মাহবুব উদ্দীন আলম, মোহাম্মদ আমিন উদ্দীন, রেজওয়ান আহমদ, ফরহাদ হোসেন। শেষ বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবাসের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সবশেষে সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম অপু সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং সভাপতি বনভোজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন