০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৩:১৩:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


চীন ভারত নয় মাতারবাড়ী বন্দর নির্মাণের দায়িত্বে জাপান
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-১০-২০২৪
চীন ভারত নয় মাতারবাড়ী বন্দর নির্মাণের দায়িত্বে জাপান মাতারবাড়ী বন্দর


সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হচ্ছিল আওয়ামী লীগ সরকার বা শেখ হাসিনা। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ কাজ কাকে দিবে বাস্তবায়নে। ভারত চাচ্ছিল, চীনও। এ দোটানায় কেটেছে বহু সময়। পরিশেষে, অন্তর্বর্তী সরকার দিয়েছে সিদ্ধান্ত। ওই দুই দেশের কাউকেই দেয়া হয়নি, মাতারবাড়ী প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করবে জাপান। 

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর যৌথ অংশীদার হতে না পারলেও মাতারবাড়ী বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ভারত ও চীন। এ দুই দেশের প্রতিযোগিতার কারণে দীর্ঘদিন গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ আটকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত জাপানের অর্থায়নই হচ্ছে ১৮ হাজার কোটি টাকার এ বন্দর। আর প্রতিযোগী দুই দেশকে হাতে রেখে তৃতীয় একটি দেশকে দিয়ে বন্দর নির্মাণের কৌশলকে কূটনৈতিক বিজয় হিসেবেই দেখছেন ব্যবসায়ীরা।

গত ৭ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

গভীর সমুদ্রবন্দর প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, গভীর সমুদ্রবন্দর চীন না ভারত করবে এটা নিয়ে টানাপোড়েন ছিল। তবে জাপান সহজ শর্তে ঋণ দেয় তাই জাপানই গভীর সমুদ্রবন্দরে অর্থায়ন করবে। আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেছি। জাপান ফান্ড করবো। জাপান আমাদের সহজ শর্তে ঋণ দেয়। জাপানের অর্থায়নের প্রকল্প সময় মতো শেষ হয়। প্রকল্পের অর্থ বেঁচে গেলে সেই অর্থ অন্য প্রকল্পে দিয়ে দেয়।’

প্রকল্প প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রকল্পের অধীনে একটি ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ, একটি ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার জাহাজ বার্থিং জেটি, ৩৫০ মিটার চওড়া এবং ১৬ মিটার গভীরতার ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেল নির্মাণ, উত্তর দিকে ২ হাজার ১৫০ মিটার এবং দক্ষিণ দিকে ৬৭০ মিটার লম্বা ঢেউ নিরোধক বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

এছাড়া তিনটি টাগবোট, একটি পাইলট বোট, একটি সার্ভে বোটসহ কার্গো হ্যান্ডেলিং ইক্যুইপমেন্ট টিওএস অ্যান্ড সিকিউরিটি সিস্টেম ক্রয় করা হবে। এছাড়া জাতীয় মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য ২৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে।

শেয়ার করুন