৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৮:০৩:২৩ অপরাহ্ন


সাংবিধানিক শূন্যতা সংকট ঘনীভূত করবে
খন্দকার সালেক
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১০-২০২৪
সাংবিধানিক শূন্যতা সংকট ঘনীভূত করবে জাতীয় সংসদ ভবন


ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সরকার পতনের পর বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। বলা হয়েছে, সেনাসমর্থিত কনস্টিটিউশনাল সরকার। কনস্টিটিউশন বহাল রেখে রাষ্ট্রপতির কাছে কনস্টিটিউশনের অধীনে শপথ নিয়েছে সরকার। সর্বোচ্চ আদালতের রেফারেন্স নিয়ে সংসদ বাতিল করেছেন প্রেসিডেন্ট।

জাতীয় সংসদের স্পিকার পদত্যাগ করেছেন। ডেপুটি স্পিকার গ্রেফতার হয়ে বন্দি আছেন। রাষ্ট্রপতি একজন শীর্ষস্থানীয় সম্পাদকের সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা ছেড়ে দেশত্যাগের আগে পদত্যাগ করেছেন এই মর্মে কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই। অথচ রাষ্ট্রপতি ৫ আগস্ট তার দফতরে তিন উপস্থিতিতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন এবং তিনি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

রাষ্ট্রপতির স্ববিরোধী উক্তির কারণে তার পদত্যাগ বিষয়ে জোরালো দাবি উঠেছে। কিন্তু একই সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রপতি এই মুহূর্তে পদত্যাগ করলে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। যেহেতু বর্তমানে সেনা শাসন বা জরুরি অবস্থা জারি হয়নি, বর্তমান সরকার বিপ্লবী সরকার নয় সরকারের বৈধতা প্রশ্নের মুখে পড়বে। বিএনপির মতো শীর্ষ রাজনৈতিক দল বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। ওপর শীর্ষ দল করে জামায়াত স্পষ্ট করে কিছু বলছে না। তাই এই মুহূর্তে পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে।

পুলিশ বাহিনী এখনো অনেকটা নিষ্ক্রিয়, বেসামরিক শাসনব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর নয়। নানা দাবি আর আন্দোলনে বিপর্যস্ত সরকারি সংস্থাগুলো। সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে আস্থাহীনতা। নানা সংকটে বিপর্যস্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বাজার সিন্ডিকেট, সড়ক পরিবহন সিন্ডিকেট সক্রিয়, দ্রব্যমূলের অগ্নিমূল্য নাভিশ্বাস তুলছে, জ্বালানি বিদ্যুৎ সংকট চোখ রাঙাচ্ছে। এ মুহূর্তে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হলে প্রক্রিয়াশীল চক্র ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবে। তাই যা কিছু করার গভীরভাবে ভেবেচিন্তে করতে হবে. আইন উপদেষ্টার কথায় কিন্তু বিভেদের ইঙ্গিত মিলেছে। উনি এভাবে জনসমক্ষে কথা না বললেই ভালো ছিল। যাহোক আমরা চাই সরকার দ্রুত মৌলিক কিছু সংস্কার করে নির্বাচনের পথনকশা ঘোষণা করুক। আর যদি নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিতেই হয়, সেটি যেন সব অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করে সর্বজনসম্মত ব্যক্তিত্বকে দেওয়া হয়। আমরা একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই, যেখানে সবার সমান অধিকার থাকবে, সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। আর কোনোদিন কোনো স্বৈরাচার ও দুরাচার থাকবে না।

শেয়ার করুন