০৯ নভেম্বর ২০১২, শনিবার, ৬:১২:২৬ অপরাহ্ন


অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পিত সংস্কার অবশ্যই টেকসই হতে হবে- ভলকার টার্ক
দেশ অনলাইন
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১০-২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পিত সংস্কার অবশ্যই টেকসই হতে হবে- ভলকার টার্ক


জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টার্ক আজ  টেকসই সংস্কারের  উপর  জোর দিয়ে বলেছেন, গত কয়েক দশকের ক্ষমতার অপব্যবহাররোধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পিত সংস্কার অবশ্যই টেকসই হতে হবে।

বাংলাদেশে তার দুই দিনের সরকারি সফর শেষে  এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘এবার, ন্যায়বিচার থাকতে হবে। এবারের সংস্কার অবশ্যই টেকসই হতে হবে, যাতে গত কয়েক দশকের অপব্যবহারের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’ টার্ক মৌলিক কিছু পরিবর্তনের জন্য দেশের বর্তমান সুযোগের কথা তুলে ধরে বলেন, মানবাধিকারের  আলোকে শাসন, উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক নীতির সেতুবন্ধনে একটি নতুন পথ নির্ধারণ করা যেতে পারে।

তিনি বিভাজন, বৈষম্য এবং দায়মুক্তির অবসানের লক্ষ্যে একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপনের জন্য সাম্প্রতিক সামাজিক আন্দোলনে অনুপ্রাণিত উচ্চতর প্রত্যাশাগুলোর কথা  উল্লেখ করেন।

‘বৈষম্য, প্রতিশোধ ও প্রতিশোধের চক্র, প্রান্তিকতা, দুর্নীতি এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনকে অবশ্যই পিছনে ফেলে আসা  উচিত’ বলে  তিনি মন্তব্য করেন। এগুলোর মধ্যে  নিহিত বিষয়গুলোর ধারাবাহিকতা ভেঙে ফেলার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েই এ মন্তব্য করেন ভলকার টার্ক।

হাইকমিশনার এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে তার কার্যালয়ের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সফল করতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় সবকিছু করতে প্রস্তুত।’ তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়ে মানবাধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতার কথা  পুনর্ব্যক্ত করেন।

তুর্ক প্রধান উপদেষ্টার আইন প্রয়োগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার স্বীকৃতি এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরনের গুরুতের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বিচার বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, প্রশাসন, পুলিশ, সাংবিধানিক বিষয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সংস্কারের সুপারিশ করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী  সরকারের  দ্রুত বিভিন্ন সংস্কার  কমিশন গঠনের প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন,  স্বাস্থ্য, গণমাধ্যম, শ্রম অধিকার এবং নারী বিষয়ক সমস্যা সমাধানের জন্যও আরো  কমিশন গঠন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ভলকার টার্ক বলেন, “ বেশ কয়েকজন কমিশনারের সাথে আমার আজকের আলোচনায় আমরা  আস্থা স্থাপনের গুরুত্ব, অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং অন্যান্য দেশের যারা একই ধরনের সমস্যায় জর্জরিত তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ যে শিক্ষা নিতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, এই সমস্ত সংস্কার বাংলাদেশে কয়েক দশকের তীব্র রাজনৈতিক বিভাজন কমিয়ে আনার এবং গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে দুর্বলকারী পৃষ্ঠপোষকতার রাজনীতিকে দমন করার জন্য একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ হতে পারে। তিনি বলেন,‘জুলাই ও আগস্টে নিহত ও গুরুতর আহত আন্দোলনকারী এবং শিশুসহ অন্যান্য মানুষের বিরুদ্ধে নৃশংস সহিংসতার বিচারের চেষ্টা করা অবশ্যই একটি অগ্রাধিকার।’ বাসস।

টার্ক তার দুই দিনের সফর শেষ করার আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং উপদেষ্টাদের সাথে দেখা করেন।
 

শেয়ার করুন