০৯ নভেম্বর ২০১২, শনিবার, ০১:২৩:৪৭ অপরাহ্ন


‘ডব্লিউএইচও আঞ্চলিক পরিচালক সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে অকার্যকর
দেশ অনলাইন
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১০-২০২৪
‘ডব্লিউএইচও আঞ্চলিক পরিচালক সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে অকার্যকর সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল/ফাইল ছবি


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়েমা ওয়াজেদ বর্তমানে ‘নিষ্ক্রিয়’ থাকায় তাকে ছাড়াই সরকার ডব্লিউএইচওর সাথে সরাসরি কাজ করার জন্য সংস্থাটির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, ‘ডব্লিউএইচও আঞ্চলিক পরিচালক সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে অকার্যকর। এছাড়া তিনি পতিত স্বৈরাচার সরকারের পরিবারের সদস্য, পাশাপাশি একাধিক ফৌজদারি মামলা এবং আর্থিক অপরাধে অভিযুক্ত থাকায় আমরা এই সরকার চিঠি পাঠিয়েছে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার চিঠির মাধ্যমে ডব্লিউএইচও-কে জানিয়েছে বাংলাদেশ যেন সায়েমা ওয়াজেদের মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি সংস্থাটির সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং এ বিষয়ে ডব্লিউএইচও-কে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, যেহেতু ডব্লিউএইচও তাদের আঞ্চলিক পরিচালক নিয়োগ করে, তাই বাংলাদেশকে আঞ্চলিক পরিচালকের সাথে সমন্বয় রক্ষা করে ডব্লিউএইচওর সাথে যোগাযোগ করতে হয়।

তিনি আরও বলেন, সায়েমা ওয়াজেদ পতিত স্বৈরাচারীর পরিবারের সদস্য এবং তিনি দেশের জন্য তার সর্বোত্তম চেষ্টা করবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এটি একটি নৈতিক বিষয় কারণ সায়েমা ওয়াজেদ আর্থিক অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত এবং তার ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তার অপরাধ তদন্ত করছে । সুতরাং তাই তার সাথে কাজ করা সম্ভব নয়।

সরকার ডব্লিউএইচওর সাথে সরাসরি কাজ করতে আগ্রহী এবং সংস্থাটিকে এই বিষয়ে তারা কি পদক্ষেপ নিচ্ছে সে সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করার অনুরোধ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শফিকুল আলম।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, দৈনিক কালবেলার একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সরকার জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তদন্তে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলে। কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে, যেখানে দেখা গেছে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সত্য নয়।

তিনি বলেন, এখন সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ-দৈনিক কালবেলা  প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে যেন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

শেয়ার করুন