০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০১:৪৪:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


কলকাতায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ চার নেতা ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার
কলকাতা প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-১২-২০২৪
কলকাতায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ চার নেতা ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, আলম খান মুক্তি ও আব্দুল লতিফ রিপন


‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান বান্দে’ গ্রামে এটা একটা প্রবাদ বাক্য। দেশে লুটপাট, খুন, হত্যা, গুম ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতরা বিভিন্নভাবে পালিয়ে বিদেশে চলে গেছেন। এদের অনেকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে অবস্থান করছেন। এমনই এক অবস্থানে কুকীর্তি করে খবরের শিরোনাম হয়েছেন আওয়ামী লীগের সিলেট অঞ্চলের চার শীর্ষনেতা। সংবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারও করেছে কলকাতার যৌথ বাহিনী। 

জানা গেছে, ভারতে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে সিলেটের চার শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে কলকাতার বিধান নগর কমিশনারেট ও মেঘলায় পুলিশের যৌথ বাহিনী। গত ৮ ডিসেম্বর রোববার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার নিউটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাতেই তাদের মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে নেওয়া হয়েছে।

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার যারা

গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন ও সদস্য ইলিয়াস হোসেন জুয়েল। ধর্ষণের ঘটনায় আরো দুইজন আওয়ামী লীগ নেতা পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিটু।

শিলং পুলিশ জানায়, বাংলাদেশের সিলেট থেকে পালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা শিলংয়ে আসে। সেখানে যে বাসায় তারা অবস্থান করে সেখানেই এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে তারা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছয় জনকে আসামি করে শিলং থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় চার জনকে গ্রেফতার করা হলেও এখনো দুইজন পলাতক রয়েছেন। শিলং পুলিশ আরো জানায়, কলকাতার ওই ফ্ল্যাট থেকে নাসির, মুক্তি, রিপন ও জুয়েল ছাড়াও সুনামগঞ্জের এক ইউপি চেয়ারম্যানকেও গ্রেফতার করেছিল শিলং পুলিশ। পরে সেখানে অবস্থানরত একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা তাদের ছাড়াতে তদবির করেন। 

এরপর মামলার এজাহারে নাম না থাকায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন