পুলিশের উপস্থিতি
নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটস এলাকায় একটি সোনার দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় আবিদ জুয়েলার্স নামের ওই দোকানের সামনের কাচ ভেঙে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
ডাকাতির ঘটনা তদন্ত করছে নিউইয়র্ক পুলিশ (এনওয়াইপিডি)। সরেজমিনে দেখা যায়, আবিদ জুয়েলার্সের সামনে পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। দোকানের সামনে ভাঙা কাচ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। দোকানসংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে আবিদ জুয়েলার্সের মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে দোকানের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনো তথ্যও জানানো হয়নি।
জ্যাকসন হাইটসের ৩৭ অ্যাভিনিউ ও ৭৪ স্ট্রিটে ১৯টি সোনার দোকান রয়েছে। এ এলাকায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মানুষের ব্যাপক সমাগম হয়। সেখানে কেনাকাটা করতে আসা সজীব সরকার বলেন, তিন-চারজনের একটি দল দোকানটির কাচ ভাঙা শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে দোকানের সামনের অংশে রাখা স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
আবিদ জুয়েলার্সের পাশের রেস্তোরাঁ জ্যাকসন ডাইনারের কর্মকর্তা আশিক রহমান বলেন, ‘শক্ত মোটা কাচের দেয়াল ভাঙার শব্দে আমরা আতঙ্কিত এবং হতভম্ব হয়ে পড়ি। যদিও ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ চলে আসে, তবে এ ধরনের ঘটনা নিউইয়র্ক শহরের নানা দিকে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।’ তবে জ্যাকসন হাইটসে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা নতুন বিছু নয়। কয়েক মাস পর পরই এই ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটে। কিন্তু প্রথম কয়েকদিন পুলিশ তৎপর থাকলেও এক সময় ঘটনা চাপা পড়ে যায়। কেউ এটা নিয়ে আর প্রশ্ন তোলে না। বা স্থায়ী সমাধানের পথে যায় না। অথচ জ্যাকসন হাইটসে বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক সংগঠন রয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে কোন ভূমিকা রাখা হয় না। অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করে বলেছেন, তাদের আরো সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। তারা সক্রিয় হলে পুলিশও সক্রিয় হবে এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে এবং পুলিশের টহল আরো বাড়ানো গেলে এই ধরনের ডাকাতির ঘটনা কমে যেতে পারে বলে অনেকেরই অভিমত।