০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:১৫:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


দেশকে মেহজাবীন চৌধুরী
ভাবিনি আমার কাজ হলিউড স্টারদের সঙ্গে প্রদর্শিত হবে
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১২-২০২৪
ভাবিনি আমার কাজ হলিউড স্টারদের সঙ্গে প্রদর্শিত হবে মেহজাবীন চৌধুরী


দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী বর্তমানে অবস্থান করছেন সৌদি আরবের জেদ্দায়। চলমান ‘রেড সি আন্তর্জাতিক উৎসব’-এর প্রতিযোগিতা বিভাগে থাকা ‘সাবা’ চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। এই সিনেমা ও উৎসবের অভিজ্ঞতা নিয়ে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। জেদ্দায় বসে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আলমগীর কবির

প্রশ্ন: রেড সি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণ সম্পর্কে আপনার অনুভূতি কেমন?

মেহজাবীন চৌধুরী: এটি এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। যখন দেখি, আমার প্রথম সিনেমা ‘সাবা’ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে, তখন নিজেকে খুব গর্বিত অনুভব করি। বিশেষত, স্পাইক লি যিনি জুরি প্রধান, তিনি সিনেমাটি দেখেছেন-এটা সত্যিই বিশাল সম্মানের বিষয়। আমি এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না, এটি ছিল এক দারুণ অভিজ্ঞতা।

প্রশ্ন: ‘সাবা’ সিনেমার প্রদর্শনীতে উপস্থিত দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?

মেহজাবীন চৌধুরী: প্রদর্শনী শেষে দর্শকদের উচ্ছ্বাস দেখে আমি অভিভূত। তারা সিনেমার গল্প এবং আমার অভিনয় খুবই প্রশংসা করেছেন। বিশেষত, ‘সাবা’ একটি ইউনিভার্সাল স্টোরি, এবং আমি খুব খুশি যে, বিভিন্ন দেশের দর্শকরা এই গল্পকে গ্রহণ করেছেন। এটি আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন।

প্রশ্ন: সিনেমা প্রদর্শনীর দিন লাল শাড়ি পরেছিলেন, এটি কি কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল?

মেহজাবীন চৌধুরী: হ্যাঁ, আমি আগে থেকেই ঠিক করেছিলাম যে, রেড সি উৎসবে ‘সাবা’ প্রদর্শনীর দিন আমি লাল শাড়ি পরবো। এই শাড়ি দেখতে অনেকেই প্রশংসা করেছেন এবং পাকিস্তানি ও ভারতীয় সাংবাদিকরা আমাকে জানিয়েছেন যে, লাল শাড়িটি তাদের খুব ভালো লেগেছে। এটি আমার জন্য খুব আনন্দের বিষয়।

প্রশ্ন: সাবা চরিত্রটি আপনার বাস্তব জীবন থেকে কতটা আলাদা ছিল?

মেহজাবীন চৌধুরী: ‘সাবা’ চরিত্রটি আমার বাস্তব জীবন থেকে অনেক আলাদা। সাবা অনেক বেশি স্পন্টেনিয়াস, সাহসী এবং জটিল। যখন আমি এই চরিত্রটি পোর্ট্রে করতে শুরু করি, আমি চেষ্টা করেছি যেন কোনোভাবেই আমার ব্যক্তিগত জীবন এতে মিশে না যায়। চরিত্রটি আমাকে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করেছে, এবং এই জটিলতা আমাকে অভিনয়ে আরো আকৃষ্ট করেছে।

প্রশ্ন: এর আগেও বেশ কিছু চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছেন। এর মধ্যে আপনার জন্য কোনটি সবচেয়ে স্মরণীয় ছিল?

মেহজাবীন চৌধুরী: আমি অনেক উৎসবে গিয়েছি, কিন্তু বিশেষভাবে টরন্টো এবং বুশান চলচ্চিত্র উৎসবগুলো আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কখনো ভাবিনি যে, আমার সিনেমা হলিউড স্টারদের সিনেমার সঙ্গে প্রদর্শিত হবে। এটি আমার জন্য একটি স্বপ্নের মতো এবং এখন রেড সি উৎসব-এগুলো সবই আমার জন্য এক বিশাল অভিজ্ঞতা।

প্রশ্ন: ভবিষ্যতে আপনার পরিকল্পনা কী?

মেহজাবীন চৌধুরী: ভবিষ্যতে আমি আরো নতুন ধরনের কাজ করতে চাই। আমি চাই না শুধু রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করতে, বরং আমি চাই নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে এবং নিজের সীমা ছাড়িয়ে যেতে। আমার লক্ষ্য হলো, প্রতিটি কাজের মাধ্যমে আমি নতুন কিছু উপস্থাপন করতে পারি এবং মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের তরুণ নির্মাতাদের জন্য কোনো বার্তা দিতে চান?

মেহজাবীন চৌধুরী: আমি চাই বাংলাদেশের প্রতিটি ট্যালেন্ট তাদের সুযোগ পায় এবং সাহসিকতার সঙ্গে তাদের গল্পগুলো উপস্থাপন করে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে আরো শক্তিশালী করা এবং আমি বিশ্বাস করি, একদিন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে একটি শক্তিশালী জায়গা দখল করবে।

প্রশ্ন: রণবীর কাপুরের সঙ্গে সেলফি তোলার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

মেহজাবীন চৌধুরী: রণবীর কাপুরের মতো একজন ভার্সেটাইল অভিনেতার সঙ্গে ছবি তোলা আমার জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত ছিল। সাধারণত, আমি একটু লজ্জা পাই, তবে তার সঙ্গে একটি ছবি তোলা সত্যিই একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। তিনি একজন অসাধারণ অভিনেতা এবং তার সঙ্গে কাজ করার বা ছবির সুযোগ পাওয়াটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়।

শেয়ার করুন