১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, রবিবার, ০৭:২২:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘সহিংসতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসার একমাত্র উত্তর ভালোবাসা’ বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে- ড. ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ৩-দিনব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব’ সুন্দরবন দিবসের বিষয়ে তরুণ প্রজন্ম কিছুই জানে না! ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন দুবাই পৌঁছেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়া প্রতিষ্ঠা করে গেছে- ড. ইউনূস মানবাধিকার লঙ্ঘনে শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত- ভলকার টার্ক হজযাত্রীদের সঙ্গে শিশুদের নিতে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞা


ট্রাম্প প্রশাসনের ডিপোর্টেশন নীতির বিরুদ্ধে এসিএলইউর মামলা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০১-২০২৫
ট্রাম্প প্রশাসনের ডিপোর্টেশন নীতির বিরুদ্ধে এসিএলইউর মামলা


আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ), ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া এসএলইউ এবং নিউইয়র্ক সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ২১ জানুয়ারি ট্রাম্প প্রশাসনের দ্রুত ডিপোর্টেশন (ফাস্ট-ট্র্যাক ডিপোর্টেশন) নীতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। নাগরিকদের সুবিচার পাওয়ার অধিকার খর্ব করার অভিযোগে এই মামলা ওয়াশিংটন, ডিসির ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে দায়ের করা হয়েছে। এই মামলা অভিবাসী সম্প্রদায়ের সেবাপ্রদানকারী একটি সংগঠনমেক দ্য রোড নিউইয়র্কের পক্ষে গত ২১ জানুয়ারি দায়ের করা হয়েছে। এসএলইউ এবং মেক দ্য রোড নিউইয়র্ক এর আগেও এই নীতির বিরুদ্ধে মামলা করেছিল।

আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের অভিবাসী অধিকার প্রকল্পের সিনিয়র অ্যাটর্নি আনন্দ বালাকৃষ্ণন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন এ অবৈধ নীতি ব্যবহার করে তার ব্যাপক বিতাড়ন পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে চাইছে এবং কমিউনিটিগুলোকে ধ্বংস করতে চায়। দ্রুত নিষ্কাশন নীতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ট্রাম্প সংবিধান এবং প্রক্রিয়া এড়ানোর একটি ‘চিট কোড’ পেতে চাইছে এবং আমরা একবার আবার এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসেছি। এ নীতি সে অভিবাসীদের লক্ষ্য করে, যারা যুক্তরাষ্ট্রে দুই বছরের বেশি সময় ধরে অবস্থান করেছে, কিন্তু প্রমাণ করতে পারে না যে, তারা অবিরত সেখানে রয়েছে। এ ধরনের নীতি তাদের একটি ন্যায্য শুনানির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবে, যা এফেক্টিভভাবে তাদের অভিবাসন মামলা মোকাবিলার সুযোগ কমিয়ে দেবে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, এই নীতি পঞ্চম সংশোধনীতে সুরক্ষিত ‘ডু প্রসেস’ অভিবাসীদের অধিকার, ইমিগ্রেশন ও ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ প্রসিডিউর অ্যাক্ট লঙ্ঘন করেছে। ‘ডু প্রসেস’ হলো আইনানুগ এবং ন্যায্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করার অধিকার, যা সাধারণত সংবিধান বা আইন দ্বারা সুরক্ষিত। এটি নিশ্চিত করে যে, কোনো ব্যক্তি বা পক্ষকে তাদের জীবন, স্বাধীনতা বা সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার আগে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম সংশোধনীতে এ অধিকার সুরক্ষিত, যার মাধ্যমে সরকারকে ন্যায্যবিচার প্রক্রিয়া প্রদান করতে বাধ্য করা হয়, যাতে নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘন না হয়।

মেক দ্য রোড নিউইয়র্কের সহ-নির্বাহী পরিচালক আরলেনিস মোরেল বলেন, আমাদের দেশে প্রত্যেক ব্যক্তির ‘ডু প্রসেস’ অধিকার রয়েছে। যেসব অভিবাসী নিজেদের এবং তাদের পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে এবং একটি নতুন জীবন শুরু করতে এসেছে, তাদের বিচারকের কাছে যাওয়ার সুযোগ না দিয়ে দ্রুত বিতাড়িত করা শুধু অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াবে এবং তাদের চিরতরে প্রিয়জনদের কাছ থেকে আলাদা করবে।

এসলিউ-ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার সিনিয়র অ্যাটর্নি আর্থার স্পিৎসার বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্রুত নিষ্কাশন সিদ্ধান্ত অরাজক, অন্যায় এবং অমানবিক। আমরা আশা করি, আদালত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে বলবে।

নিউইয়র্ক সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের নির্বাহী পরিচালক ডোনা লাইবারম্যান বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত শত হাজারো মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। এ নীতি আখেরে শিশুদের মা-বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করবে, পরিবারগুলোকে তাদের উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারাতে হবে, ব্যবসাগুলো শ্রমিকশূন্য হয়ে পড়বে এবং অভিবাসী সম্প্রদায়গুলো ধ্বংস হয়ে যাবে।

শেয়ার করুন