১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, রবিবার, ০৫:৩৪:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘সহিংসতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসার একমাত্র উত্তর ভালোবাসা’ বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে- ড. ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ৩-দিনব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব’ সুন্দরবন দিবসের বিষয়ে তরুণ প্রজন্ম কিছুই জানে না! ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন দুবাই পৌঁছেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়া প্রতিষ্ঠা করে গেছে- ড. ইউনূস মানবাধিকার লঙ্ঘনে শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত- ভলকার টার্ক হজযাত্রীদের সঙ্গে শিশুদের নিতে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞা


১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব হিজাব দিবস
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০১-২০২৫
১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব হিজাব দিবস প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব হিজাব দিবস


প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব হিজাব দিবস। মুসলিম নারীদের হিজাব পরিধানের অধিকার এবং স্বাধীনতা উদযাপনের একটি বিশেষ দিন। এদিনটি মূলত মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরিধানের অধিকার রক্ষা এবং তাদের বিরুদ্ধে যে বৈষম্য ও পূর্বধারণা বিদ্যমান, তা দূর করার লক্ষ্যেই পালিত হয়। ২০১৩ সালে নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাজমা খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম এ দিবস পালনের আহ্বান জানান। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশে বিভিন্ন ধর্মের নারীরা হিজাব পরিধান করে দিবসটি উদযাপন করেন। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ১৯০টিরও বেশি দেশে এ দিবসটি পালিত হচ্ছে, যেখানে মুসলিম ও অমুসলিম নারীরা হিজাব পরিধান করে একে অপরের সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। বিশ্ব হিজাব দিবস সংগঠন ২০২৫ সালের গ্লোবাল ভার্চুয়াল কনফারেন্সের ঘোষণা করেছে, যা হিজাব পরিহিতা নারীদের কণ্ঠ, গল্প এবং অবদান উদযাপন করবে। এবারের থিম ‘হিজাবি নারীরা নীরব নন’, তাদের সহনশীলতা, ক্ষমতায়ন এবং অর্জনের প্রতি আলোকপাত করবে, সেই সঙ্গে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যেমন ইসলামোফোবিয়া এবং লিঙ্গ সমতার বিষয়গুলোও আলোচনা করা হবে। এই কনফারেন্সটি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

কনফারেন্সের সময়সূচি অনুযায়ী, প্রথম সেশনে ‘বিশ্বাস ও ফেমিনিজম : কীভাবে হিজাব নারীদের শক্তিশালী করে তোলে’ নিয়ে আলোচনা সকাল ৯টায় শুরু হবে। এর পরবর্তী সেশনে ‘ইসলামোফোবিয়ার প্রভাব হিজাবি নারীদের ওপর’ আলোচনা সকাল ১০টায় শুরু হবে। পরবর্তী সময়ে ‘নীরবতা থেকে শক্তি : বিরোধিতা অতিক্রম করার ব্যক্তিগত গল্প’ শীর্ষক সেশন বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। শেষ সেশনে ‘হিজাবি নারীরা মানবিক সহায়তার মাঠে’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে দুপুর ১২টায় থেকে।

এ বছরের কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করবেন ওয়াইএকেইর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বাতৌলি কামারা, আফগান নারীর অধিকারকর্মী স্বেতো মুহাম্মদ ইশোক, কর্তারস্টোনের পরিচালক ড. সুজি ইসমাইল, গভর্নমেন্ট সোশ্যাল সেবা নির্বাহী পরিচালক সামরা ইলিয়াস, টাম্পা সিটি ওয়াইএমসিএর সিনিয়র কমিউনিকেশনস পরিচালক কিরণ মালিক খান, সিস্টার ইন ক্যানসার ওয়াইএমএমের প্রতিষ্ঠাতা সুন্দাস শামশাদ, মুসলিম কানেক্টের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীন মাহমুদ এবং ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী ফাদিয়া রিশেক। এছাড়া এ কনফারেন্সে সঞ্চালকদের মধ্যে থাকবেন মানবাধিকারকর্মী শ্রীন মাহমুদ, কন্টেন্ট ক্রিয়েটার এশলে পিয়ার্সন খান, ডাটা সায়েন্টিস্ট এবং লেখক খানসা চেমনাদ, মার্কেটিং ম্যানেজার ও ফ্যাসিলিটেটর হামদা মোহামেদ।

বিশ্ব হিজাব দিবসের এ বৈশ্বিক কনফারেন্সটি নারী ক্ষমতায়ন, সমতা এবং সহানুভূতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে একটি অনন্য সুযোগ। সারাবিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আপনি অনলাইনে যুক্ত হয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলোতে অংশ নিতে পারবেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখার জন্য আপনি WorldHijabDay.com/Live, ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম এবং এক্স-এ যুক্ত হতে পারবেন।

বিশ্ব হিজাব দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো হিজাব পরিধানকারী নারীদের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন প্রদর্শন, হিজাব সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দূর করা এবং নারীর স্বাধীনতা ও মর্যাদার প্রতি সম্মান জানানো। এ দিবসটি হিজাব পরিধানকারী নারীদের অভিজ্ঞতা এবং চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। বিশ্ব হিজাব দিবসের প্রতিপাদ্য হিজাব ইজ আওয়ার ক্রাউন, নট অ্যা ক্রাইম বা হিজাব আমাদের মুকুট, কোনো অপরাধ নয়, বার্তা প্রদান করে। এটি সমাজে সমতা এবং সহনশীলতার প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিশ্ব হিজাব দিবস মুসলিম নারীদের অধিকার এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এ দিবসটি শুধু হিজাব পরিধানকারী নারীদের অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করে না, বরং সমাজে সমতা, সহনশীলতা এবং নারীর স্বাধীনতার গুরুত্বও প্রতিষ্ঠিত করে। এটি নারী স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করে, যা পৃথিবীজুড়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে সহায়ক।

শেয়ার করুন