১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ০৫:০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন


আনন্দ উচ্ছ্বাসে পবিত্র ঈদ উদযাপন
বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় চাঁদরাত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৪-২০২৫
বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় চাঁদরাত চাঁদরাতে মেহেদি দেওয়ার দৃশ্য


চাঁদরাত এখন বাংলাদেশে খুব একটা হয় না। রাজনৈতিক এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে চাঁদরাত উৎসবের মতো করে বাংলাদেশে হচ্ছে না। অথচ এই চাঁদরাত ছিল নতুন প্রজন্মের উচ্ছ্বাস এবং ঈদ বরণের রাত। বাংলাদেশে চাঁদরাতের ইমেজ পাওয়া না গেলে নিউইয়র্কে চাঁদরাতের উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যায়। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ব্রুকলিন এবং ব্রঙ্কসে চাঁদরাতের অনুষ্ঠান করা হয়। বিশেষ করে জ্যাকসন হাইটসের মতো অন্যান্য এলাকাতেও ব্যবসায়িক সংগঠন এবং অন্যান্য সংগঠন এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নানাবিধ কারণে এবার জ্যাকসন হাইটসে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। এর পেছনে অবশ্য কারণও রয়েছে। তবে দুটো জেবিবির কোনোটিই আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করেনি, তা ছিল দুঃখজনক। কমিউনিটির বোর্ডের কয়েকশ অভিযোগ এবং পুলিশের কড়া নির্দেশনার কারণে জেবিবিএ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি। কারণ জেবিবিএর পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা আতশবাজি ফোটায়। গ্রেফতার করার হুঁশিয়ারি দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। কারণ এতো উপস্থিতির মধ্যে গ্রেফতার করতে গেলেই পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিতো। যে কারণে জেবিবিএ অনুষ্ঠান করেনি। কিন্তু তাদের কেউ বারণ করেনি আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করতে! কিন্তু তারা আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করেনি কেন? কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন জেবিবিএ নেতাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ভরপুর থাকলেও ফান্ড অ্যাকাউন্ট নিশ্চয় ফাঁকা বা দেউলিয়া অবস্থা। যে কারণে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়নি।

গান-বাজনা না হলেও উৎসবের কোনো কমতি ছিল না। ৭৩ স্ট্রিট এবং ৭৪ স্ট্রিটজুড়ে ছিল উচ্ছ্বাস-উল্লাসের বহিঃপ্রকাশ। এই দুটি রাস্তার ফুটপাত দখলে চলে যায় হকারদের। আর ডাইভারসিটি প্লাজা! সেখানে তো হাঁটার জায়গাও ছিল না। কপাল ভালো যে পুলিশ সকালবেলায় ৭৩ স্ট্রিট ফাঁকা করে দিয়েছিল। তা না হলে কী হতো! রাতে অন্ধকার যত বাড়তে থাকে, মানুষের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। একসময় লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। ভাগ্য ভালো পুলিশের বড় প্রহরা এবং ঠান্ডা বাতাস ছিল প্রতিপক্ষ হিসেবে। তারপরও উচ্ছ্বাসের কাছে ঠান্ডা এবং পুলিশ পরাজিত হয়েছে। আতশবাজি হয়েছে, তবে কম। ৭৩ স্ট্রিটের ওপর পুলিশের চোখ ছিল, তাই অন্যান্য স্ট্রিট এটা হয়েছে। রাত প্রায় ৩টার দিকে মানুষের উপস্থিতি কমতে থাকে। তবে গান হয়েছে বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রঙ্কসে। স্টেজ করে অনুষ্ঠান হয়েছে। জ্যামাইকায় হিলসাইডের ১৬৮ ও ১৬৯ স্ট্রিট গান হয়েছে। তবে মেহেদী লাগানো এবং কেনাকাটা ছিল সর্বত্র।

শেয়ার করুন