০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৬:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


ভোলা ও আশপাশে সাগরে দুই মাস মাছ ধরা নিষেধ
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৪-২০২৫
ভোলা ও আশপাশে সাগরে দুই মাস মাছ ধরা নিষেধ মাছ ধরার নৌকা


উপকূলীয় জেলা ভোলা ও তৎসংলগ্ন জেলায় বঙ্গোপসাগরে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন অর্থাৎ দুইমান যে কোনো প্রজাতির মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় সরকার জেলেদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল দেবে। 

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, ভোলা জেলায় সমুদ্রগামী জেলেদের সংখ্যা মোট ৬৫ হাজার। এসব জেলেরা আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন সমুদ্রে মাছধরা থেকে বিরত থাকবেন। এ সময়ে সরকার তাদের মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতিবারের মতো এবারও এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩-এর বিধি ৩-এর উপবিধি (১)-এর দফা (ক)তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সরকার, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সব ধরনের মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।’

নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সমুদ্রে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও মৎস্য বিভাগের টাস্কফোর্স তাদের টহল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলেও জানান তিনি। জেলায় সরকারের নির্ধারিত তালিকার বাইরেও সমুদ্রগামী জেলের সংখ্য্য লক্ষাধিক হবে বলে দাবি করেন মৎস্য আহরণে নিয়োজিত জেলে সমিতির নেতারা। ভোলা সদর ইলিশা মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বাদশা মিয়া বলেন, ‘ভোলা থেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া প্রকৃত জেলের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু এসব জেলেদের সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে না।’

ভোলার মেঘনা পাড়ের নাছির মাঝি, জেলেপল্লির সমুদ্রগামী জেলে আবুল হোসেন, জাহাঙ্গীর ও আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিগত স্বৈরাচারের আমলে এ নিষেধাজ্ঞাকালীন চাল দেওয়া হতো না। জেলেদের বাদ রেখে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা জেলেদের চাল লুটপাট করে নিয়ে যেতো। তবে দিনবদলের কারণে এবার নিষেধাজ্ঞাকালীন তারা চাল পাবেন বলে স্বপ্ন দেখছেন।

শেয়ার করুন