মহান আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য আর সন্তুষ্টি লাভের প্রত্যাশায় কোরবানির ত্যাগের মহিমা এবং ফিলিস্তিনীসহ সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনায় নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকায় গত ৬ জুন ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে। ঈদের নামাজ আদায় আর কোরবানির মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের মুসলিম নর-নারী ঈদ পালন করেন। ঈদের জামাতগুলোতে ছিল সর্বস্তরের হাজারো মানুষের ভিড়। সিটির পাঁচ বরোর মসজিদগুলোর উদ্যোগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। আবহাওয়া ভাল থাকায় অধিকাংশ মসজিদের উদ্যোগে খোলা আকাশেষর নিচে ঈদ জামাতে ব্যবস্থা করা হয়। আবার কিছু কিছু মসজিদের ভেতরে একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এই সব ঈদ জামাতে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরও নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। পিএস এবং জুরিয়র মিডল স্কুল বন্ধ থাকায় নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশিদেরও নামাজ আদায় করে বাবা-মার সঙ্গে। বড় বড় জামাতগুলোতে মূলধারার রাজনীতিবিদরা অংশগ্রহণ করেন। নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচন থাকায় তারা মুসল্লিদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন। এই সব ঈদ জামাতে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। বিশেষ করে ফিলিস্তিনি এবং কাশ্মীরে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর হামলার নিন্দা জানানো হয়। একই সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। ঈদের নামাজ শেষে মসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলির মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর অনেকেই ফার্মে গিয়ে পছন্দেওর পশু কোরবানি দেন। আবার অনেকেই স্থানীয় গ্রোসারি এবং সুপার মার্কেটে কোরবানির অর্ডার দেন। কোরবানির মাংস বাসায় এনে পরে সন্ধ্যার দিক আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের মধ্যে বিতরণ করেন। আবার কোনো কোনো প্রবাসী বাংলাদেশে কোরবানি দিয়েছেন। কেউ কেউ বাংলাদেশ এবং আমেরিকায় কোরবানি দিয়েছেন।
প্রতি বছরের মতো এ বছরও নিউইয়র্কে বৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার (জেএমসি) আয়োজিত স্থানীয় টমাস এডিসন স্কুলের মাঠে। সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত এই জামাতে কয়েক হাজার নর-নারী অংশ নেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। জেএমসির জামাতের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- নিউইয়র্ক সিটির আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী ও স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান জোহরান মামদানী, সিটি কাউন্সিলের স্পিকার অ্যাডরিনি অ্যাডামস, সিটির কম্পট্রোলার পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ম্যানহাটান বরো প্রেসিডেন্ট মার্ক লেভিনকুইন্স, নিউইয়র্কের লুটেন্টে গভর্নর অ্যান্তনীয় ডেলগাডো, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডোনবান রিচার্ড, সিটি কাউন্সিলওম্যান নাতাশা উইলিয়ামস ও লিন্ডা লি, সিটি কাউন্সিলম্যান জাস্টিস ব্রানান, স্থানীয় সিটি কাউন্সিলম্যান জিম এফ জিনারো, জেএমসির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. নাজমুল খান, পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. মোহাম্মদ রহমান প্রমুখ। এই পর্ব পরিচালনা করেন সেক্রেটারি আফতাব মান্নান ও জয়েন সেক্রেটারি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার।
জেএমসির ঈদের জামাতে ইমামতি, খুতবা পাঠ এবং বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন ইমাম শামসে আলী। ঈদের জামাত শেষে বিশেষ মোনাজাতে মুসলিম উম্মার ঐক্য, সৌহার্দ্য-সমৃদ্ধি ছাড়াও ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নিপীড়ন-নির্যাতন এবং যুদ্ধ বন্ধ কামনা করা হয়।
জ্যামাইকার দারুস সালাম মসজিদ
জ্যামাইকা দারুস সালাম মসজিদের উদ্যোগে মসজিদের ভেতরে ৪টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়। এই জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব ও ইমাম মাওলানা আব্দুল মুকিত। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। এই জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা..। তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায়। এই জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা..। চুতর্থ এবং শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১০টায়। এই জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা..। শেষ তিান জামাতে মহিলারা নামাজ আদায় করেন। প্রতি জামাত শেষে ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
নিউইয়র্ক ঈদগাহ
নিউইয়র্কের মিনি বাংলাদেশ জ্যাকসনহাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত নিউইয়র্ক ঈদগাহর ঈদ আল আদহার সালাত উদযাপনের মাধ্যমে প্রকৃত আধ্যাত্মিক তৃপ্তিসহ ঐতিহ্যগত ত্যাগ ও মহিমার আনন্দ উপহার দিতে মুসলিম কমিউনিটিকে আরেকটি ঈদ উপহার দিলো নিউইয়র্ক ঈদগাহ! ইসলামি ঐতিহ্যের আসল সৌন্দর্য প্রদর্শনের ধারাবাহিকতায় স্থানীয় অমুসলিম প্রতিবেশীর হক আদায় করতে তাদের প্রতি যত্নবান হয়ে সকাল ৬টার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০ টায় হয় শেষ জামাত। সর্ব মোট পাঁচটি জামাতেই মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।
২০১১ সন থেকে স্থানীয় মোহাম্মদী সেন্টারের আয়োজনে এলাকাবাসী মুসলিম কমিউনিটির দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ করতে নিউইয়র্ক ঈদগাহর নেওয়া এই উদ্যোগকে বিবেকবান মুসল্লিরা ভালো চোখেই দেখছেন। নতুন প্রজন্মসহ সব মুসল্লিকে ইসলামি ঐতিহ্যের ঈদ উপহার দিতে পেরে নিউইয়র্ক ঈদগাহর আনন্দিত।
নিউইয়র্ক ঈদগাহ ঈদ আনন্দ উদযাপনে ইসলামের প্রকৃত তাহজিব ও তমদ্দুন এবং ইসলামি সংস্কৃতির মূল্যবোধ রক্ষা করে এলাকায় ইতিহাস সৃষ্টি জন্য নিউইয়র্ক ঈদগাহর সঙ্গে থেকে একে প্রতিষ্ঠা করে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদের (সা.) সুন্নাহ মোতাবেক আমল করে এবারের আরেকটি ঈদ আল আজহায় শরিক হওয়ার জন্য এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ইমাম কাজী কায়্যূম নিউইয়র্ক ঈদগাহর সব মুসল্লিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ওজোনপার্ক মসজিদসমূহে ঈদের জামাত
আল আমান মসজিদ : সিটি লাইনে ফরবেল স্ট্রিটে অবস্থিত মসজিদ আল আমানে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত সকাল ৭টায়। ইমামতি করেন মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আলী। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায় ও সাড়ে ৯টা। ইমাম ছিলেন যথাক্রমে- মুফতি ইসমাইল ও মুফতি আবু তাহের।
ফুলতলী জামে মসজিদ: একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় পিএস ৬৪ সংলগ্ন প্লেগ্রাউন্ডে। ইমামতি করেন মসজিদের ইমাম ও খতিব মোহাম্মদ আব্দুল আলীম।
আল ফোরকান মসজিদ : ৭৭ স্ট্রিট গ্লিন মোড়ে অবস্থিত আল ফোরকান মসজিদে একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায়। নামাজে ইমামতি করেন ইমাম জাকারিয়া বকর।
মুনা নিউইয়র্ক সেন্টার : ৮০ স্ট্রিট পিটকিন অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত মুনা নিউইয়র্ক সেন্টারে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। ইমামতি করেন মাওলানা আবু উবায়দা।
বায়তুল মামুর মসজিদ ইউক্লিড অ্যাভিনিউ : একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৭ টায়। ঈদের নামাজে ইমাম মতি করেন মসজিদের খতিব মাওলানা দেলোয়ার হোসেন।
জ্যামাইকা : জ্যামাইকার আরাফাহ ইসলামিক সেন্টারের উদ্যোগে নবনির্মিত মসজিদ ভবনে (৮৮-৪৯ ১৭৯ প্লেস, জ্যামাইকা, নিউইয়র্ক ১১৪৩২) ঈদুল আজহার তিনটি জামাত হয় যথাক্রমে- সকাল ৬টায়, সকাল ৮টায় এবং ৯টায়।
মসজিদ মিশন সেন্টারের (হাজি ক্যাম্প মসজিদ) উদ্যোগে ঈদের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সকাল সোয়া ৬টায় এবং সোয়া ৭টায় মসজিদ ভবনে এবং সকাল সাড়ে ৮টায় স্থানীয় মেজর মার্ক পার্কে প্রথমবারের মতো ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আমেরিকা মুসলিম সেন্টারের (এএমসি) উদ্যোগে ঈদের জামাত হয় পাঁচটি। সকাল ৬টা, সকাল ৭টা ও সকাল ৮টায় এএমসি ভবনে এবং সকাল সাড়ে ৯টায় এবং সকাল সাড়ে ১০টায় স্থানীয় রুফস কিং পার্ক মাঠে আরো দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যানহাটনের মদিনা মসজিদের উদ্যোগে একটি জামাত হয় সকাল সাড়ে ৮টায় মসজিদ-সংলগ্ন পার্কে।
মুনা সেন্টার অব জ্যাকসন হাইটসের মসজিদ নামিরায় উদ্যোগে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে- সকাল ৬টা ও সকাল ৮টায় মসজিদসংলগ্ন মাঠে। মুনা সেন্টার অব জ্যামাইকার মসজিদ আর রায়য়ানের ঈদের জামাত হয় দুটি যথাক্রমে- সকাল ৭টা ও সকাল সোয়া ৮টায়।
ব্রুকলিনের বায়তুল জান্নাহ মসজিদের উদ্যোগে ঈদের চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে মসজিদে প্রথম জামাত হয় সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে, দ্বিতীয় জামাত হয় সকাল সোয়া ৬ টায় এবং তৃতীয় জামাত হয় সকাল ৭টায়। এছাড়াও চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হয় মসজিদ সংলগ্ন চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড রাস্তার ওপর সকাল ৮টায়।
এস্টোরিয়া: এস্টোরিয়ার আল-আমীন মসজিদ অ্যান্ড ইসলামিক সেন্টারের উদ্যোগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায় মসজিদসংলগ্ন স্থানীয় ৩৬ স্ট্রিটে (৩৬ ও ৩৭ অ্যাভিনিউয়ের মধ্যে) খোলা রাস্তায়।
লং আইল্যান্ড সিটিতে (এস্টোরিয়া) বসবাসরত প্রবাসীদের উদ্যোগে ইস্ট রিভারের পাশে খেলার মাঠে প্রথমববারের মতো ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়।
ব্রুকলিন বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টারের উদ্যোগে ঈদের জামাত হয় দুটি যথাক্রমে- ৬টায় ও সকাল সাড়ে ৮টায় মসজিদ ভবনে।
ব্রুকলিন ইসলামিক সেন্টার (বিআইসি)-এর উদ্যোগে প্রসপেক্ট পার্ক প্যারেড গ্রাউন্ডের ২ নম্বর মাঠে ঈদের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে- সকাল ৬টা, সকাল ৭টা এবং সকাল ৮টায়।
ব্রুকলিনের নিউকার্ক অ্যাভিনিউয়ের হজরত বেলাল জামে মসজিদে ঈদের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে- সকাল ৭টা, সকাল ৮টা এবং সকাল ৯টায়।
ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার জামে মসজিদের উদ্যোগে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে সকাল ৮টা ও সকাল ৯টায় মসজিদ ভবন ও ভবন সংলগ্ল রাস্তার ওপর।
বাংলাবাজার মসজিদ: ব্রঙ্কসে বাংলাবাজার জামে মসজিদের উদ্যোগে খোলা মাঠে পবিত্র ঈদুল আজহার বিশাল দু’টি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের নিকটবর্তী খোলা মাঠে (পিএস ১০৬, ২১২০ সেইন্ট রেমন্ডস অ্যাভিনিউ, ব্রঙ্কস, নিউইয়র্ক ১০৪৬২।) শুক্রবার সকাল ৮টা এবং সকাল পৌনে ৯টায় এ জামায়াত দুটি অনুষ্ঠিত হয়। কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি এই ঈদ জামাতে অংশ নেন।
প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বাংলাবাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ইয়াহইয়া এবং দ্বিতীয় জামায়াতে ইমামতি করেন হাফিজ বদরুল আলম। তারা ঈদুল আজহার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এবং নামাজ শেষে মুসলিম বিশ্বসহ মানবতার কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া করেন।
মসজিদের সাধারণ সম্পাদক লালন আহমেদের পরিচালনায় জামাতের আগে বক্তব্য রাখেন মসজিদের সভাপতি ডা. আবদুস সবুর। সভাপতি ডা. আবদুস সবুর মসজিদের বহুতল ভবণ নির্মাণ প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে ধরেন। তিনি বলেন, আজকের ঈদুল আজহার দিনে বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার প্রাক্কলিত ব্যয়ে বেসমেন্টসহ ৬তলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা ছিল কিন্তু পর্যাপ্ত ফান্ড সংগৃহীত না হওয়াসহ অনিবার্য কারণে তা এ মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না। পর্যাপ্ত ফান্ড সংগৃহীত হলেই নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মুসল্লির একসঙ্গে নামাজ আদায়, মাদরাসাসহ ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মসজিদের বহুতল ভবণ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্যে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। তিনি দ্রুত সময়ে মসজিদ প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
নর্থ ব্রঙ্কস ইসলামিক সেন্টার অ্যান্ড জামে মসজিদ: নর্থ ব্রঙ্কস ইসলামিক সেন্টার অ্যান্ড জামে মসজিদের উদ্যোগে মসজিদ নিকটবর্তী ওভাল পার্কের খোলা মাঠে ঈদুল আজহার বিশাল ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। ৬ জুন সকাল সাড়ে ৮ টায় অনুষ্ঠিত এ ঈদ জামাতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি এই অংশ নেন। নামাজে ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন মসজিদের ইমাম ও খতিব শায়খ আল্লামা মুহাম্মদ সাইফুল আজম বাবর আল আজহারী। তিনি ঈদুল আজহার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
নামাজ শেষে মিলাদ ও মুসলিম বিশ্বসহ সমগ্র মানবতার কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন শায়েখ আল্লামা মুহাম্মদ সাইফুল আজম বাবর আল আজহারী। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মসজিদ কমিটির সভাপতি সৈয়দ জামিন আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা সৈয়দ জুবায়ের আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া শাহ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহবুব হুসেইন, সহ-কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ রাহুল ইসলাম, কার্যকরি সদস্য সৈয়দ ইসতিয়াক আলী, মো. আব্দুল হক হেলাল, লুৎফর রহমান, হারুনুর রশিদ, নাজমুল খান, মো. আবু সালেহসহ কমিটির কর্মকর্তারা।
আমেরিকান মুসলিম সেন্টারের উদ্যোগে ১১৮ হারবার রোডের পোর্ট ওয়াশিংটন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায়।
হলিস মুসলিম কমিউনিটি সেন্টারের উদ্যোগে স্থানীয় হলিস অ্যাভিনিউ ও ২০৫ স্টিওট সংলগ্ন পার্কে ঈদের জামাত হয় সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা সাহেদ আহমদ।
অন্যদিকে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ বাংলাদেশি অধ্যুষিত যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি, কানেকটিকাট, মেরিল্যান্ড, পেনসিলভানিয়া, ভার্জিনিয়া, ওহাইও, ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলিনা, সাউথ ক্যারোলিনা, জর্জিয়া, মিশিগান, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, অ্যারিজোনা প্রভৃতি স্টেটে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে শুক্রবার পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কানাডায়ও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে।