২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৪:০৪:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


রাষ্ট্রক্ষমতার সংস্কার রাজনীতির প্রধান এজেন্ডা
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৮-২০২২
রাষ্ট্রক্ষমতার সংস্কার রাজনীতির প্রধান এজেন্ডা ২ আগস্ট মঙ্গলবার গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির উদ্যোগে মতবিনিময় সভা/ছবি সংগৃহীত


ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের মতবিনিয়ে বক্তারা বলেছেন, রাষ্ট্রক্ষমতার সংস্কারকে রাজনীতির প্রধান এজেন্ডা বলতে হবে। গত ২ আগস্ট মঙ্গলবার গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির উদ্যোগে মতবিনিময় সভা বক্তারা এসব কথা বলেন। 

জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক প্রস্তাব’ শিরোনামে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাজনৈতিক প্রস্তাব পাঠ করেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৯৬ সালে এরকম একটি নির্বাচন হয়েছিল এবং সে-সরকার সেসময় পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে ২০১৮ সালে মধ্যরাতে ভোট হয়েছে। সরকার ও তার শরীকরা এতটাই নির্লজ্জ যে তারা এখন সেই নির্বাচন নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে। বর্তমান রাজনৈতিক বন্দোবস্তে একটি গোষ্ঠীর হাতে গোটা দেশ ও রাজনীতি বন্দী হয়ে গেছে। এই প্রক্রিয়া বাংলাদেশকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। বর্তমান সংসদের কোনো বৈধতা জনগণের মধ্যে নাই। শুধু শক্তির জোরে টিকে আছে। এই আমলাতান্ত্রিক গোষ্ঠীর শাসনের অবসান করতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে যত বিরোধই থাকুক তাদের অভ্যন্তরীণ ঐক্য এক। আমরা একটা পরিবর্তন চাই, সবাই মিলে এই পরিবর্তনটা উপলব্ধি করতে হবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় পার্টির মহাসচিব নির্বাচন কমিশনে নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন তিনি নিজেই রাতে ভোট করেছেন। তাহলে কোননৈতিকতার বলে তিনি ও অন্যান্য সংসদ সদস্যরা কীভাবে বসে আছেন!

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর আমাদের লক্ষ্য। সমাজ, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রের রূপান্তর আমরা চাই। বর্তমান বাস্তবতা আমাদের সামনে এমন বাস্তবতা হাজির হয়েছে যে একটি নির্বাচনও সম্ভব না। গত ৩০ বছরে শাসকশ্রেণির দলগুলো এই বন্দোবস্ত টিকিয়ে রেখেছে। যারাই ক্ষমতায় গেছে তারাই ক্ষমতাকে ব্যবহার করে টাকা বানানো বন্দোবস্ত করেছে। ক্ষমতার বন্দোবস্ত পরিবর্তনের জন্য শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের আওয়াজ ওঠা খুব জরুরি।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম বলেন, গত ৫০ বছরে জনগণের এজেন্ডা বা রাজনীতির এজেন্ডা সামনে আসেনি। রাষ্ট্রক্ষমতার সংস্কারকে রাজনীতির প্রধান এজেন্ডা বলতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নূরুল হক নূর বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবগুলো একত্রিত করলে আমরা একটি অভিন্ন পথ হয়তো পাবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু বলেন, গত ৫০ বছরে রাজনৈতিক প্রতারণার ইতিহাস বার বার ফিরে এসেছে। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জেএসডি) কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে অনেক সংগ্রাম হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৩/৪ বার নয় বরং স্থায়ী সমাধান দরকার। সংসদে উচ্চকক্ষ তৈরি করা দরকার।

মতবিনিময় সভাটি পরিচালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের অন্যতম সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু। সভায় আরো বক্তব্য দেন  জাতীয় লীগের সভাপতি ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ ও স্বদেশী আন্দোলনের আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ভূইয়া।


শেয়ার করুন