২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৯:৩৩:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর
ভারতে মানবাধিকার রক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৬-২০২৩
ভারতে মানবাধিকার রক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন


আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে তার এই রাষ্ট্রীয় সফর। এই সফরের মাধ্যমে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিতে দুই পক্ষই তৎপর। মোদির সফরে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রতিরক্ষা চুক্তি। চীনের মোকাবিলায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এই সফরকে মাইলফলক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা হচ্ছে।

তবে সফরে কিছু অস্বস্তিও অপেক্ষা করছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য। প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্রের অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলো ওয়াশিংটনে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, ভারতে মানবাধিকার বিপন্ন। প্রতিবাদী সংগঠনগুলোর অন্যতম হলো-ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল, পিস অ্যাকশন, ভেটেরানস ফর পিস এবং বেথেসডা আফ্রিকান সিমেট্রি কোয়ালিশন। ২২ জুন হোয়াইট হাউসের কাছে জড়ো হওয়ার পরিকল্পনা করছে সংগঠনগুলো। ওইদিনই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে হোয়াইট হাউসে অভ্যর্থনা জানানোর পর তার সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের তরফে এমন সম্মান বিরল, যা মোদি পেতে চলেছেন। শেষ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই সম্মান পেয়েছিলেন নরসিংহ রাও।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মোদিকে এমন আপ্যায়নে আপত্তি আছে। প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদি হলেন সেই রাষ্ট্রপ্রধান গুজরাট দাঙ্গার কারণে যাকে তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ভিসা দিতে অস্বীকার করেছিল। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বক্তব্য, মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গোটা দেশেই মানবাধিকার বিপন্ন। ইতিমধ্যে সংগঠনগুলো কিছু পোস্টার তৈরি করেছে, যাতে লেখা ‘মোদি নট ওয়েলকাম’ এবং ‘হিন্দু আধিপত্য থেকে ভারতকে রক্ষা করো।’

নিউইয়র্কেও একটি প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে মোদির সফরের সময়। সেখানে ‘হাউডি ডেমোক্রেসি’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। তাতে ভারতে গণতান্ত্রিক পরিম-লের দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরা হবে। ঘটনাটক্রে রাহুল গান্ধী এখনো যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তিনি ২০ জুন ভারতের উদ্দেশে রওনা হন। অন্যদিকে পরদিন আমেরিকার মাটিতে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। গত ৩০ মে থেকে টানা সে দেশে রয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। রাহুল সফরের প্রথম দুই সপ্তাহ নিউইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনের মতো শহরে ভারতে গণতন্ত্রের বিপন্নতার কথা বলেছেন। মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও। তুলে ধরেছেন ভারতে সংখ্যালঘুদের বিপন্নতার কথাও।

স্বভাবতই মোদির সফরে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কর্মসূচি বাড়তি মাত্রা পেতে চলেছে এবার। মোদির সফরের সময়ই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নীতিনির্ধারক, সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিবিসির ‘মোদি দ্য ইন্ডিয়া কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্রটি নিউইয়র্কে দেখানোর ব্যবস্থা করেছে। প্রসঙ্গত, হালে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মানবাধিকার সংগঠন ভারতে সংখ্যালঘুদের ধর্মাচরণের অধিকার, সামগ্রিক মানবাধিকার নিয়ে সরব হয়েছে। মুখ খুলেছে মোদির জমানায় সংবাদমাধ্যমের অধিকার নিয়েও।

শেয়ার করুন