২৯ মার্চ ২০১২, শুক্রবার, ০৬:৪৬:৩৪ অপরাহ্ন


সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন
বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন ১৮ সেপ্টেম্বর
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৮-২০২২
বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের সংবাদ সম্মেলন/ছবি সংগৃহীত


প্রবাসের অন্যতম মাদার সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর। গত ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশন এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনটি বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, নির্বাচন কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ হাকিম, আনোয়ার হোসেন, রুহুল আমিন সরকার ও কায়সারুজ্জামান কয়েস।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনসংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি। তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া। সেই কাজটিই আমরা করছি। তিনি বলেন, এই নির্বাচন হবার কথা ছিলো প্রায় ৪ বছর আগে। একদিকে মামলার জটিলতা এবং অন্যদিকে করোনার কারণে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। প্রথম মামলার জটিলতা শেষে এবং করোনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর আমরা দ্বিতীয়বার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করি। এবারো নির্বাচনের ঠিক দুদিন আগে মামলা দায়ের করেন নীরা এস নীরু। প্রথম মামলা করেছিলেন নয়ন- আলী প্যানেলের প্রার্থী আকবর আলী এবং জে. চৌধুরী। আরো একটি মামলা করেছিলেন সোসাইটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ওসমান চৌধুরী। নীরা এস নীরুর মামলাও শেষ পর্যন্ত মাননীয় আদালত ডিনাই করে।

বর্তমানে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন করতে কোন বাধা নেই। তিনি আরো বলেন, এই নির্বাচনে আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। তিনি বলেন, নির্বাচন আগের তফসিল অনুযায়ী অর্থাৎ বিধিবিধান যা আছে তাই থাকবে। শুধুমাত্র একটি কেন্দ্র পরিবর্তন হবে। বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশি অধ্যুষিত ৫টি এলাকায়। প্রধান কেন্দ্র থাকবে উডসাইডের গুলশান টেরেস। ব্রুকলিনে কনিআইল্যান্ডের পাঞ্জাব রেস্টুরেন্টের অডিটোরিয়ামে, জ্যামাইকার ইকরা পার্টি হলে, ওজনপার্কের দেশি সেন্টারে এবং ব্রঙ্কসের গোল্ডেন প্যালেসে। তিনি আরো বলেন, ভোট গ্রহণ শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে রাত ৯টায়। সারাদিন গ্রহণ শেষে রাতেই নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এবারের নির্বাচনে মোট ২৭ হাজার ৫১০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, এখন নির্বাচন করতে কোন বাধা নেই। যে কারণে সোসাইটির কার্যকরি কমিটি এবং উপদেষ্টাদের সাথে বৈঠক করে আমরা নতুন নির্বাচনের তারিখ ঠিক করি। আগামীতে কেউ মামলা করবে কি করবে না সেটা তো আমরা জানি না। এটা স্বাধীন দেশ, এই দেশের আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। আমাদের সমাজে দুষ্ট লোকের তো অভাব নেই। ভালো কাজ তাদের সহ্য হয় না।

যে কারণেই আমাদের আহ্বান থাকবে- আগে নির্বাচনটা হতে দিন। তার পর যারা কমিটিতে থাকবে বা যারা সোসাইটি পরিচালনা করবেন তারাই জবাবদিহিতা করতে পারবেন। আমাদের দায়িত্ব শুধু নির্বাচন পরিচালনা করা। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন যাতে সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং কোনো সমস্যার সৃষ্টি হলে তা সমাধানের জন্য একটি সাব-কমিটিও করা হয়েছে।

নির্বাচনে যেহেতু বাধা নেই সেজন্য আমরা নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করছি। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সোসাইটির কার্যকরি কমিটির কাছে এই নির্বাচন পরিচালনার খরচ হিসেবে আরো ৪৭ হাজার ডলার চেয়েছি। আশা করি তারা তা দেবেন। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আজকে এখানে হিসাব নিয়ে আসিনি, তবে খসড়া একটি হিসাব বাংলাদেশ সোসাইটির কর্মকর্তাদের কাছে দিয়েছি। চূড়ান্ত হিসাব দেয়া হবে নির্বাচনে পরে। তারপরও তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রথম নির্বাচনে আমাদের গচ্চা প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার ডলার, দ্বিতীয় নির্বাচনে গচ্চা প্রায় ৮৯ হাজার ডলার।

তিনি বলেন, সবশেষে আমাদের আহ্বান হলে সবাই আমাদের সহযোগিতা করুন। আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিউনিটিকে উপহার দিই। আমাদের সবার মনে রাখা উচিত বাংলাদেশ সোসাইটি আমাদের সবার।


শেয়ার করুন