২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৫:১৮:৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


চবি অ্যালামনাই নাইট ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে বক্তারা
রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্র সংগঠন সময়ের দাবি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১১-২০২২
রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্র সংগঠন সময়ের দাবি অনুষ্ঠানে চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরি কমিটি


রাজনৈতিক দলের প্রভাব মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্র সংগঠন সময়ের দাবি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে অ্যালামনাই নাইট ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক, উদ্বোধক বাংলা সিপি প্যাপ ও আলাগ্রা হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি গত ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় লাগোয়ার্ডিয়া প্লাজা হোটেলে বলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। মূলত এই সন্ধ্যাটি ছিলো যেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মিলনমেলা। এই অনুষ্ঠানে কি না ছিলো। বলতে গেলে সবই ছিলো। ছিলো সৌহার্দ্য সম্প্রীতির আনন্য নির্দশন, ছিলো আলোচনা, ছিলো স্মৃতিচারণ, তরুণে ফিরে যাওয়া, চুটিয়ে গল্প করা, ছিলো রাজনীতি, ছিলো সাংস্কৃতিক পরিবেশনা- সব মিলিয়ে সবাই যেন একপ্রাণে উচ্ছ্বসিত। তাদের হৃদয়ে বেজে ওঠে শাটল ট্রেন, পাহাড়ি ঘেরা প্রকৃতি। অনুষ্ঠানের হৃদতা এবং সৌন্দর্য বাড়িয়েছে অন্যান্য স্টেট থেকে আসা চবিয়ানদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি।

অনুষ্ঠানে টেলিকনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শিরিন আক্তার। প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান মিয়া, প্রধান আলোচক প্রফেসর ড. এ এফ ইমান আলী, বিশেষ অতিথি প্রফেসর আশরাফ আহমেদ, প্রফেসর ড. শফিকুর রহমান বিশেষ কারণে আসতে পারেননি। তবে বিশেষ অতিথি প্রফেসর ড. রাহমান নাসির উদ্দিন এসেছিলেন। যদিও তিনি বর্তমানে ওয়াশিংটনে  উচ্চরত গবেষণা করছেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সভাপতি মাহমুদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম ইকবাল ফারুক, প্রধান সমন্বয়কারী এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাহাঙ্গীর শাহনেওয়াজ ডিকেন্স, সদস্য সচিব আব্দুল আউয়াল শামীম, কুইন্স ডেমোক্রেটিক লিডার অ্যাট লার্জ এবং বিশিষ্ট অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, ডা. চৌধুরী সারওয়ারুল হাসান, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সিকান্দার চৌধুরী, হেলাল চৌধুরী, ববি চৌধুরী, অধ্যাপিকা রানা ফেরদৌস চৌধুরী, মীর চৌধুরী প্রমুখ।

ছন্দা বিনতে সুলতান এবং শাহেদ আলীর পরিচালনায় আবু জাফর মাহমুদ বলেন, যেসব শিক্ষক আমাদের আলোর পথ দেখিয়েছেন আমি তাদের স্মরণ করছি। তাদের কাছ থেকেই আমরা সর্বোচ্চ মর্যাদার সাটির্ফিকেট পেয়েছি। তিনি মৃত্যুবরণকারী শিক্ষকদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং যারা এখনো জীবিত আছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, আজকে আমরা এখানে শুধু আনন্দ-বিনোদনের জন্য আসিনি। বর্তমানে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে পরিবেশ বিরাজ করছে, তা আমরা মেনে নিতে পারি না। এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের ফিরে আসা দরকার। তিনি আরো বলেন, ’৫২ ভাষা আন্দোলন থেকে ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত ছাত্রদের ভূমিকা ছিলো স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মতো। ছাত্ররাই পাকিস্তানি পতাকাকে পদদলিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলো। ’৫২, ’৬২, ’৬৯ এবং ’৭১ সালের ছাত্ররাই নেতৃত্ব দিয়েছিলো। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা কী রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করার যোগ্যতা রাখি না। আজকের অনুষ্ঠানে আমাদের মূল স্লোগান হচ্ছে- রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ছাত্র সংগঠন এখন সময়ের দাবি।

ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর শিরিন আক্তার বলেন, কালকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করেছি। সেই আয়োজন ছিলো বর্ণাঢ্য। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে প্রবাসী অ্যালামনাইদের সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রফেসর ড. রাহমান নাসির উদ্দিন বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি খুই আনন্দিত। মনে হচ্ছে যেন আপন পরিবারের কাছে এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন হচ্ছে সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত। এটাই অ্যালামনাইদের বড় সার্থকতা, যা আমাদের তারুণ্য জিইয়ে রাখে।

জাহাঙ্গীর শাহনেওয়াজ ডিকেন্স অ্যালামনাই প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।

মাহমুদ হাসান অনুষ্ঠান সফল এবং সার্থক করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এস এম ইকবাল ফারুক সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজ থেকে ২৯ বছর আগে যারা এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদের প্রত্যেকেই এখনো এই সংগঠনের সাথে রয়েছেন। সুতরাং বুঝতে হবে এটাই আসল চট্টগ্রাম অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। যার মধ্যে ছিলেন- আবু জাফর মাহমুদ, জাহাঙ্গীর শাহনেওয়াজ ডিকেন্স, অধ্যাপিকা রানা ফেরদৌস চৌধুরী, মীর চৌধুরী, ববি চৌধুরী, হেলাল চৌধুরী, নূর ইয়াহিয়া প্রমুখ। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- জাহাঙ্গীর শাহনেওয়াজ ডিকেন্স, শামীম আল মামুন, আবু জাফর মাহমুদ, মোহাম্মদ আবু তাহের, বিষ্ণু গোপ, দিওয়ার এম হাসান, রফিকুল ইসলাম, গোলাম সাদমানী, এনামুল হায়দার, নওয়াব মিয়া, নার্গিস আক্তার, লতিফা খানম রিনি, বিলকিস প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় কার্যকরি কমিটিকে। যার মধ্যে ছিলেন- সভাপতি মাহমুদ আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি সিকান্দার চৌধুরী, সহ-সভাপতি হাসান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম ইকবাল ফারুক, সহ সাধারণ সম্পাদক শাহেদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক কবিতা সেন, সাংস্কৃতিক সম্পদিকা ফাহমিদা জাহান, প্রচার সম্পাদক ছন্দা বিনতে সুলতান, ক্রীড়া সম্পাদক এম এ সবুর খান, কার্যকরি সদস্য- মোশাররফ হোসেন, আনোয়ারুল করিম, রুবিনা মাহফুজ শম্পা, নাহিদা আলী, চৌধুরী ইরফানুল কবির, জমিলা ইলিয়াস, রফিকুল ইসলাম, বিষ্ণু গোপ, শামীম আল মামুন, দেলোয়ার এম হাসান, আব্দুল আউয়াল শামীম।

রাহি ইয়াহিয়ার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে সংগীত, নৃত্য এবং কবিতা আবৃত্তি করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী রিজিয়া পারভীন, নারমিন হায়দার, চন্দন চৌধুরী, মাহরুহ, সায়রা জাকের, লায়লা কিরন, প্রতি দাস, ববি চৌধুরী, রওশন হাসান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে শাটল ট্রেন নামে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। অতিথিদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। অনুষ্ঠানে কমিউনিটির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন