২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ৬:৬:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


দেশকে সাইফুল হক
হোঁচট না বলে বলতে পারেন অভিজ্ঞতা
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৮-২০২৩
হোঁচট না বলে বলতে পারেন অভিজ্ঞতা সাইফুল হক


একদফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকার সব গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে ২৯ জুলাই শনিবার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিএনপি। হঠাৎ করে এমন কর্মসূচির পাশাপাশি ওইদিন আরো অনেক ঘটনা ঘটে যায় রাজনৈতিক অঙ্গনে। এই নিয়ে রাজনৈতিক অনেক অলোচনার ঝড় বইছে। আর এ প্রসঙ্গটিসহ আরো অনেক বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলতে গিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক বলেছেন, হোঁচট না বলে বলতে পারেন এ ধরনের পরিস্থিতি আমাদের একটা অভিজ্ঞতা দিয়েছে। তবে এটাতো ঠিক এই আন্দোলনের মধ্যেতো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদক সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ। 

দেশ: বিএনপির সঙ্গে আপনারা গণতন্ত্র মঞ্চের ব্যানারে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। সে আন্দোলনে হঠাৎ যেন ছেদ পড়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ সোশ্যাল মিডিয়াতে বলা হচ্ছে, একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে যুগপৎ আন্দোলনের ক্ষেত্রে। বিষয়টি আসলে কি?

সাইফুল হক: ধন্যবাদ এমন একটি প্রশ্ন করার জন্য। আপনারা জানেন গত ২৮ জুলাই বিএনপিসহ আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ রাজধানীতে মহাসমাবেশ করেছি। বলা যায়, সেদিন ঢাকায় মানুষ রাজপথ দখল করে নেয়। এতে দেখা গেছে, সর্বশ্রেণির মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ। মানুষের মধ্যে প্রতিবাদী ভাষা দেখা গেছে। এই জায়গা থেকেই আমরা সেদিন একটা তাৎক্ষণির প্রোগ্রাম দিয়েছিলা। সেটি ছিল ঢাকা বেশ কয়েকটি প্রবেশ মুখে শান্তিপূর্ণ অবস্থান। এটা বলা যায় ড্রেস রিহার্সেলের মতো। বড় একটা প্রতিরোধ আন্দোলনের আগে..

দেশ : মানে পাইলট প্রকল্পের মতো?

সাইফুল হক: বলতে পারেন অনেকটা সার্জিকাল স্ট্রাইকের মতো। আমরা একটু দেখতে চেয়েছি রাষ্ট্র পুলিশ প্রশাসন কীভাবে এ ধরনের কর্মসূচিতে রিয়্যাক্ট করে। তো সরকারের বিহেভটাও (আচরণ) পরিষ্কার দেখা গেল। যেভাবে তারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়েছে। দমনপীড়ন চালিয়েছে। আপনি লক্ষ করেছেন, আওয়ামী লীগ রাতের বেলায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করার পরও পুলিশ নাকের ডগায় সরকারি দলের ছত্রচ্ছায় গুন্ডারা যেভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে.. লাঠিসোঁটা হেলমেটধারীরা কখনো দেশি অস্ত্র হাতে নিয়ে যেভাবে হামলে পড়েছে..। কিন্তু এতো কিছুর পরও মানুষ প্রতিবাদ প্রতিরোধ করেছে। এতে করে সরকারের মুখোশ খুলে গেছে বলা যায়। এতে করে বোঝা যাচ্ছে যে, এ ধরনের ছোট একটা কর্মসূচিতেও যে তাদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা, যা আমরা ২৯ জুলাই কর্মসূচিতে সরকারের অ্যাকশনে লক্ষ করেছি। এটা আমাদের দিক থেকে একটা অভিজ্ঞতা ছিল। এটা ঠিক যে এ ধরনের একটি কর্মসূচি আকস্মিকভাবে নেওয়া হয়েছিল। ঢাকাতে তখন বিরোধীদলের নেতাকর্মীর উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। কিন্তু অনেকের মধ্যে আমরা এতো তাড়াতাড়ি বার্তাটি দিতে পারিনি ঢাকার প্রবেশপথের কর্মসূচিটি পালনের ব্যাপারে। এটা আগেভাগে জানান দিতে পারলে সেদিনের নেওয়া সেই কর্মসূচিতে প্রতিটি পয়েন্টে ৩০-৪০ হাজার মানুষ জমায়েত করতে পারতো। এটাতো ঠিক আমাদের মধ্যেও কিছুটা সমন্বয় বা ঘাটতির আভাব ছিল। তো বলতে পারি এতোটুকু যে ড্রেস রিহার্সেলের মাধ্যমে সরকারের দমননীতির চেহারাটা প্রকাশ পেয়েছে। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনরা বলতে পারেন, আমরা আন্দোলনকে একটি ধারাবাহিকভাবে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছি। 

দেশ: আসলে সমন্বয়, নাকি সরকারবিরোধী জোটে বড় ধরনের মতভেদ লক্ষ করা যাচ্ছে বলে বলা যায়? একধরনের বেশি আশাবাদ..

সাইফুল হক: প্রধান শরিক দল বিএনপির মধ্যে অনেক ঘাটতি ছিল। এজন্য ব্যাপক জনসমাগম করা যায়নি। এখানে এ ধরনের কর্মসূচির ব্যাপারে অভিজ্ঞতাও ছিল না। এ ব্যাপোরে তাদের অভিজ্ঞতার ঘাটতিও ছিল। আর এরপরও আর কিছু ছিল কি না সেটা বড় দল বিএনপির পাশাপাশি শরিক দলও বিবেচনায় রাখবে। এই অভিজ্ঞতাটা ভবিষ্যতে যে ধারাবাহিক আন্দোলন করবো, সে ব্যাপারে নজর রাখা হবে। তার জন্য এই অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই কাজে দেবে। 

দেশ: বিএনপির সঙ্গে কর্মসূচি নিয়ে সমন্বয়ের অভাবটা কি সহসাই দূর হবে...

সাইফুল হক: অবশ্যই অবশ্রই..আমরা ইতোমধ্যে এই নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি..বিএনপি নিজেরাও স্ট্যান্ডিং কমিটির মধ্যেও হুট করে এমন কর্মসূচি নেওয়া বা সমন্বয় না করার ব্যাপারে আলোচনা করেছে। আমরা নিজেরাও গণতন্ত্র মঞ্চের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের মধ্যে খুবই এক্সক্লুসিভ সভা হয়েছে। আমাদের লিয়াজোঁ কমিটি আছে। সেখানেও এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একদিকে হচ্ছে বিএনপির মধ্যে সমন্বয়, অন্যদিকে আমাদের গণতন্ত্র মঞ্চের মধ্যেও এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়ে যে, আমাদের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়ায় সমন্বয়ের ঘাটিতি ছিল। 

দেশ: সমন্বয় না কি বিএনপির মধ্যে অতিমাত্রায় অহংকার চলে এসেছে যে, তারা কাউক ছাড়াই বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা ছাড়াই একদফার আন্দোলন এগিয়ে নিতে পারবে-বিষয়টি এ রকম কি না।

সাইফুল হক: অনেক সময় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমরা এসব আচার-আচরণ নিয়ে বিএনপির বন্ধুদের সঙ্গে খোলামেলা কথা হয়েছে। অনেক আন্তরিক পরিবেশে। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে যে, ২৮ জুলাই যে সেলিব্রেটি, জুবিলিয়েন্ট মুড ছিল, ঠিক তারপরের দিনই এমন একটি আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও তাদের মধ্যে পর্যালোচনা আছে। (একদফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকার সব গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে ২৯ জুলাই শনিবার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিএনপি) আমরা বলেছি, শনিবার না দিয়ে একটু পিছিয়ে একটু সময় নিয়ে পরের দিন রোববারে নেওয়া যেতো। এসব খোলামেলা কথা বলেছি। তাহলে আন্দোলনের ফর্ম হিসেবে লাখ লাখ মানুষকে এই সময়ের মধ্যে যুক্ত করা যেতো। আন্দোলনকে একটা লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়া যেতো। 

দেশ: এ ধরনের ঘটনায় তো আপনাদের আন্দোলন একটা হোঁচট খেলো, কি বলবেন?

সাইফুল হক: হোঁচট না বলে বলতে পারেন এ ধরনের পরিস্থিতি আমাদের একটা অভিজ্ঞতা দিয়েছে। তবে এটাতো ঠিক এই আন্দোলনের মধ্যে তো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এটা সত্য। বিশেষ করে পরবর্তীতে বিএনপির দুই নেতাকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাবলি সংগঠিত হয়েছে, তাদের রাজনৈতিক কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও সরকার এটাকে যেভাবে ব্যবহার করেছে। অন্যদিকে বিএনপির ওই দুই জন নেতা পরিবেশ-পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন, তারপরও কিছু প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে। এগুলো বিএনপির অভ্যন্তরে এসব প্রশ্ন মোকাবিলা করতে হবে। 

দেশ: সম্প্রতি লক্ষ করা গেছে, বিএনপি মনে হয় একদফার আন্দোলন থেকে সরে দিয়ে বিশেষ করে দলের শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে যে রায় ঘোষণা করা হয়েছে, তা নিয়েই ব্যস্ত।

সাইফুল হক: না না, এটা ঠিক না। একদফার আন্দোলন ঠিক আছে। আমরা এটাকে পুনর্গঠন করছি। পুনর্বিন্যস্ত করছি। একদফার আন্দোলনই আমাদের অগ্রাধিকার। তারই অংশ হিসেবে যারা আন্দোলন-সংগ্রামে গ্রেফতার হয়েছে, যেভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, তারেক রহমান এবং জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি যে রায় হয়েছে এগুলোতো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশই। এগুলো একদফার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্তই হবে। এতো করে একদফার আন্দোলন আরো জোরদার হবে। নেতিবাচক হবে না। 

দেশ: অনেক আলাপ-আলোচনার পর বিএনপির সঙ্গে আপনারা একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছেন। কেননা বিএনপির ছিল দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াতের মতো দলের মিত্রতা। এ কারণে বিএনপির সঙ্গে দেশে কোনো বাম উদার মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের অসাম্প্রদায়িক শক্তি জোট বাঁধতে চাইতো না। এখন আপনারা সম্পৃক্ত হয়ে বিএনপি তার ইমেজ পুনরুদ্ধার করেছেন। কিন্তু বিএনপি আপনাদের উপেক্ষা করে বেশি বেশি অহংকারিত্ব দেখাচ্ছে? তারা কি এটা প্রমাণ করতে চায় যে, তাদের শক্তি দিয়েই একদফার আন্দোলন এগিয়ে নেবে? আপনি কি মনে করেন বিএনপি আপনাদের মতো নেতাদের অবহেলা বা পাশ কাটিয়ে ২৯ জুলাইয়ের কর্মসূচি দিয়েছিল।

সাইফুল হক: আমি বুঝতে পেরেছি আপনার প্রশ্ন, আমরা ইতিমধ্যে বিএনপির বন্ধুদের সঙ্গে খোলামেলা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশেই আলাপ-আলোচনা করেছি। যে কোনো আন্দোলন কর্মসূচির ব্যাপারে চূড়ান্ত করার ব্যাপারে আলোচনা করেছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মসূচি নেওয়াতে গণতান্ত্রিক হতে পারি এবং সবাই আমরা যারা যুগপৎ আন্দোলনে শরিক আছি, সবার মতামত শুনেই কর্মসূচি নির্ধারণ করতে পারি, সেগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে পারি। আমার মনে হয় এ ধরনের গণতান্ত্রিক আচরণ দেখানোর ব্যাপারে বিএনপির মধ্যে ইতিবাচক উপলব্ধি আছে। বিএনপি অনেক আন্তরিকতা দেখিয়েছে-এটা আমার ধারণা।

দেশ: আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে এক্ষুনি বিএনপি আপনাদের মতো দলগুলোর সঙ্গে যে ধরনের আচার-আচরণ করছে, ভবিষ্যতে আন্দোলনে জয়ী হয়ে সব দল-মত প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে? এটা কি বিশ্বাযোগ্য মনে হচ্ছে?

সাইফুল হক: একটা কথা বলবো যে, বিএনপি এবার বারবার বলছে শুধু সরকার পরিবর্তন নয়। ভবিষ্যতে তারাও রাষ্ট্র সংবিধানের গণতান্ত্রিক পরিবর্তন বা রূপান্তর না হয়, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো করা না যায়, তাহলে ভবিষ্যতে কোনো গণতান্ত্রিক সরকারই টেকসই হবে না। এই উপলব্ধিটা এখন পর্যন্ত আছে বলে আমি বিশ্বাস করতে চাই। আর বিএনপি তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখবে কি না সেটা নির্ভর করবে এখন আন্দোলন চলার সময়ে পরিবর্তনের দাবিগুলো কতটুকু জনপ্রিয় করতে পারছি। কতটা প্রচারে নিয়ে আসতে পারছি। মানুষের আকাক্সক্ষার দাবিগুলো কতটুকু জোর দিয়ে দাবিগুলো উপস্থাপন করতে পারছি। বিএনপির সঙ্গে আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ভিত্তির একটা বড় জায়গা হচ্ছে সংস্কারের ব্যাপারে তাদের যে কমিটমেন্ট, তাদের যে অঙ্গীকার-এই অঙ্গীকারটা যে কেবল প্রচার সর্বস্ব হবে না। সত্যিকারার্থে তারাই এই আন্দোলন করবে। এছাড়া সবকিছুই এরা রাতারাতি করে ফেলতে পারবে-এমন একটা অবস্থা আমিও চিন্তা করি না। বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে তার যে গড়ে ওঠা, তার যে পজিশন, তার যে চিন্তা...। তাই বিএনপিকে ভবিষ্যতে তো দলগতভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে ভবিষ্যতে সে কি করবে? সে ধরনের প্রস্তুতিটা বিএনপি করে ফেলেছে এখন পর্যন্ত সে লক্ষণ তো দেখি না। তবে আন্তরিক চেষ্টা আছে বলে আমার ধারণা। 

দেশ: এমন অবস্থায় বিএনপি ভবিষ্যতে আপনাদের কাছে বা জাতিকে দেওয়া বর্তমানের আস্থারও ওপর আপনার ভরসা রাখেন কীভাবে? বিএনপির বক্তৃতা বিবৃতিতেই আপনারা আস্থাশীল।

সাইফুল হক: এখন আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে আছি। রাজনৈতিক অঙ্গনে বলা হয় না যে, এটা তো একটা জেনটেলমেন্টস অ্যাগ্রিমেন্ট। রাজনৈতিক নেতৃত্ব যখন একটা সমঝোতায় আসে, বোঝাপড়ায় আসে, তখন তার ওপর তো একটা ভরসা, আস্থা রাখতেই হবে। এর পাশাপাশি সতর্কও থাকা দরকার। তারা যদি ভবিষ্যতে প্রতিশ্রুতিগুলো না রাখে, সেক্ষেত্রে বরং বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তখন বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কথা বলবো।

শেয়ার করুন