২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ৬:৩৪:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


যে কারনে হেরে গেল বাংলাদেশ
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৩-২০২৪
যে কারনে হেরে গেল বাংলাদেশ পিথুন নিশাঙ্কা (১১৪) এবং সমারাবিক্রমা (৯১) চতুর্থ উইকেট জুটি ১৮৫ রানের নতুন মাইল ফলক স্থাপনের পথে এক মুহুর্ত/ছবি সংগৃহীত


কাল (শুক্রবার ১৫ মার্চ) চট্টগ্রামের সাগরিকায় জহুর আহমেদ চোধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সুযোগ ছিল ম্যাচ জয় করে সিরিজ জিতে নেয়ার। টস হেরে প্রথম ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ২৮৬/৭  প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক স্কোর করেছিল। এরপর ৪৩ রানে শ্রীলংকার ৩ টি উইকেট তুলে নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশ দলে ম্যাচ জয়ী উইকেট টেকিং বলার না থাকায় এবং ইনফর্ম দুইজন লংকান ব্যাটসম্যান পিথুন নিশাঙ্কা (১১৪) এবং সাদীরা সমারাবিক্রমা (৯১) চতুর্থ উইকেট জুটি ১৮৫ রানের নতুন মাইল ফলক সৃষ্টি করে বিজয় ছিনিয়ে নেয়।    


স্বীকার করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই, কাল সাগরিকায় যোগ্য দল হিসাবেই ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে শ্রীলঙ্কা।  দল হিসাবে দলীয় ভারসাম্যে শ্রীলংকা ১৫-২০% এগিয়ে বলতে লজ্জা বা দ্বিধা নেই।  তবুও স্বাগতিক হিসাবে বাংলাদেশ সুবিধাটা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেনি কিছুটা কৌশলগত ব্যার্থতায়। ক্রিকেট ব্যাকরণে ম্যাচ জয়ী কম্বিনেশন ভাঙা যাবে না এমন স্বতঃসিদ্ধ কথা নেই। প্রথম ম্যাচ এবং বেশ কিছু দিন থেকেই দৃশ্যমান বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি জমছে না। বিশেষতঃ তামিম ইকবাল স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকার পর থেকে লিটন এবং তার সঙ্গী কেউ ধারাবাহিক ভাবে সফল হচ্ছে না। পর পর দুটি ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের ফাঁদে পা দিয়ে উইকেট বিসর্জন দিল লিটন। সৌভাগ্য কাল শুরুতেই ফায়ারে যায়নি নাজমুল শান্ত।  শুরুতে নড়বড়ে থাকা সৌম্য স্বমহিমায় দীপ্যমান ছিল কাল আর নাজমুল প্রাথমিক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দৃষ্টিনন্দন কিছু শট খেলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মূল্যবান ৭৫ রান যোগ করেছিল।
উইকেটে কাল শুরুর দিকে অসম বাউন্স ছিল। 


শ্রীলংকান বোলাররা কাল সঠিক লাইন লেংথে বোলিং করে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের কোনঠাসা করে রাখে। তবুও বলবো নাজমুল -সৌম্য জুটি আরো একটু দীর্ঘায়িত হলে দলের রান হয়তো ৩০০ পেরিয়ে যেত. .। হেরে গেলেও বলতেই হবে কাল তরুণ তাওহীদ হৃদয় সম্ভবত তার সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলেছে। একদিকে যখন তুখোড় লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা বাংলাদেশ মিডল অর্ডারে মোড়ক ধরিয়েছে তখনো অবিচল আস্থায় একপ্রান্ত আঁকড়ে ছিল হৃদয়। মাহমুদুল্লাহ ,মুশফিক ,মেহেদী মিরাজের অন্তত একজন হৃদয়কে সাঙ্গ দিলে বাংলাদেশ অন্তত আরো ২০-২৫ রান করতে পারতো।
যাহোক হৃদয়ের সক্রিয়তায় এবং শেষ দিকে ব্যাট হাতে ইদানিং আলো ছড়ানো তাসকিনের সমর্থনে অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেটে অনবদ্দ ৫০ রান করে বাংলাদেশ ২৮৬/৭ পৌঁছায়।   


দ্বিতীয় অর্ধে একসময় শিশির আসবে জানাই ছিল। শুরুতে আঘাত হেনে তাসকিন ,শরিফুল সফরকারী দলকে ৪৩/৩ কোনঠাসা করে ফেলেছিলো। দেয়ালে পিঠ রেখে প্রথমে স্বস্তি আনে নিশাঙ্কা এবং সমারাবিক্রমা।  বাংলাদেশের স্পিনার যুগল তাইজুল এবং মিরাজ ওদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিআক্রমণ করে এই জুটি ম্যাচ ছিনিয়ে নেয়. জানিনা লেগ স্পিনার রিশাদ দলে থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে সুযোগ দেয়া হয় নি। সমশক্তির দুটি দলের দৈরথে একটি দলকে জুয়া খেলতে হয়।  মনে হয় তরুণ রিশাদকে খেলানোর ঝুঁকি নিলে কাল মন্দ হত না.রিশাদ সীমিত সুযোগে কিন্তু জাত চিনিয়েছে।   
আসলে বাংলাদেশ একটি জয় পেলেই নিজেদের গুলিয়ে ফেলে।  এই পর্যায়ে ধারবাহিক সাফল্য পেতে হলে দলকে প্রোএক্টিভ হতে হবে। হিসেব করে ঝুঁকি নিতে হবে। গতানুগতার বাঁধন ছিন্ন করে নতুন কিছু করতে হবে। নাহলে সাফল্যের সম্ভাবনা হাতছানি দিয়ে মিলিয়ে যেতে থাকবে।

শেয়ার করুন