২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৪:৫৬:৩৫ অপরাহ্ন


হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন
কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন’র চাঁদাবাজি- নির্যাতনের অভিযোগ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০১-২০২৩
কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন’র চাঁদাবাজি- নির্যাতনের অভিযোগ


বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে পুলিশের একটি বিশেষ টিম ‘আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)’র সদস্যরা চাঁদাবাজি/নির্যাতন করছেন বলে অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারী) হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর ওয়েব সাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন ওই অভিযোগ করা হয়েছে। বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে নিপীড়নের যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো তদন্ত করার জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে চাপ প্রয়োগ করতে দাতা দেশগুলোর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। 

উল্লেখ্য, কক্সবাজারে প্রায় ১০ লাখের অধিক মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে অবস্থান করছে। যাদের নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে রয়েছে আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ক্যাম্প। 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের বিশাল ওই রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০২০ সালের জুলাইয়ে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্ব পায় এপিবিএন। সেখানকার রোহিঙ্গা শরণার্থী ও মানবিক সহায়তাকর্মীরা জানিয়েছেন, এপিবিএন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। এটা হয়েছে ক্রমে পুলিশের নিপীড়ন বাড়তে থাকা এবং শিবিরে সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে। এপিবিএন কর্মকর্তা, সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ করছেন বলে কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর এশিয়াবিষয়ক গবেষক শায়না বাউকনার বলেন, ‘কক্সবাজার আশ্রয়শিবিরে পুলিশের নিপীড়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এমন এক দুর্দশায় ফেলেছে যে যাঁদের তাদের সুরক্ষা দেওয়ার কথা তাদের হাতেই তারা আক্রান্ত হচ্ছে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের অবিলম্বে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কর্মকর্তাদের ব্যাপক পরিসরে চাঁদাবাজি ও ভুল আটকের অভিযোগগুলোর তদন্ত করা এবং দায়ী প্রত্যেককে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরে এপিবিএনের ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ওপর গুরুতর নির্যাতন ও হয়রানির অন্তত ১৬টি ঘটনা তাদের নজরে এসেছে। এ বাহিনীর সদস্যরা রোহিঙ্গাদের কাছে ঘুষ দাবি করেছেন। ঘুষ দিতে না পারলে ইয়াবা বা মাদকদ্রব্য বা অণ্যকোনো ইস্যুতে আটকের হুমকিও দিয়েছেন। এদের কাছে ১০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ দাবী করা হয়ে থাকে। আশ্রয়শিবিরে কয়েকটি রোহিঙ্গা পরিবার রয়েছে, যারা এপিবিএনের হাতে অন্যায়ভাবে আটক হওয়া স্বজনদের ছাড়াতে স্বর্ণালংকার বিক্রি কিংবা অর্থ কর্জ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে রিপোর্ট এ উল্লেখ।  


শেয়ার করুন