০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ১১:২৭:৬ পূর্বাহ্ন


গাদ্দাফিতে আজ পাকিস্তান বাংলাদেশ ক্রিকেট যুদ্ধ
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৯-২০২৩
গাদ্দাফিতে আজ পাকিস্তান বাংলাদেশ ক্রিকেট যুদ্ধ


শক্তি সামর্থ অভিজ্ঞতায় আইসিসি ওডিআই রাংকিংয়ে শীর্ষ দল পাকিস্তানের সঙ্গে যত বাবধান থাকুক আজ বাংলাদেশ পাকিস্তান ক্রিকেট যুদ্ধ সেয়ানে সেয়ানে লড়াই লড়াই হবে। মনে আছে ৩১ মে ১৯৯৯ বিশ্ব কাপ ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের নর্থাম্পটনে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে সেই সময়ের তুখোড় পাকিস্তান দলকে ৬২ রানে পরাজিত করে বিশ্বকে বিস্মিত করেছিল বাংলাদেশ। এর পরেও ২০১৫ দেশের মাটিতে মাশরাফির নেতৃত্বে পাকিস্তান দলকে ধবল ধোলাই করেছে বাংলাদেশ। আজ যখন সাকিব আল হাসানের টীম টাইগার্স বাবার আজম নেতৃত্বের তুখোড় পাকিস্তানের সঙ্গে লড়বে, তখন সেই মধুর স্মৃতিগুলো অবশ্যই বাংলাদেশকে আন্দোলিত করবে।


এই পাকিস্তানের সঙ্গেই একবার এশিয়া কাপ ফাইনালে জিততে জিততে ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। আজ অনেক হিসেবে নিকেশের পালা।  এ মাঠে দিন কয়েক আগে আফগানিস্তান দলের বিরুদ্ধে ৮৯ রানের বিশাল ব্যাবধানে জিতে খাদের কিনারা থেকে ফিরে এসেছে তারুণ্যের তেজোদীপ্ত বাংলাদেশ। লাহোরের মাটিতে আজ গর্বের সঙ্গে ধোনিত হবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত, পতপত করবে উড়বে লাল সবুজের পতাকা। নিজেদের সেরাটা দিয়ে সবাই উজাড় করে খেললে বাংলাদেশ আজ পাকিস্তানকে হারিয়ে দিবে না কেউকি নিশ্চিত করে বলতে পারে?


দুর্ভাগ্য টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যান হবার অন্যতম দাবীদার নাজমুল হোসেন শান্ত আহত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছেন। হয়তো সেখানে খেলবেন ইতিমধ্যে দলের সঙ্গে যোগ দেয়া লিটন কুমার দাস। ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ এবং নাসিম শাহকে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করা। তুখোড় ফর্মে থাকা পাকিস্তানের এই তিন বোলারের নিজেদের  মাঠে চেনা পরিবেশে খেলবে। ওদের সঙ্গে আবার চতুর্থ সীমার হিসাবে যোগ হবে ফাহিম আশরাফ। বাংলাদেশ লাহোর মাঠে আগের ম্যাচে আফগান দলের বিরুদ্ধে আগে ব্যাটিং করে মেহেদী মিরাজ এবং নাজমুল শান্তর যুগল শত রানের উপর ভর করে ৩৩৪/৫ রান পর্বত শৃঙ্গে উঠেছিল। যদি প্রথম ব্যাটিং করার সুযোগ হয় সেটি করতে হবে। আজ কিন্তু দলে থাকবে না নাজমুল শান্ত। নাঈম ,মেহেদীকে দিয়ে ওপেনিং করিয়ে লিটন দাস তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে পারে।


কিন্তু পাকিস্তান দলে মোহাম্মদ নেওয়াজ নেই। তাই লেফট হ্যান্ড রাইট হ্যান্ড কম্বিনেশন নিয়ে খুব একটা ভাবতে হবে না। পরিস্থিতির বিবেচনায় ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করতে পারবে সাকিব। পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে বাংলাদেশকে। শাহীন আফ্রিদি ,নাসিম শাহ ,হারিস রউফের প্রথম স্পেল সামাল দিতে পারলে ফাহিম আশরাফ এবং শাদাব খানের বলে লাহোর উইকেটে শংকর কিছু নেই বাংলাদেশের। তবে বাটিংয়ের মূল দায়িত্ব নিতে হবে সাকিব ,মুশফিককে।  যদি দলে আফিফ, শামীম দুজন থাকে তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় মুশফিককে ৫ নম্বরে ব্যাটিং করিয়ে ইনিংসের হাল ধরার দায়িত্ব দিতে হবে। হয়তো হাসান মাহমুদের স্থানে মুস্তাফিজকে ফিরিয়ে আনার বিবেচনায় আসতে পারে।


পাকিস্তান যেহেতু বাম হাতি স্পিন ভালো খেলে না তাই একজন ব্যাটসম্যান কম খেলিয়ে নাসুমকে সুযোগ দেয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আসতে পারে। এখানেও বাংলাদেশের মূল অস্ত্র হবে তাসকিন ,শরিফুল এবং হয়তো সাকিব। পাকিস্তানের বাবর আজম , ফখর জামান , মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সহজে ফেরাতে পারলে বাংলাদেশ অবশ্যই ম্যাচে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি করবে। আমি বাংলাদেশের বোলিং ফিল্ডিং নিয়ে আশাবাদী। চাপ মুক্ত হয়ে নিজেদের খেলাটা খেলে বাংলাদেশ জয় ছিনিয়ে নিয়ে দেশকে গর্বিত করুক সেই প্রার্থনা করি।
পাকিস্তান ইতিমধ্যেই একাদশ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ দলে শান্তর পরিবর্তে একটি পরিবর্তন হবে। হয়তো বোলিংয়েও একটি পরিবর্তন হতে পারে।


পাকিস্তান : বাবর আজম , ফখর জামান, ইমাম উল হক , মোহাম্মদ রিজওয়ান, সালমান আলী আগা ,ইফতিখার আহমেদ, সাদাব খান, ফাহিম আশরাফ,  হারিস রউফ, নাসিম শাহ এবং শাহীন শাহ আফ্রিদি।


বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ : সাকিব আল হাসান , মোহাম্মদ নাঈম, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রাহিম, আফিফ হোসেন , নাসুম আহমেদ / শামীম পাটোয়ারী, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ/ মুস্তাফিজুর রহমান।


শেয়ার করুন