৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০৯:৩৬:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


দুর্নীতিবাজদের স্বার্থ রক্ষায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি - বাংলাদেশ ন্যাপ
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১১-২০২২
দুর্নীতিবাজদের স্বার্থ রক্ষায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি - বাংলাদেশ ন্যাপ


বিদ্যুৎ খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করলে বিদ্যুতে মূল্য বার বার বৃদ্ধির প্রয়োজন হতো না। সরকার দুর্নীতিবাজদের স্বার্থ রক্ষায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি অযৌক্তিকভাবে আবারো বৃদ্ধি করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।


মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানান।


তারা বলেন, আইএমএফ ও দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারের ভুল নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকার জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে নেতৃতলাবিহীন ঝুড়ি বানিয়েছে।


নেতৃদ্বয় বলেন, বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। নিয়োগ, ক্রয়, উৎপাদন, সঞ্চালন ও সেবাখাতে চরম দুর্নীতি বিরাজ করছে।


তারা বলেন, বর্তমানে জীবনযাত্রার ব্যয় সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বেই আজ জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম চলছে। আমাদের দেশে বাজার ব্যবস্থা লাগামহীন। এর মধ্যে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি 'আগুনের মধ্যে ঘি ঢালার' ব্যবস্থা।  বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি বর্তমান সময়ে যথাপযুক্ত নয়।


নেতৃদ্বয় আরো বলেন, দুর্নীতি ও ভুল নীতিতে লাগামহীন বিদ্যুৎখাত। দুর্নীতি উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ নেই। অথচ অযৌক্তিকভাবে দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধি করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ উৎপাদন সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি চলমান। এই দুর্নীতি রোধ করতে পারলে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রয়োজন পড়বে না।


অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত তারা রুখে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, বিআরসি বিদ্যুতের অযৌক্তিক উৎপাদন খরচ, বিতরণ, ব্যয় কমানোতে কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না। এরা সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গণশুনানির নাটক করে।


নেতৃদ্বয় আরো বলেন, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিলে দেড় হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। কিন্তু মুষ্টিমেয় বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থে উৎপাদন না করেও বসিয়ে বসিয়ে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে টাকা দিচ্ছে। এ মুনাফা-লুটপাটের অর্থ জোগান দিতেই বার বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকারের এ ধরনের অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো আইনের আশ্রয়ও যাতে নেয়া না যায় সেজন্য দায়মুক্তি আইন করা হয়েছে।


তারা বলেন, বার বার লোকসানের অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করা হলেও, কিন্তু লোকসান কমেনি। বিদ্যুৎ বা জ্বালানি খাতে লোকসানের মূল কারণ পিডিবির সিস্টেম লস, সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতি। কিন্তু সরকার তা দূর করতে কোনো উদ্যোগ না নিয়ে ক্রমাগত মুল্যবৃদ্ধি করে জনগণের ভোগান্তি বাড়িয়ে চলছে। ইতোমধ্যে পেঁয়াজ, চাল, সয়াবিন তেল, আদা, রসুনসহ নিত্য পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণ যখন দিশেহারা, ঠিক তখন সরকারের বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি জনগণকে আরও দুর্ভোগে ফেলবে।

শেয়ার করুন