৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০৮:২২:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


এজেডএম গ্রুপের ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠান
সাংবাদিকদের হাতে দ্য বে ওয়েভ ও জয় বাংলাদেশ তুলে দিলেন আবু জাফর মাহমুদ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৪-২০২৪
সাংবাদিকদের হাতে দ্য বে ওয়েভ ও জয় বাংলাদেশ তুলে দিলেন আবু জাফর মাহমুদ বক্তব্য রাখছেন ড. আবু জাফর মাহমুদ


নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে ইংরেজি সাময়িকী দ্য বে ওয়েভ ও বাংলা সাময়িকী জয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংখ্যার প্রকাশনা উদ্বোধন করা হয়েছে। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জ্যাকসন হাইটসের শেফস মহল রেস্তোরাঁয় ওই ইফতার অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন বাংলা সংবাদপত্রের সম্পাদক, ঢাকার বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দ্য বে ওয়েভ ও জয় বাংলাদেশ সম্পাদক গ্লোবাল পিস অ্যাম্বাসেডর স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ সম্পাদক সাংবাদিকদের আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশি কমিউনিটির সংবাদপত্রের প্রকাশক, সম্পাদক, টেলিভিশনের স্বত্বাধিকারী, সাংবাদিক আমরা সবাই একটি পরিবার। বহুদিন ধরে আমরা আমাদের অভিযাত্রা অব্যাহত রেখেছি। যারা অনেক আগেই এই যাত্রা শুরু করে অন্যদের জন্য পথ তৈরি করেছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমরা এখন একই সংগ্রামে হাতে হাত ধরে এগোচ্ছি। এটিই আমাদের সমাজ শক্তি। আমাদের কমিউনিটিকে সেবা দিচ্ছি ও আমেরিকার সেবায় অংশ নিয়েছি।

অনুষ্ঠানে অনেকের মধ্যে সাপ্তাহিক ঠিকানা সম্পাদক এম এম শাহীন, পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, টাইম টিভির স্বত্বাধিকারী আবু তাহের, লেখক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেইন মনজু, চ্যানেল আইয়ের ব্যুরো প্রধান রাশেদ আহমেদ, এমসি টিভির স্বত্বাধিকারী কাজী শামসুল হক, দেশ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, হককথা সম্পাদক এ বি এম সালাহউদ্দিন, এনওয়াই কাগজের প্রদায়ক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মজুমদার, চ্যানেল টিটির স্বত্বাধিকারী শিবলী চৌধুরী কায়েস, সাংবাদিক ইমরান আনসারী, সাংবাদিক অভিক সানোয়ার রহমান মোহাম্মদ হোসেন দিপু, কানু দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদক ও সাংবাদিকরা স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদের সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার প্রশংসা করে বলেন, তিনি বহু আগেই অসাধারণ এক কলমসৈনিকের স্বাক্ষর রেখেছেন। নতুন দুটি পত্রিকার মাধ্যমে তিনি মানবসেবা ও জীবন সংগ্রামের এক নতুন ধারার সূচনা করলেন।

স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসকে এক করে দেখা যাবে না

স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ মহান স্বাধীনতা দিবস স্মরণে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতা দিবস আর বিজয় দিবসকে এক করে দেখা যাবে না। দুই দিবসের বক্তব্য দুই রকম। প্রেরণা দুই রকম, ভূমিকাও দুই রকম। ২৫ মার্চ আমাদের বাধ্য করেছিল ২৬ মার্চ জন্ম দিতে। আমরা জন্মগতভাবেই ছিলাম পাকিস্তানি। পাকিস্তান আমাদের দেশ ছিল। যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণ করলো, সেই আক্রমণ ছিল যুদ্ধের আক্রমণ। ধ্বংসের আক্রমণ। গোটা জাতির ওপর লক্ষ্য ঠিক রেখেই আক্রমণটা করা হয়। যাতে বাঙালি জাতিকে নির্মূল করে ফেলা যায়। এর মোকাবিলায় আমাদের সশ্রস্ত্র শক্তির পক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না। এটা কোনো রাজনীতি নয়, এটা কোনো সাহিত্যচর্চা নয়। এই যুদ্ধ ছিল বেঁচে থাকার যুদ্ধ। এই যুদ্ধ আমাদের প্রতিরোধ যুদ্ধ। এই প্রতিরোধ যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো।

প্রতিরোধ যুদ্ধটি ছিল পুরোপুরিভাবে সামরিক যুদ্ধ। রাজনীতিবিদরা তখন সিদ্ধান্তহীন ছিলেন, আমরা গোটা জাতিই তখন সিদ্ধান্তহীন ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় ছিলাম। সেদিনের ক্যাপ্টেন রফিক ইপিআরে তার কমান্ডারকে হত্যা করে এসে যুদ্ধে অংশ নিলেন। তিনি তার সিনিয়র হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানকে খুঁজে নিয়ে চট্টগ্রামে এ কে খান সাহেবের সঙ্গে বৈঠক করে বেঙ্গল রেজিমেন্টের তরফ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন। এর মধ্য দিয়েই এলো আমাদের সশস্ত্র যুদ্ধের প্রেরণা। 

আমরা গর্বিত আমাদের সেই বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর, পুলিশ, আনসারের প্রতি। সেদিন তারা আমাদের যুদ্ধের পথ রচনা করেছেন, জীবনবাজি রেখে যুদ্ধে গেছেন, প্রতিরোধ যুদ্ধ সৃষ্টি করেছেন। তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

দোয়া ও মোনাজাত করেন জ্যাকসন হাইটস ইসলামিক সেন্টারের খতিব মাওলানা আব্দুস সাদিক।

শেয়ার করুন