১৮ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ৬:০৬:২৭ অপরাহ্ন


‘নতুন রাষ্ট্রপতি’র মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সমালোচনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০২-২০২৩
‘নতুন রাষ্ট্রপতি’র মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সমালোচনা


আওয়ামী লীগের সংসদীয় সভায় ‘নতুন রাষ্ট্রপতি’র মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন মাহমুদুর রহমান মান্না। সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি এই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ ব্যক্তিগভাবে কে রাষ্ট্রপতি হলেন, না হলেন খুব বেশি পার্থক্য ভেরি করে না। রাষ্ট্রপতির ফাংশন ও ডিউটি ডিফারেন্ট, তিনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না এবং প্রধানমন্ত্রীর কতগুলো বিষয় আছে সব ব্যাপারে তার(প্রধানমন্ত্রী) কথা শুনতে হবে। এবার ঘটনাটা খুবই ন্যাক্কারজনক অশ্লীল একটা বিষয় হয়েছে যে, বুঝা গেলো প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি বানান। একটা রেজ্যুলেশন নিয়ে বলা হলো যে, উনি(প্রধানমন্ত্রী) যাকে মনে করেন তাকে দেবেন। মিনিমাম যে একটা ডেকোরাম আছে, একটা ইলেকশন হয়, ভোট হয়, আরো কি হয়ৃ সমস্ত জিনিসকে পদদলিত করা হলো। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, কতখানি স্বেচ্ছাচারি মানুষ হতে পারে। নির্বাচনে জেতারও একরকম করবে এখান থেকে তার একটা প্রমাণ পাওয়া যাবে।”


বিএনপির কাছে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু কোনো মন্তব্য করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘ আমাদের রি-অ্যাকশন আমার দল থেকে দেবে। এই মিটিং(লিয়াজোঁ কমিটি) থেকে আমি রিঅ্যাকশন দিতে পারব না। আমাদের দলের সবাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত পরে আপনাদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে। এই বিষয়ে আমি কথা বলতে পারবো না। তবে এইটুকু বলতে পারি একজন তন্ত্রের দেশে অনেক সম্ভব অসম্ভব হইতে পারে, আবার অনেক অসম্ভব সম্ভব হইতে পারে- সেই নিউজ এই দৃষ্টান্ত।”

দেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নাম ঠিকানাসহ সোমবার গেজেট জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচনী কর্তা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের ঘোষণার পর তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকালে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির নেতারা বৈঠকে বসেন। এক ঘন্টার বৈঠকে চলমান যুগপত আন্দোলনের কর্মসূচি ও আন্দোলনের দাবিগুলো নিয়ে একটি যৌথ ঘোষণা খসড়া প্রণয়ন নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চের নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী হাসনাম কাইয়ুম ছিলেন।

বিএনপির পক্ষে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।


 




শেয়ার করুন