০১ মে ২০১২, বুধবার, ১১:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন


মতবিনিময় সভায় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর
সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সরকারি দলের বিজয় নিশ্চিত করা হয়েছে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১০-২০২৩
সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সরকারি দলের বিজয় নিশ্চিত করা হয়েছে অনুষ্ঠানে নূরুল কবীরসহ অংশগ্রহণকারীরা


সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধনীর মাধ্যমে এমন অবস্থা করা হয়েছে, যাতে নির্বাচন হলে সরকারি দল যেন ক্ষমতা ছাড়তে না হয় বা বিজয় লাভ করে। এখন কোনটা বা কোন দল সফল হবে-সেটা নির্ভর করবে রাজনৈতিক শক্তির সমাবেশ কারা বেশি করতে পারে। বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আমার মনে হচ্ছে, সেটা কোনো সমঝোতার মধ্যে নিষ্পত্তি হবে না। সেটার নিষ্পত্তি হবে মাঠে, রাজপথে। শক্তির দিক থেকে যে প্রবল থাকবে, সে-ই জিতবে, দুর্বল হারবে। এটা খুব দ্রুত হবে, ইমিডিয়েট। আজকে এতো বছর পর আমাদের ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করতে হলে অনেক প্রতিষ্ঠান লাগে। তার মধ্যে কোর্ট সবচেয়ে বড়। বাংলাদেশের কোর্ট ব্যবস্থা সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে-এটা এখন বাংলাদেশের কোনো মানুষকে বোঝানোর দরকার পড়ে না-এই কথাগুলো বলেছেন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইংরেজি পত্রিকা নিউ এজের সম্পাদক এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক নূরুল কবীর। গত ২২ অক্টোবর জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে এক মতবিনিময় সভায় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট খন্দকার ফরহাদের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেবিবিএর প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা মাহমুদ রেজা, জেবিবিএর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, ডা. মাসুদুল হাসান প্রমুখ।

দেশের অবস্থা আপনার কাছে কেমন মনে হচ্ছে-এই প্রশ্নের জবাবে নূরুল কবীর বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশ রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সংকট এই অর্থে যে, আমাদের দেশের বর্তমান সরকার প্রতিদিন যে উন্নয়নের কথা বলছে, এটা অর্ধসত্য। অর্ধসত্য কখনো কখনো মিথ্যার চেয়েও খারাপ। এটা সত্য আমাদের দেশে কিছু স্ট্র্যাচার তৈরি হয়েছে। এটাকে সরকার উন্নয়ন বলে চালিয়ে যাচ্ছে। একটা দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে সেই দেশের মানুষের জীবনমান কত পার্সেন্ট বাড়লো তার ওপরে এবং তার সাংবিধানিক অধিকার কতটুকু ভোগ করলো তার ওপরে। সব পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশের মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে, অন্যদিকে একশ্রেণি অর্থবিত্তে আরো সমৃদ্ধ হয়েছে। মানুষের কস্ট অব লিভিং বেড়ে গেছে, এই সরকার ক্ষমতায় আসার সময় যা ছিল, এখন তার চেয়ে খারাপ অবস্থায় চলে গিয়েছে। এটা এখন সরকারও স্বীকার করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে যারা ফিক্সড ইনকামের মানুষ, তাদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। কারণ প্রতিদিন প্রকৃত মজুরি কমে যাচ্ছে। প্রকৃত মজুরি যখন কমে যায়, তখন তার প্রয়োজনগুলোও কমে। এটা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশ গত ১৪ বছরে যে পরিমাণ বিদেশি ঋণ নিয়েছে এবং সেই ঋণের ভিত্তিতে এসব উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে। এর দুটি দিক রয়েছে, যে কাজ পাঁচ ডলারে করা যেত, যা আমাদের আশপাশের দেশগুলোতে করা হচ্ছে-সেটা আমাদের দেশে করা হয় ৭ থেকে ১০ ডলারে। এসব কাজে প্রচণ্ড দুর্নীতি হয়েছে। এই অর্থ দেশের মানুষকে দিতে হবে। একদিকে বিদেশি ঋণ, অন্যদিকে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে আর কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে পারবে উন্নয়নের নামে ডিজাস্টার হয়েছে। রাজনৈতিক সংকট আরো বেশি ঘনীভূত হয়েছে। আপনারা জানেন, বাংলাদেশের মানুষ কথা বলতে ভালোবাসে, নির্বাচন করতে চায়। আগে পত্রপত্রিকায় নির্বাচন নিয়ে লেখা হতো উৎসবমুখর পরিবেশ। বাংলাদেশের নির্বাচনে এখন সেই পরিবেশ নেই। ভোটাধিকার গণতন্ত্রের প্রথম ধাপ। আজকে এতো বছর পর আমাদের ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করতে হলে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান লাগে। তার মধ্যে কোর্ট সবচেয়ে বড়। বাংলাদেশের কোর্ট ব্যবস্থা সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে-এটা এখন বাংলাদেশের কোনো মানুষকে বোঝানোর দরকার পড়ে না। একটি দেশের অগ্রগতি নির্ভর করে সেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার যে মান কমেছে এটা শত শত অধ্যাপক শিকার করেন। বাংলাদেশের সব আন্দোলনের সূত্রপাত হতো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বা উপাচার্য যখন পত্রিকা বন্ধ করার জন্য মিছিল করে কিংবা মানববন্ধন করে-এর মধ্য দিয়ে সারা পৃথিবীর মানুষ বুঝতে পারে, এখানে বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতা কোথায়? যেটা বিকাশ হওয়ার কথা, সেটা কত পিছিয়ে যাচ্ছে। নতুনভাবে যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার মান, কারুকুলাম উন্নত করা না হয় এবং সেই অনুযায়ী দীক্ষা দেওয়া না হয়, তাহলে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা ভারত, পাকিস্তান, নেপালের ছাত্রছাত্রীদের চেয়ে পিছিয়ে যাবে। নানানভাবে আমরা পিছিয়ে পড়ছি বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের দিক থেকে, রাজনৈতিক দিক থেকে, গণতন্ত্রের বিকাশের প্রশ্নে এবং অর্থনৈতিভাবে আমরা একটা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছি। এই তিনটি চ্যালেঞ্জকে আমরা যদি মোকাবিলা করতে চাই-সেটা কী ধরনের গবেষণা লাগবে, বিকল্প ব্যবস্থাগুলো কী, সেটা একাডেমিক লেবেলে কিছু কিছু কাজ হয়, কিছু কিছু পত্রপত্রিকায় বিচ্ছিন্নভাবে লেখা হয়। কিন্তু যারা বিরোধী দলে আছেন তারা এই সরকারের আমলে নানাভাবে নিপীড় এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমাদের কাছে দুর্ভাবনার বিষয়টি হচ্ছে, এই সরকারের পতন ঘটলেও যে জায়গাগুলোতে বিপর্যয় ঘটেছে, সেগুলোকে মোকাবিলা পরিকল্পনা বিরোধীদলের কী, সেটা আমরা জানি না। বামপন্থীদের কিছু পরিকল্পনা আছে কিন্তু বিএনপি, জাতীয় পার্টি এবং জামায়াতের সেই পরিকল্পনা আমরা দেখিনি। একদিক থেকে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের পদত্যাগে যে ন্যায্যতা আছে তেমনিভাবে সবার দুর্ভাবনার দিক থেকে যায়। যেমন এক পার্টি গেল, আরেক পার্টি এলো- কিছু প্রতিশোধ হলো, কিন্তু সাধারণভাবে জনগণের গণতন্ত্রায়ণ, মানুষের ক্ষমতায়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন কীভাবে হবে বা উত্তরণের উপায় কী তা আমরা বিরোধীদের কাছ থেকে এখনো পাইনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারে তার সম্পৃক্ত হওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নূরুল কবীর বলেন, না আমাকে ডাকলেও আমি তত্ত্বাবধায়ক সরকারে যাবো না। কারণ আমি মনে করি, রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করা রাজনীতিবিদের কাজ এবং দায়িত্ব। আমি রাজনৈতিক নই। দুই. পৃথিবীতে সবচেয়ে সোজা কাজ হচ্ছে যারা ক্ষমতায় থাকে, তাদের সঙ্গে থাকা। এটা খুব আরামের। আমি মনে করি, জনস্বার্থপরায়ণ এবং গণতন্ত্রপরায়ণ সাংবাদিকতার কাজ এটা না। গণতন্ত্রপরায়ণ সাংবাদিকতার কাজ হলো, রাষ্ট্রের যে অন্তর্গত নিপীড়কমূলক চরিত্র, সেই চরিত্রগুলোকে পাহারা দেওয়া এবং সত্য কথাগুলো সততার সঙ্গে তুলে ধরা। আমি জীবনে সচেতনভাবে এই কাজটি গ্রহণ করেছি। আমি একজন সাংবাদিক হিসেবে মরতে চাই, রাজনীতিক বা মন্ত্রী হিসেবে নয়।

বাংলাদেশের অধিকাংশ সাংবাদিক তো রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি করে-এই প্রশ্নের জবাবে নিউ এজ সম্পাদক বলেন,  একজন মানুষের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার তার অধিকার আছে। কেউ সাংবাদিকতাকে তার আপন স্বার্থে ব্যবহার করতে চান। কিংবা তিনি যে রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন, সেটার পক্ষে ব্যবহার করতে চান। এটা নিয়ে দুর্ভাবনার কিছু নেই। ইতিহাস তা বিচার করবে। ১৯৬০-এর দশকে ঢাকায় ২০০ সাংবাদিক ছিলেন, আপনারা চার-পাঁচ জনের বেশি নাম বলতে পারবেন না। ৮০-এর দশকে প্রায় ৪ হাজার সাংবাদিক ছিলেন, আপনারা ১০ জনের বেশি নাম বলতে পারবেন না। যারা দলবাজি করেন তারা ওই চার-পাঁচ জন বা ১০ জনের মধ্যে থাকবেন কি না বা থাকতে চান কি না সেটা তার সিদ্ধান্ত। তাছাড়া আমাকে যা খুশি প্রশ্ন করতে পারেন, আমি অন্যদের বিষয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না।

বর্তমানে দুই দলের যে অবস্থা-ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধানের বাইরে গিয়ে তারা নির্বাচন করতে পারবে না, বিএনপি বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না, নির্বাচনের সময়ও ঘনিয়ে এসেছে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন-দুই দলের যে অবস্থা তাতে কী মনে হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা হতে পারে, এখানে তিনটা প্রশ্ন রয়েছে। একটি সংবিধান। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণীত হয়নি-এটা আমি মনে করি। এতোটা রাষ্ট্রীয় সংবিধান কী। এই সংক্রান্ত দুটি তন্ত্র আছে ইউরোপ এবং আমেরিকায়। ইউরোপে রাষ্ট্রীয় সংবিধানের প্রবক্তা ছিলেন রুশো। সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট নামে তার একটি বই রয়েছে। আমেরিকায় টম পেইন। রাষ্ট্রীয় সংবিধান নিয়ে তারা বিস্তর লিখেছেন। আমি বলছি যে, একটি রাষ্ট্রের মধ্যে নানাধরনের জনগোষ্ঠী থাকে, অর্থনৈতিকভাবে, সমাজিকভাবে, ধর্মীয়ভাবে এই জনগোষ্ঠীর স্বার্থ কখনো কখনো মিলে, কখনো কখনো প্রতিদ্বন্দ্বী স্বার্থ থাকে। সব স্বার্থকে একত্রিত করে সাধারণভাবে সবারটা রক্ষা করার একটি সামাজিক শক্তি। সংবিধানের অর্থ হচ্ছে, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। বাংলাদেশের সংবিধানেও তা লেখা আছে। আমরা লক্ষ করেছি, যখন যে পার্টি ক্ষমতায় গেছে, সেখানে তার দলের মেনিফেস্ট, সেই মেনিফেস্টের আলোকে সংবিধান তৈরি করেছে। বিএনপি যখন সংবিধান সংশোধন করেছে, তখন তার দলের মতো করে সংবিধান করেছে, আওয়ামী লীগ যখন ছিল বা আছে তারা তাদের মতো সংবিধান তৈরি করেছে। এই মুহূর্তে যরা বলছেন, সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হবে, রাষ্ট্রের নামে আওয়ামী লীগ যে সংবিধান তৈরি করেছে, তার অধীনে নির্বাচন হবে। অত্যন্ত স্বাভাবিক কারণে বিএনপিসহ বিরোধীদলের এটা মানার কোনো কারণ নেই। বর্তমানে প্রধান দুটি দল ‘নো রিটার্ন’ অবস্থানে। সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধনীর মাধ্যমে এমন অবস্থা করা হয়েছে, যাতে সরকারি দল নির্বাচিত হলে তাদের যেন ক্ষমতা ছাড়তে না হয় বা বিজয় লাভ করবে। এখন কোনটা বা কোন দল সফল হবে-সেটা নির্ভর করবে রাজনৈতিক শক্তির সমাবেশ কারা বেশি করতে পারে। বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আমার মনে হচ্ছে, সেটা কোনো মসঝোতার মধ্যে নিষ্পত্তি হবে না। সেটার নিষ্পত্তি হবে মাঠে, রাজপথে। শক্তির দিক থেকে যে প্রবল থাকবে সে-ই জিতবে, দুর্বল হারবে। এটা খুব দ্রুত হবে। ইমিডিয়েট।

৭২-এর সংবিধান নিয়ে তিনি বলেন, ৭২-এর সংবিধান কী বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল মানে? আওয়ামী লীগও মানে না, সুতরাং আলোচনা করে লাভ কী? সঠিক ছিল কিনা-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না সঠিক ছিল না। কিছুসংখ্যক রাজাকার ছাড়া বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। মানুষ তিনভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। মুক্তিবাহিনী যুদ্ধ করেছে, গেরিলাযুদ্ধ করেছে। গেরিলাযুদ্ধ যারা করেছেন তাদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। এটা ছাড়া গেরিলাযুদ্ধ সফল হয় না। যুদ্ধ করে মানুষ একটা বিজয় অর্জন করেছে। এই অবস্থায় সংবিধান রাচনার জন্য একটা সভা ডাকা উচিত ছিল। আমাদের দেশে এটা করা হয়নি।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে অমুসলমান সম্প্রদায়ের মুসলমান ছাড়া ওপরের যারা (সামাজিক গ্রুপ, ধর্মীয় গ্রুপ) তারা লাভবান হয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এই না যে, গোটা সংখ্যালঘু কমিউনিটি উপকৃত হয়েছে। নেতারা সরকারের সঙ্গে আপস করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। আজকে সরকার পরিবর্তন হয়, তাহলে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নেমে আসতে পারে। এটা কারণ সংখ্যালঘু এলিট গ্রুপ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে হিন্দুদের জমি ৭৩ ভাগ দখল করেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। বিএনপির সময় তারা পেয়েছে, জাতীয় পার্টির নেতারা পেয়েছে। সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আমি চাই, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকুক।

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় টকশোতে ডাকা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যারা দায়িত্বে থাকেন তারাই আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় আওয়ামী লীগার হয়ে যান। তারা দেখছেন লাভ আছে। তারাই নিজেদের স্বার্থে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ব্যবহার করে। আমাকে এ পর্যন্ত একদিনও ফোন করেননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমি তো লিখে যাচ্ছি। কীভাবে লিখে যাচ্ছি। দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তারাই আকামটা করছে। এটা ৯০ শতাংশ, তারা যেহেতু দল করে। শরমের কারণে অন্যদের দোষ দেয়। হয়তো ১০ শতাংশের সত্যতা আছে।

শেয়ার করুন