২৩ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ৬:৪০:৫৭ অপরাহ্ন


মানুষের চোখের ভাষা বুঝুন, দেয়ালের লিখন দেখুন- মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৩-২০২৩
মানুষের চোখের ভাষা বুঝুন, দেয়ালের লিখন দেখুন- মির্জা ফখরুল


বিরোধী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে সরকার ‘নতুন পদ্ধতি’ আবিস্কার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার বিকালে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘‘ এখন কল্পনা করতে পারেন- কোনো একটি গণতান্ত্রিক দলের ৩৫ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এটাও তারা করেছে। একদিকে ভালো যে, যারা মামলাগুলো দেয় তাদের কাছে একেবারে টাইপ করা ফর্মের মধ্যে করে এফআইআরের কপি দেয়া আছে। সব থানায় দিয়ে দেয়, সেই কপিটা নিয়ে গিয়ে সকলের নাম ঢুকিয়ে দেয়।  এটা তারা নিসন্দেহে নতুন একটা সৃজনশীল পদ্ধতি আবিস্কার করেছে কি করে নির্যাতন করা যায়, নিপীড়ন করা যায়, বিরোধী দলকে দমন করে রাখা যায়। এই যে ১৪/১২ বছর ধরে এই কাজটা (নতুন পদ্ধতির) তারা (সরকার) করছে।”

 মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘২০১৩ সাল থেকে শুরু করেছিলো গুম করে দেয়া ইলিয়াস আলীকে করেছে, চৌধুরী আলমকে করেছে। হাজারে মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে, থানায় নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে, পায়ে গুলি করে পঙ্গু করে দিয়েছে.. ৩৫ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে তাতে কি আমাদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোনো রকমের ভয় সৃষ্টি হয়েছে? তাতে কি এই সমাবেশ বন্ধ করা গেছে? তাতে কি ৬ আগস্ট থেকে আমরা যে সমাবেশ শুরু করেছিলাম তা কি বন্ধ করা গিয়েছিলো, এই অফিসে সামনে যে ঘটনা করেছে তাতে কি বিএনপির আন্দোলনকে বন্ধ করতে পেরেছে।”

‘‘ আওয়ামী লীগকে বলব, এসব থেকে শিক্ষা নেন। দেখেন জনগনের ন্যায় সঙ্গত দাবিকে কখনো কোনো অস্ত্র দিয়ে দাবিয়ে রাখা যায় না, অতীতেও যায়নি। বুহ প্রতাপশালী ডিক্টেটর, বহু প্রতাপশালী নামী নেতা যে পৃথিবী জয় করেছিলো হিটলার। এক সময়ে সে মনে করল যে, গোটা পৃথিবী সে জয় করে ফেলেছে। যখন স্ট্যালিন বললো তুমি ফিরে যাও, আমি চলে যাচ্ছি তখন সে বললো যে, না আমি থামবো না, আমি ওই রাশিয়া দখল করব। সেটা তো করতে পারেনি। তারপর তার পরাজয় শুরু হয়েছে বার্লিনে। মাকিন দলের ভয়ে গুহার মধ্যে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছে সাদ্দাম পারেনি। মোসেলিন পারেনি। পারে না। জনগনের বিরুদ্ধে কেউ টিকতে পারে না।”

সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘ আমি বার বার বলেছি-আপনারা মানুষের ভাষা বুঝতে পারছেন না, আপনারা দেয়ালের লিখন দেখতে পারছেন না। দয়া করে মানুষের চোখের ভাষা বুঝুন, দেয়ালের লিখন দেখুন।”

১০ দফার চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য নেতা-কর্মীদের আরো সংগঠিত হওয়ার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব। সমাবেশে রুহুল কবির রিজভী, মীর সরাফত আলী সপু, মোনায়েম মুন্না, এসএম জাহাঙ্গীরসহ সকল নেতা-কর্মীর মুক্তি দাবি করেন তিনি।

নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুব দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও যুব দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, সহসভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিনসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

যুব দলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্ল্হা আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আবদুস সালাম আজাদ, কামরুজ্জামান রতন, মীর নেওয়াজ আলী, যুব দলের মামুন হাসান, নুরুল ইসলাম নয়নসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।


শেয়ার করুন