২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০২:৩১:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


রিজার্ভের অর্থ চুরি
আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আরসিবিসির আপিল
দেশ রিপোর্ট:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০১-২০২৩
আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আরসিবিসির আপিল


যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির মামলা বাতিলের দুটি আবেদন ১৩ জানুয়ারি খারিজ করে দেয় নিউইয়র্কের আদালত। এবার আদালতের সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন বা আরসিবিসি। খবর রয়টার্স ম্যানিলা টাইমসের।

আরসিবিসি বলেছে, বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় কোনোভাবেই আরসিবিসির দায়বদ্ধতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। জন্য আরসিবিসি মামলাটিকে জোরালোভাবে মোকাবিলা করতে থাকবে। পাশাপাশি মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে আপিল করাসহ সমস্ত বিকল্প বিবেচনা করবে।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে নিউইয়র্কের ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দুই কোটি ডলার শ্রীলঙ্কা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি আট কোটি ডলারের বেশি ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছে চলে যায়। ওই অর্থ এখনো ফেরত পায়নি বাংলাদেশ।

চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর দ্য সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্ক বা ফেডারেল আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। মামলায় আরসিবিসিসহ ২০ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে অভিযুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

পরে ওই মামলা বাতিলে সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করে আরসিবিসিসহ ছয় ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ফেডারেল আদালত ২০২০ সালের ২০ মার্চ মামলা বাতিলের ওই আবেদন খারিজ করে মামলাটি ফেডারেল আদালতের বদলে স্টেট কোর্টে পরিচালনার নির্দেশ দেন। এরপর ২০২০ সালের ২৭ মে নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্ট তথা, স্টেট কোর্টে নতুন করে মামলা করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের করা এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে নতুন আদালতেও মামলা বাতিলের আবেদন করে আরসিবিসিসহ ছয় আসামি। তাদের আবেদনের ওপর একাধিক দফায় শুনানি হয়।

সর্বশেষ ১৩ জানুয়ারি নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্ট আরসিবিসি ছয় আসামির করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেয়। রায়ে নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, নিউইয়র্কের ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ক্ষেত্রে আরসিবিসির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যোগসাজশ ছিল। আরসিবিসির নিউইয়র্কের হিসাব এবং আরসিবিসির ফিলিপাইনের অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না থাকলে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে অর্থ অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ ছিল না।

নিউইয়র্কের আদালত আরসিবিসিসহ অভিযুক্ত আসামিদের আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের জবাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বিষয়ে মধ্যস্থতারও নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। মামলা খারিজের আবেদন বাতিলের সর্বশেষ রায়ের বিরুদ্ধে এবার আদলতে আপিল করেছে আরসিবিসি।

শেয়ার করুন