২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৩:৫০:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ
৭১ সালের পাকিস্তানি বাহিনীকেও হার মানিয়েছে বর্তমান সরকারের নির্যাতন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-১১-২০২৩
৭১ সালের পাকিস্তানি বাহিনীকেও হার মানিয়েছে বর্তমান সরকারের নির্যাতন বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে


বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড এবং পরবর্তী সময়ে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার, রিমান্ডে নির্যাতন এবং দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ পালনকারী বিএনপি নিতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা, নির্যাতন, অত্যাচার ও বাসে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি, নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ এবং উত্তর বিএনপির যৌথ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার সিটি প্লাজায়।

নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব বদিউল আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট। সম্মানিত অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী কমিটিন সদস্য সচিব ও বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন ভুইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভূইয়া, নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ফয়েজ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর এম আলম, স্টেট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু, বিএনপি নেতা রিয়াজ মাহমুদ, দেওয়ান কাউছার, মোতাহার হোসেন, নাসিম আহমেদ, নাছির আহমেদ, গোলাম এম হায়দার মুকুট, খলকুর রহমান, ইমরান শাহ রন, আব্দুর রহিম, সৈয়দ গাউসুল হক, আনোয়ার জাহিদ, শাহীন চৌধুরী, কামরুল হাসান, আলী রাজা, কামরুল হাসান, মনির হোসেন, দিলরুবা আক্তার, মোহাম্মদ লিয়াকত আলী, আনোয়ারুল আলম খুইয়া, আব্দুল মুক্তাদির প্রমুখ।

আব্দুল লতিফ সম্রাট বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন যতদিন পর্যন্ত না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিশ্চিত করতে চাই এই সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করেই আমরা ঘরে ফিরে যাবো।

গিয়াস আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে যে হারে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর যেভাবে নির্যাতন-অত্যাচার করেছে, ঠিক সেভাবে শেখ হাসিনার পেটোয়া বাহিনী বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন এবং হামলা-মামলা করছে। তিনি বলেন, এই সরকার স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি নয়। কারণ তারা বীর উত্তম এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরও গ্রেফতার করছে।

মিজানুর রহমান মিল্টন ভূইয়া বলেন, আমাদের এখন আর সময়ই নেই। আমাদের সবার উচিত সর্বত্র আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া। তিনি বলেন, আমাদের আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান লন্ডনে বসেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এই আন্দোলনে আমাদের জয় নিশ্চিত।

হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘনিয়ে এসেছে। যে কারণে বিএনপিকে নেতৃত্ব শূন্য করার চেষ্টা করছে। সরকারের যখন পতন নিশ্চিত হয়, তখনই বিরোধীদের ওপর এই ধরনের নির্যাতন নেমে আসে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, শেখ হাসিনার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।

ফয়েজ চৌধুরী বলেন, আন্দোলন, গ্রেফতার, হামলা-মামলা করে আন্দোলন দমানো যাবে না। গ্রেফতার নির্যাতনে আন্দোলন আরো বেগবান হবে। তিনি বলেন, এই আন্দোলনে স্বৈরাচারের পতন হবেই।

জাহাঙ্গীর এম আলম বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও রিমান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এই সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার।

সভাপতি মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান প্রতিবাদ সমাবেশ সফল করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, যে কোনো সময় প্রতিবাদের ডাক এলে আপনারা চলে আসবেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে সরকারবিরোধী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়। এছাড়াও জ্যাকসন হাইটসে ঝটিকা মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি জ্যাকসন হাইটসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

শেয়ার করুন