২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৫:০৩:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


পদ্মা সেতু “বীর মুক্তিযোদ্ধা সেতু” নামকরনের দাবী
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৪-২০২২
পদ্মা সেতু “বীর মুক্তিযোদ্ধা সেতু” নামকরনের দাবী পদ্মা বহুমুখী সেতু


আমি বাংলাদেশী জাতির গৌরবের প্রতীক পদ্মা বহুমুখী সেতুর নাম মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সেতু’নামকরণ করার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে রেল সংযোগের অবশিষ্ট কাজ  সম্পন্ন না করে তড়িঘড়ি করে উদ্বোধোন না করার জন্য সুপারিশ করছি। 

বহুমুখী সেতুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ রেলওয়ে লাইন নির্মাণ কাজ শেষ না করে জুন মাসে সেতু যান চলাচলের জন্যে খুলে দেয়ার ঝুঁকি নিতে হবে? আমাদের শ্রদ্ধেয় বুয়েট গর্ব ডক্টর জামিলুর রেজা চোধুরী স্যার প্রয়াত। তাই অন্য কারো সঙ্গে আলাপ করে নিশ্চিত হতে পারছি না, সেতু চালু হলে রেল লিনের নির্মাণ কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা? সেতুটি ৫-১০ বছরের জন্য নির্মিত হচ্ছে না। অন্তত শতবর্ষ সেতুটি জাতির উন্নয়নের স্বর্ণ দুয়ার হিসাবে কাজ করবে।  আমি মনে করি না কোনো রাজনৌতিক সুবিধা অর্জনের মানসে সেতুটি নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেয়া সুবিবেচনা প্রসূত হবে। সেতুটির সব কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে চালু হতে পারে। যদিও প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে সংসদে এ ধারনাই দিয়েছেন। রেল, সড়ক যোগাযোগ, গ্যাস, বিদ্যুৎ, ফাইবার অপটিক্স, এবং আনুষঙ্গিক বাবস্থাদি সহ স্বপ্নের সেতু চালু হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বর্ণ দুয়ার খুলে যাবে। দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ভাঙা উপজেলার অধিবাসী হিসাবে পুলকিত মনে হচ্ছে। তবে আবারও বলছি সীমিত রাজনৌতিক স্বার্থে যেন রেল যোগাযোগ কাজের কিছু অংশ চালু থাকার পাশাপাশি সেতু সড়ক যোগাযোগের জন্য খুলে দেয়ার যেন অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়া না হয়। 

মনে আছে, বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু উদ্বোধনের আগে- পানি দিয়ে চাপ পরীক্ষার সময় আনারীর মতো নির্মিত গ্যাস সঞ্চালন ভেঙে নদীতে পরে যায়। তখন অতি উৎসাহী গোষ্ঠী ইস্টার্ন টিউবস থেকে দুই ইঞ্চি বাসের পাইপ সেতুর গার্ডার দিয়ে নির্মাণ করে সেতু উদ্বোধনের কার্যক্রম শুরু করেছিল। ঝুঁকির কথা চিন্তা করে সেসময় আমরা কয়েকজন, কোনো ভাবে প্রধানমন্ত্রীর কানে ঝুঁকির বিষয়টি জানিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরে সেতু উদ্ভোধনের সময় গ্যাস পাইপলাইন চালু করার শিশুসুলভ কার্যক্রম বাতিল করে দিয়েছিলেন।

একই ভাবে আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো, বহুমুখী সেতুর কাজ সর্বাঙ্গীনভাবে সমাপ্তির পর সম্ভব হলে ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ সকল ধরণের সড়ক এবং রেল চলাচলের জন্য খুলে দিতে। সেই সঙ্গে সুপারিশ করবো সেতুটির নামকরন যেন " বীর মুক্তিযোদ্ধা সেতু " নামকরণ করতে।

শেয়ার করুন