১৯ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৯:৫৯:৩১ অপরাহ্ন


সুজনের গোলটেবিল বৈঠক
৫০ বছরে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৪-২০২৩
৫০ বছরে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি সুজনের গোলটেবিল বৈঠকে অতিথিবৃন্দ


‘সুজন-সুশাসনের জন্যে নাগরিক’ এর সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেছেন, গত ৫০ বছরে দলীয় সরকারের অধীনের সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি বা দেখিনি। এবারও তাই হবে বলে মনে হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে বড় ধরনের গণঅভ্যুত্থান হবে বলেও মনে হচ্ছে না। ঘুরে ফিরে ওই একটি কথাই আসে- নির্দলীয় সরকার চাই। ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন, সাংবিধানিক কাঠামো ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক ‘সুজন-সুশাসনের জন্যে নাগরিক’-এর উদ্যোগে গত ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার অনলাইন গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সুজন-এর সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকটিতে লিখিত প্রবন্ধ পড়ে শোনান সংগঠনটির সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। প্যানেল আলোচক ছিলেন সুজন সহ সভাপতি বিচারপতি এম এ মতিন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড.এম সাখাওয়াত হোসেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলী রীয়াজ, চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো ড. রিদওয়ানুল হক। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল অধ্যাপক, সুজন কোষাধ্যক্ষ সাবেক ব্যাংকার সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।

ড. বদিউল আলম মজুমদার তাঁর লিখিত প্রবন্ধে বলেন, নির্বাচন একদিনের বিষয় নয়, এটি একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া- দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন থেকে শুরু করে, নির্বাচনী প্রচারণা, এজেন্ট নিয়োগ, ভোটারদের ভোট প্রদান, নির্বাচনী বিরোধ নিরসন পর্যন্ত সব প্রক্রিয়ায় প্রার্থীদের সমান সুযোগ না থাকলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় না। গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ড গুলো হলো: (১) সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমসুযোগ সৃষ্টি করতে পারে এমন একটি আইনী কাঠামো থাকা, (২) ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়ায় যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য তাদের ভোটার হতে পারা; (৩) যারা প্রার্থী হতে আগ্রহী তাদের প্রার্থী হতে পারা; (৪) ভোটারদের সামনে বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প প্রার্থী থাকা; (৫) নির্বাচনী এলাকার সীমানা কতগুলো মানদন্ডের ভিত্তিতে সঠিকভাবে নিধারিত হওয়া; (৬) জেনে-শুনে-বুঝে সঠিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য প্রার্থীদের সম্পর্কে ভোটারদের সামনে যথাযথ তথ্য থাকা; (৭) ভোটারদের ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারা; (৮) অর্থ কিংবা সহিংসতার মাধ্যমে ভোটদের প্রভাবিত করার অপচেষ্টা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকা; (৯) ভোট গণনা সঠিকভাবে হওয়া; (১০) নির্বাচনী বিরোধ দ্রুততার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে মীমাংসিত হওয়া; সর্বোপরি (১১) ভোট  গ্রহণের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, কারসাজিমুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য হওয়া। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে যুক্ত এসব সাংবিধানিক বিধিবিধান সত্ত্বেও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ও বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছিল। পরবর্তীতে বিরোধী দলগুলোর  আন্দোলনের মুখে ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়। বস্তুত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছিল নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দলগুলোর মধ্যে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা বা রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। নির্বাচনকালীন সময়ে কোনো দলীয় সরকারের প্রভাব না থাকায় সকল রাজনৈতিক দলের জন্য ক্ষমতায় যাওয়ার সমসুযোগ সৃষ্টি হয়। এরপর ২০০৪ সালে বিএনপি সরকার সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে দিয়ে নির্দলীয় সরকারকে নিজেদের করায়ত্ত করার প্রচেষ্টা চালায়। পাশাপাশি আর একটি নগ্নতম প্রচেষ্টা হয় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে ১৯৯১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত চারটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের এক সংক্ষিপ্ত বিভক্ত আদেশের মাধ্যমেপ্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ‘প্রসপেকটেভলি” বা ভবিষ্যতের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। তবে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার অনুমতি দেন। অর্থাৎ আদালত পরবর্তী দুই নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রেখেই তা সংস্কারের প্রস্তাব করেন। এর আগে আদালত কর্তৃক পঞ্চম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণার প্রেক্ষিতে সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে ২১ জুলাই ২০১০ বেগম সাজেদা চৌধুরীকে চেয়ারপার্সন এবং সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে কো-চেয়ারপার্সন করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি বিশেষ সংশোধনীয় কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটি দীর্ঘদিন আলাপ আলোচনা ও ১০৪ জন বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিসহ সমাজের সকল স্তরের প্রতিনিধির সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে ২৯ মে ২০১১- অর্থাৎ আদালতের ১০ মে ২০১১ তারিখের সংক্ষিপ্ত আদেশের ১৯ দিন পর- তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল রেখে সংবিধান সংশোধনের একটি সর্বসম্মত সুপারিশ প্রণয়ন করে। পরদিন ৩০ মে ২০১১ তারিখে বিশেষ কমিটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাদ দিয়ে সংবিধান সংশোধনের ঘোষণা দেয়।

এরপর ৩১ মে বিশেষ সংসদীয় কমিটির কো-চেয়ারপার্সন ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংবাদ সম্মেলন করে উচ্চ আদালত কর্তৃক অবৈধ ঘোষণার কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখা সম্ভব হবে না বলে দাবি করেন, যা ছিল আদালতের রায়ের একটি ভয়াবহ অপব্যাখ্যা। একই দিনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ও আদালতের রায়ের একই অপব্যাখ্যা প্রদান করেন। পরবর্তীতে ৫ জুন ২০১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির প্রস্তাব করে বিশেষ সংসদীয় কমিটি তার সুপারিশ চূড়ান্ত করে, যার প্রেক্ষিতে ৩০ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ হয়। 

সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাশের ১৬ মাস পর ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১২তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে ভবিষ্যতের জন্য অসাংবিধানিক ঘোষণা করে উচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ে সংসদ অনুমোদন করলে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীনে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হলে সংসদের সম্মতির প্রয়োজন হবে, যা ছিল ২০১১ সালের ১০ মে তারিখের সংক্ষিপ্ত আদেশের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।

তিনি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক তথা গ্রহণযোগ্য করতে হলে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তোলা আজ জরুরি। 

নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্থে যা থাকতে পারে তা হলো: ১. নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে ঐকমত্য, ২. সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক সংস্কার, ৩. জাতীয় সংসদ, নির্বাচন কমিশন-সহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা, কার্যকারিতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, ৪. আইনের শাসন নিশ্চিত করা ও মানবাধিকার সংরক্ষণ, ৫. রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন এবং একটি ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন।

এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, গত ৫০ বছরে দলীয় সরকারের অধীনের সুষ্ঠু নির্বাচন দেখিনি। এবারও তাই হবে বলে মনে হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে বড় ধরনের গণঅভ্যুত্থান হবে বলেও মনে হচ্ছে না। ঘুরে ফিরে ওই একটি কথাই আসে- তাই নির্দলীয় সরকার চাই।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রধান দুটি দলের যে কোনো একটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। তাই এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে যাতে দুটি দলই অংশগ্রহণ করে। আর এ জন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে যেগুলো আসনে প্রয়োজন নেই। মূল দরকার আইনের প্রয়োগ। 

রিদওয়ানুল হক বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনকে কোনোভাবেই সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক বলা যায় না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দলের নামমাত্র অংশগ্রহণ ছিল। সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত থাকবে এবং প্রশাসনের সকল স্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিধিদের মাধ্যমে কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কথা বলা আছে। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ১১ অনুচ্ছেদের পরের অংশটি বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে কয়েকটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের পর পঞ্চদশ সংশোধনীয় মাধ্যমে সেটি বাদ দেওয়া হয়। প্রতিনিধিত্বমূলক, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনই বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের উপায়। গণতন্ত্রের প্রয়োজনে, মানুষের স্বার্থে নির্দলীয় সরকারের অধীনের নির্বাচন দিলে তা সাংবিধানিক হবে। 

আলী রীয়াজ বলেন, মূল সংকটটা হলো রাজনৈতিক। সংকটা সাংবিধানিক সংকট না, অংশগ্রহণমূলক বহুদলীয় গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না তার সংকট। রাজনীতিকে এককেন্দ্রিক করার প্রবণতা। যেভাবেই হোক পুনঃ পুনঃ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতায় আসতে হবে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সংবিধান সংশোধন করা হচ্ছে। কার্যত অগণতান্ত্রিক দৃশ্যত গণতান্ত্রিক একটি ব্যবস্থা টিকিয়া রাখা হচ্ছে, যেখানে দল থাকবে কিন্ত গণতন্ত্র থাকবে না। অর্থাৎ দলীয় একটি আবহ থাকবে কিন্তু বহুদলীয় গণতন্ত্র থাকবে না। 

আগামীতে তিনটা পথ আমাদের সামনে আছে:  যা আছে তাই থাকবে, যার পরিণতি হবে কম্বোডিয়ার মতো। দ্বিতীয় পথ হচ্ছে, সংবিধান সংশোধন বিষয়ক বিশেষ কমিটি ২৯ মে ২০১১ তারিখ পর্যন্ত যে অবস্থানে ছিল সেখানে ফিরে যাওয়া অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা। তিন নম্বর হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার না এনে করতে চাইলে একটা ছোট ক্যাবিনেট করা যায়, যেখানে ৯০ শতাংশ নির্বাচিত ১০ শতাংশ অনির্বাচিত এবং তাঁরা নির্বাচন করবেন না। প্রেসিডেন্ট ১০ জন উপদেষ্টা নিয়োগ করবেন। 

এম এ মতিন বলেন, বর্তমান সংকটটি রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক উভয়েই। অনেক সংকটের মূলে আছে রাজনীতি, কিন্তু সমাধান করতে হবে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে।

আসিফ নজরুল বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র শুধু না বাংলাদেশ অস্থিত্ব নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনের ওপর। অর্থনীতি, পরিবেশ, রাজনীতি সব কিছু নির্ভর করছে এর ওপর। যদি স্বরাষ্ট্র, তথ্য আর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীর অধীনে দিতে হবে, কালাকানুন বাতিল করতে হবে, পর্যবেক্ষকদের সুযোগ করে দিতে হবে। 

তোফায়েল আহমেদ বলেন, যত সংস্কারই করা হোক মানুষ ভোট দিলে গণ্য হবে এটি দৃশ্যমান হতে হবে। কিন্তু মানুষ নির্বাচনের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ভোটকেন্দ্রে আসছেন না। প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করলে ভোটে একটি ভারসাম্য আসতে পারে। 

আহসান এইচ মনসুর বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সঠিভাবে চর্চা না হলে জবাবদিহিতার অভাবে অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য সংকট তৈরি হয়। এখন সবকিছু ব্যরোক্রেসির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। কারণ নির্বাচনে জিততে হলে ব্যুরোক্রেসি লাগবে। দুর্নীতি একদম তৃণমূলে চলে গেছে।

শেয়ার করুন