এইতো চলে গেলো শীতের পৌষালি দিন
সবুজ ঘাসের বুকে শিশিরের মুক্তো হাসি,
ফাগুনের বিদায় ণে বিষন্ন কোয়েল ঝিমোয় একাকী-
নিঃসীম দিগন্তরেখায় উড়ে যায় অতিথি পাখি
প্রখর রৌদ্রে পুড়ে সবুজ পল্লব, বাংলার কারুকাজ।
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো-
বাঙালির প্রাণে বাজে
নতুনের আগমনী সংগীত
প্রভাতের আবির আলোয় বসে বৈশাখী মেলা-
বাঙালির চিরন্তন জলছবি ফুটে ওঠে
রমণীর এলোচুলে, শাড়ির আন্দোলিত আঁচলে।
টেপা পুতুল, খৈ-মুড়ি, পাতার বাঁশির তানে
সচকিত মেলায় আনন্দের চড়কী ঘোরে
খরাতাপিত বাউরি বাতাস সন্তরায় আদিগন্ত।
চৌচির ফসলের মাঠ, হাঁটুজলে জল নেই
দারুণ খরায় জল চাই জল, তৃষিত প্রাণ উচাটন
উদ্বাহু জনতার কণ্ঠ নিসৃত হাহাকার
আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে, ছায়া দে রে তুই-
কৃষকের উদাস দৃষ্টি ছুঁয়ে রয় ধোঁয়াশা দিগন্তে
ঈশান কোণে মেঘের বুক চিড়ে ঝলকায় বিদ্যুত,
গগনব্যাপী বাজে ডম্বুরু, বৈশাখী ঝড়ে উড়ে যায়
ধুলির ধূসরতা, বিগত বছরের জঞ্জাল।
নূপুরের তালে ঝরে অঝোর বৃষ্টির গান-
স্নিগ্ধ স্নাত বৃ তরুলতা, জলজ মৃত্তিকার
বুক ফুঁড়ে মাথা তোলে নব কিশলয়,
নতুন প্রত্যয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাঙালি
বুকে তার ধ্বনিত হয় বারংবার
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো-