২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০১:১৩:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


দীর্ঘক্ষন ব্যাটিংয়ে পাহাড়সম রান করে উল্টা চাপে বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৬-২০২৩
দীর্ঘক্ষন ব্যাটিংয়ে পাহাড়সম রান করে উল্টা চাপে বাংলাদেশ শেষ বিকেলের সাফল্য। দুই উইকেট নিয়েছে,বাকী ৮ উইকেটের প্রত্যাশায় বাংলাদেশ/ছবি সংগৃহীত


বৃষ্টিতে উল্টা শংকা জেগেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মধ্যে। জয়টা হাতছাড়া হবে না তো! মিরপুর টেষ্টের এখণ বাকী দুইদিন। এ দুইদিনে আফগানিস্তানের বাকী ৮ উইকেট তুলে নেয়া খুব কঠিন কোনো কাজ নয়। বরং এ দুইদিনের কতটুকু সময় খেলা হবে সেটা নিয়েই বড্ড দুশ্চিন্তা। 

খেলা হচ্ছে আষাঢ় মাসে। বাংলাদেশে আষাঢ় মাসে টেষ্ট কেন কোনো ক্রিকেট ম্যাচ হয় এ রীতি কম। তবু এ সময়েই সিডিউল। সবই ঠিকঠাক ছিল। প্রথম তিনদিন বেশ ভালই খেলা হয়েছে। বৃষ্টি বিঘ্ন ছিলনা। কিন্তু শঙ্কা শেষ দুইদিনে। অথচ খেলাটা হওয়া বড্ড প্রয়োজন বাংলাদেশের জন্য। খেলায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে। দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানিস্তানের ৮ উইকেট নিলেই টেষ্ট জয়। কিন্তু এ জয়ের উৎসবটা বাংলাদেশ তৃতীয় দিনেও করতে পারতো কি-না এ নিয়ে এখন অনেক সমালোচনা। জয় না পেলেও হয়তো দুই তিনটি উইকেট থাকতো। যা চতুর্থ বা পঞ্চম দিনে কিছুটা সময় পেলেই শেষ করে দেয়া যেত। কিন্তু সেটা এখণ কী আর সম্ভব? আকাশ ও আবহাওয়া রিপোর্টের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। আজ তৃতীয় দিন সন্ধ্যার পর তুমুল বৃষ্টি ঢাকাজুড়ে। যে পরিমান বৃষ্টি হয়েছে তাতে চতুর্থ দিন মাঠ শুকিয়ে কখন খেলা শুরু হবে সেটা প্রশ্ন। তাছাড়া বৃষ্টি যদি চতুর্থদিন সকালে বা দুপুরে নেমে বসে তাহলেও দিনের খেলা বিলীণ হয়ে যাবার শঙ্কা। আবহাওয়ার পূর্বাভাস এমনটাই দিচ্ছে। বৃষ্টি থাকবে পঞ্চম দিনেও। 

অথচ বাংলাদেশ যথার্থ টার্গেট দিয়েও অযথা সময় নষ্ট করে ব্যাটিং করে গেছে। ৬২২ রান চতুর্থ ইনিংসে কেউ টার্গেট দেয় এমন নজীর খুব কম। যে দলটি প্রথম ইনিংসে দাড়াতেই পারেনি। ১৪৬ রানে অলআউট। সে দলের সামনে ওই বিশাল টার্গেট দিতে যেয়ে সময় নষ্ট করার কী অর্থ হতে পারে। ব্যাটিং প্রাকটিস? হতে পারে। কিন্তু ম্যাচের জয় জলাঞ্জলি বা হুমকির মধ্যে রেখে অমন ব্যাটিং প্রাকটিসের কী অর্থ। বাংলাদেশ তৃতীয় দিনে লাঞ্চ বিরতিতে ২৫৫ রান করে ৪৯১ রান লীড নিয়ে নেয়। উচিৎ ছিল তখনই ডিক্লেয়ার করে দেয়া। বাকী দুই সেসনে আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনের উপর ঝড় তোলা যেত। তাতে জয় উৎসব না হলেও কাছাকাছি চলে যেতেও পারতো। কিন্তু সেটা হয়নি। বাংলাদেশ ডিক্লেয়ার করেছে যেয়ে চা বিরতির পরও এক ঘন্টার বেশী সময় খেলে। অর্থাৎ চা বিরতির পর ব্যাডলাইট দেখে ডিক্লেয়ার করে। এরপর আফগানিস্তান খেলতে নেমে ১১ ওভার খেলার সুযোগ পায়। বাংলাদেশের এমন টাইম কিলিংয়ের কী অর্থ সেটা অধিনায়ক লিটন কুমার দাসই ভাল বলতে পারবেন। 

উল্লেখ্য, প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৩৮২ এর পর আফগানিস্তান ১৪৬ রানে অলআউট। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৪২৫/৪ ডিক্লেয়ার করার পর শেষের ওই দৃশ্য। 


শেয়ার করুন