সংগীত পরিবেশন করছেন জেমস
মুখে দাড়ি-গোঁফ, লম্বা চুলের ওপর মাথায় বাঁধা ধূসর রঙের কাপড়, পরনে কালো টি-শার্ট ও জিনসের প্যান্ট, পায়ে বাদামি রঙের চামড়ার জুতা, কাঁধে চিরচেনা গিটার ঝুলিয়ে তারুণ্যের প্রতীক জেমস উঠলেন মঞ্চে ৪ জুন সন্ধ্যায়। দর্শক গ্যালারি মুখর হয়ে উঠলো ‘লাভ ইউ গুরু’ এবং ‘জয় গুরু’ ধ্বনিতে। জ্যামাইকার আমাজুরা হলের দেড় হাজার আসন কানায় কানায় পূর্ণ। দাঁড়িয়ে ছিলেন আরো দুই-চারশ দর্শক। জেমস গান শুরু করতেই নেমে এলো পিনপতন নীরবতা। টানা সাড়ে ১০টা গান গাইলেন জেমস। নগরবাউল জেমস লাইভ ইন কনসার্ট আয়োজনে মেতে উঠলো নিউইয়র্কের বাঙালি সমাজ।
হলের ভেতরে যখন জেমস উন্মাদনা তখন হলের বাইরে শোটাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলম ঘোষণা করলেন ‘সোল্ড আউট’। তখনো শতক লোকের দীর্ঘলাইন। এই কনসার্টের প্রবেশমূল্য রাখা হয়েছিল জনপ্রতি ৩০ ও ৫০ ডলার। ভিআইপি টিকেট ১০০ ডলার আর সিআইপি টিকেট ২০০ ডলার। অন্যান্য অনুষ্ঠানের মতো ছিল না দীর্ঘ বক্তৃতাবাজি! তাই কনসার্টটি প্রাণভরে উপভোগ করেছেন ব্যান্ড সংগীতপ্রেমী অভিবাসীরা।
তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। হিজাব পরা তরুণী আম্বিয়া খাতুন বলেন, ইটস ফ্যান্টাস্টিক। এর আগে এমন আয়োজনে জীবনে আসিনি। আমার খুব ভাল্লাগছে। সবাই মিলে খুব এনজয় করেছি।’
শোটাইমের আলমগীর খান আলম বলেন, আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে এই কনসার্টে দর্শক এসেছেন। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় এমন আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। নিউইয়র্কে ২০১৮ সালে এমনভাবে মাতিয়ে ছিলেন গুরু। এই আমাজুরা হলে আগামী ২৫ জুন তিনি আবার গাইবেন শোটাইমের ঢালিউড ফিল্ম অ্যান্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে। যারা এবার টিকেট সংকটের জন্য দেখতে পারেননি আশা করছি, তারা আগেই টিকেট কেটে রাখবেন।
জেমসের একনিষ্ঠ ভক্ত তরুণ ব্যবসায়ী হেলাল মিয়া বলেন, জেমসের কোনো কনসার্ট আমি মিস করি না। এই কনসার্টে এসে আমি অভিভূত। বন্ধুবান্ধব সবাই মিলে নেচে-গেয়ে আনন্দ করেছি মনের মতো করে। গুরু অন্তত আমার প্রিয় ১৫টি গান গেয়েছেন; যা আমি এর আগে কোন কনসার্টে শুনিনি।
