নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে গত ২৩ জুন ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করে। অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও কূটনীতিকবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কমিউনিটির রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিরাসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে কনস্যুলেট জেনারেলকে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আলোকে সজ্জিত করা হয়।
কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং পহেলা বৈশাখকে বাঙালির প্রাণের উৎসব বলে অভিহিত করেন। কনসাল জেনারেল যোগ করেন যে, ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’ বলে স্বীকৃতি প্রদান করায় এটি দেশের গ-ি পেরিয়ে বৈশ্বিক উৎসবের রূপ নিয়েছে। কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশ তথা, বিশ্বসাহিত্যের অমূল্য সম্পদ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন যে, বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশে তাদের অবদান চিরস্মরণীয়। কনসাল জেনারেল পহেলা বৈশাখের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য এবং রবীন্দ্র-নজরুলের চিন্তা-চেতনা ও দর্শন বিশ্বশান্তি, সাম্য-ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, গ্রামবাংলার লোকজ গান, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হয়। কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, শহিদ হাসান, তাজুল ইমাম ও দিনাত জাহান মুন্নীসহ খ্যাতনামা শিল্পীগণের পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের বিমোহিত করে। নিউইয়র্কস্থ সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা) ও মেজেজা আশ্রাফ মোনালিসার ছন্দপূর্ণ সৃজনশীল নৃত্য ও গোপন সাহার আবৃত্তি অতিথিদের মুগ্ধ করে।