২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৮:১৯:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগরের বনভোজনে ড. আবু জাফর মাহমুদ
বাংলাদেশি আমেরিকানদের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য একতা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৭-২০২৩
বাংলাদেশি আমেরিকানদের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য একতা বক্তব্য রাখছেন আবু জাফর মাহমুদ


গ্লোবাল পিস অ্যাম্বাসেডর ড. আবু জাফর মাহমুদ বাংলাদেশিদের একে অপরের মধ্যে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। একতাই আমাদের শক্তি, বাংলাদেশি আমেরিকানদের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য। তিনি গত ২৩ জুলাই রোববার ব্রঙ্কসের ফেরী পয়েন্ট পার্কে সিলেটের ‘বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর প্রবাসী কল্যাণ সোসাইটি আয়োজিত বার্ষিক বনভোজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির কৃতী ব্যক্তিত্ব, বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিসেস ও অ্যালেগ্রা হোম কেয়ার ইনকের প্রেসিডেন্ট-সিইও ড. আবু জাফর মাহমুদ ওই বনভোজন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর পরিবারের সঙ্গে একাত্ম হতে পারায় আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। একই সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি তিনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নামে উৎসর্গ করেন।

‘বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর প্রবাসী কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনওয়াইপিডির কর্মকর্তা খন্দকার আব্দুল্লাহ, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ডা. জুননুন চৌধুরী, উপদেষ্টা নাজমুল চৌধুরী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ফয়জুর নূর চৌধুরী ও নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিখ এডামসের অফিসের প্রতিনিধি। জুয়ায়েব চৌধুরী ও কাউছার আহমেদের উপস্থাপনায় পিকনিকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সৈয়দ এনাম আহমেদ। অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. আসাদ মিয়া, বিশ্বনাথ সমিতির উপদেষ্টা আলমাস আলী, প্রেসিডেন্ট সেবুল খান মাহবুব, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন কামালী, মিজানুর রহমান মিজান, সাইফুর  খান হারুন, ফয়েজ চৌধুরী, তানিম চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ, আলম খান, তৌফিকুল আলম, মোহন মিয়া, সারওয়ার চৌধুরী, সেরুজ্জামান সিরু প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আবু জাফর মাহমুদ বাংলাদেশি আমেরিকানদের মানবিক ও জাতিগত বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা আমাদের বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়েই এই সমাজের সঙ্গে যুক্ত। এখানকার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর যে বৈশিষ্ট্য, আচার ও স্বভাব আমরা তার থেকে ব্যতিক্রম। আমরা আমাদের ধর্মবোধ ও বাঙালি সংস্কৃতির যে নিজস্বতা তা গভীরভাবে লালন করি। অন্যদের মাঝে তা এক শিক্ষা হিসেবে উপস্থাপন করি। এটি অনেক বড় সামাজিক কাজ। বাংলাদেশি পরিবারের পারিবারিক শৃঙ্খলা, ভালোবাসাবোধ ও নিজস্ব সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রে সিলেটের বালাগঞ্জ এক অনন্য ক্ষেত্র। এখানকার মানুষ জন্মের সময় থেকে পরিবারের একান্ত আপন আত্মীয়স্বজনের অসাধারণ ভালোবাসা ও মমতা পেয়ে থাকে। এই ভালোবাসাই প্রতিটি নারী পুরুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হয়ে ওঠে। এটিই আমাদের সংস্কৃতি। এটিই আমাদের সভ্যতা। ভালোবাসা ছাড়া আমাদের কোনো সভ্যতা নেই। এই আমেরিকায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ব্যক্তিকেন্দ্রিক বা ক্ষুদ্র স্বার্থকেন্দ্রিক  জীবনচর্চায় ব্যস্ত। ঠিক এই বৈশিষ্ট্যের বিপরীতে আমরা পরিবার ও সমাজ নিয়ে চলতে পছন্দ করছি। এই বনভোজন তারই এক দৃষ্টান্ত। এই আয়োজন শুধু খাওয়া দাওয়া ও বিনোদন নয়, এটি একে অন্যের মাঝে ভাব বিনিময়ের এক অসাধারণ উদ্যোগ। এটি এক সামাজিক পদক্ষেপ।

তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বরাবরের মতোই মনে করিয়ে দেন, তোমাদের বয়সে আমি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। তোমরা এই বয়সে তোমাদের চিন্তা, আচরণ ও বৈশিষ্ট্য দিয়ে বাঙালির সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করবে। এটিই বড় দায়িত্ব।

শেয়ার করুন