০৬ মে ২০১২, সোমবার, ১০:১৬:১০ অপরাহ্ন


‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৪-২০২৪
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’


রমজান শুরুর আগ থেকেই দেশের গরুর মাংসের বাজার অস্থির। এ নিয়ে দেশের সর্বত্রই অস্থিরতা। সাধারন মানুষের অভিযোগ গরুর মাংস বা গরু ব্যবসায়ী অহেতুক চড়া দামে গরু ও মাংস বিক্রি করছেন। চাইলে প্রচলিত বাজারমুল্যের চেয়ে অনেক কম মুল্যে গরুর মাংস ভোক্তা পর্যায় বিক্রি সম্ভব এ বিশ্বাস ৯৮% মানুষের মধ্যে। কিন্তু এতে কোনো ফল হচ্ছেনা। সরকার কয়েকবার গরুর মাংসের দাম ঠিক করে দিলেও কার কথা কে শোনে!
গত ঈদে গরুর মাংসের কেজি ৭৬০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। ঈদের পর কিছুটা কমলেও সেটা ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা।


এমতাবস্থায় ব্রাজিল আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশে তাদের দেশ থেকে গরুর মাংস রপ্তানীতে। কিন্তু বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান গরুর মাংস আমদানী করলে তার প্রতি আগ্রহ দেখাবে না। সে থেকেই জীবন্ত গরু আনা যায় কিভাবে তার উপর জোড় দেয় সরকার পক্ষ।
সে সূত্র ধরে দুই দেশের মধ্যে একটা আলাপ আলোচনা বিদ্যমান।


বৃহস্পতিবার  (২৫ এপ্রিল) এ ব্যাপারে কথা বলেছেন, দেশটির রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস। তিনি বলেন, ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব। বাংলাদেশ আনতেও চায়। তবে দূরত্বসহ নানান কারণে জীবন্ত গরু আমদানির প্রক্রিয়াটি জটিল।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।   
রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাজিলের গরুর মাংসের বাংলাদেশে বিপুল সম্ভাবনা আছে। দূরত্বসহ নানা জটিলতা সামাল দেওয়া গেলে ব্রাজিল থেকে এখানে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব।   


উল্লেখ্য, চলতি এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার ঢাকা সফরের সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ঈদুল আজহা সামনে রেখে দেশটি থেকে গরু পাঠানোর ব্যবস্থা করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান।   
রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রাজিল সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তখন দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি সইয়ের সম্ভাবনা আছে।   
 ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন