০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ০২:৩১:২৩ পূর্বাহ্ন


সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবীর রিজভী
‘ঈদের মধ্যেও সন্ত্রাস থেমে নেই’
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৬-২০২৩
‘ঈদের মধ্যেও সন্ত্রাস থেমে  নেই’


বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘‘ঈদের মধ্যে আওয়ামী সন্ত্রাসের কোনো কমতি নেই। সশস্ত্র মহড়া থেকে শুরু করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। গোপালগঞ্জের মকসুদপুরে দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমের ঈদ শুভেচ্ছা পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। সংবাদ পেয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সেখানে গেলে তাদের ওপর যুব লীগ-ছাত্র লীগ সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন দলের নেতা-কর্মী আহত হয়। পাশাপাশি পুলিশ দলের সদস্য সচিব হাবিরুর রহমান রনি, মৃণাল মাতবরসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির জোর দাবি করছি।”

 শুক্রবার সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে  তিনি ওই অভিযোগ করেন। 

কারাবন্দি বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শেখ রবিউল আলম রবি, মিয়া নূর উদ্দিন অপু, যুব দলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাবেক সহসভাপতি আলী আকবর চুন্নু, এসএম জাহাঙ্গীর, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দল উত্তরের সদস্য সচিব আজিজুর রহমান মোসাব্বির, সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ গ্র্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি জানান রিজভী।

 

রিজিভী বলেন, ‘‘ যেসব গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কথা বললাম এদের প্রত্যেকের জামিন হয়ে গেছে। কিন্তু তাদেরকে জোর করে আটকিয়ে রাখা হচ্ছে তার প্রমাণ ‘নো হেরাজ, নো অ্যারেস্ট’ এই যে বিধি করা হয়েছিলো হাইকোট থেকে সেটাকে উপেক্ষা করে অগ্রাহ্য করে একটি পুরনো প্যান্ডিং মামলায় ব্যাক ডেট দিয়ে তাদের নাম ঢুকিয়ে তাদেরকে আটকিয়ে রাখা হচ্ছে। শেখ হাসিনা আপনি বলেন, জনগন নাকি আপনাকে রায় দিয়েছে দেশ চালাতে। তাহলে এতো ভয় কেনো হাবিব(হাবিবুল ইসলাম হাবিব) নিয়ে, এতো ভয় কেনো নিরবকে(সাইফুল আলম নিরব) নিয়ে, মুন্নাকে (আবদুল মোনায়েম মুন্না) নিয়ে… এতো ভয় কেনো আপনাদের? যে মামলায় তাদের নাম নেই তারপরও তাদেরকে আপনারা আটকিয়ে রেখেছেন।”  

 সংবাদ সম্মেলন দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ঢাকা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খন্দকার আবু আশফাক প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

 ‘মহাবিপদ সংকেত চলছে’

 রিজভী বলেন, ‘‘ আজকে অবহেলিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত জনগণ গ্রাম থেকে শহরে সকল পর্যায়ে নানা শ্রেনীপেশার মানুষ জেগে উঠতে শুরু করেছে। স্বৈর রুদ্রশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়েও জনগণ নিপীড়কদের প্রতিহত করতে শুরু করেছে। দেশের মানুষ অধিকার ঐক্যবদ্ধ।বাংলাদেশের দুঃশাসনে বিশ্ববিবেকও জাগ্রত হয়েছে। গোটা জাতিকে বন্দিশালায় আটকে রাখার এক দমবন্ধ করা দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক বিশ্ববিবেক ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো সোচ্চার হয়েছে। এবারে আর যেনোতেনো নির্বাচন করতে পারবে না। চারিদিক থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ঘন অন্ধকার ধেয়ে এসেছে, সরকারের জন্য ১০ নং মহাবিপদ সংকেত চলছে। শেখ হাসিনার হুংকার আর কাজে আসবে না।”

 রাজধানীতে ডেঙ্গু প্রকোপ ‘আশঙ্কাজনক’

রিজভী বলেন, ‘‘ রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি স্থানে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে… এটা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। অথচ বরাবরের মতো এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ভোটার বিহীন আওয়ামী সরকার সবসময়ই মানুষের বেঁচে থাকার নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করেছে।”

 করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে রিজভী বলেন, ‘‘ ওরা করোনা মোকাবেলায়  শুধু ব্যর্থই হয়নি বরং করোনার টিকাকে কেন্দ্র করে মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে নিজেদের লোককে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে, করোনার টিকারকে কেন্দ্র করে তেলেসমাতি করেছে সরকারের ঘনিষ্ঠজনরা।  এখন ডেঙ্গু নির্মূলেও তারা কোনো কাজ করছে না।”

 


 

 


শেয়ার করুন