২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০১:০৬:৪২ অপরাহ্ন


সভাপতি শাহ নেওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক রাব্বী সৈয়দ
নতুন সংগঠন জ্যামাইকা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১১-২০২৩
নতুন সংগঠন জ্যামাইকা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন বক্তব্য রাখছেন শাহ নেওয়াজ এবং (ইনসেটে) সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক


নিউইয়র্কে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোর মধ্যে জ্যামাইকা অন্যতম। সব দিকে থেকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছে জ্যামাইকা। বাংলাদেশির বসবাসের পাশাপাশি বাংলাদেশিদের ব্যবসা বাণিজ্যও জ্যামাইকায়। জ্যামাইকা এখন নিজেই স্বতন্ত্র একটি বাঙালি জনপদ। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জ্যামাইকায় এখন প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশির বসবাস। এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জ্যামাইকার সঙ্গে অন্যান্য বাংলাদেশি এলাকাগুলোর পার্থক্য হচ্ছে এখানে বেশির ভাগ বাংলাদেশি বাড়ি ক্রয় করে স্থায়ীভাবে যাচ্ছেন। সেই বাংলাদেশিদের কথা চিন্তা করেই এবং নিজেদের অধিকার আদায়ে জ্যামাইকায় নতুন সংগঠন আত্মপ্রকাশ করলো। নতুন এই সংগঠনের নাম ‘জ্যামাইকা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইনক’ সংক্ষেপে ‘জেবিএ’। জ্যামাইকায় বসবাসকারী বাংলাদেশিদের এক সভায় নবগঠিত জেবিএর আগামী দুই বছরের জন্য উপদেষ্টা পরিষদ ও কার্যকরি পরিষদ ঘোষণা করা হয়। গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় জ্যামাইকার একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংগঠনের প্রথম সভায় ঘোষিত নতুন কমিটির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক শাহ নেওয়াজ এবং সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট রাব্বী সৈয়দ।

সভাপতিহীন ব্যতিক্রমী এই সভা পরিচালনা করেন কুইন্স কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার আহসান হাবিব। কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি সভায় উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের কোরআন তেলওয়াতের পর মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন শাহ ওনয়াজ, সৈয়দ রাব্বী, আঞ্জাম সিদ্দিকী রাফি, আহনাফ আলম। মূলত এই আহসান হাবিব, শাহ নেওয়াজ, সৈয়দ রাব্বনী, আহনাফ আলম এবং আঞ্জাম সিদ্দিকী রাফি এই সংগঠন গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল এই পাঁচ জনই এই সংগঠনকে দুই বছরের জন্য এগিয়ে নিয়ে যাবেন, কিন্তু সভার সিদ্ধান্তের কারণে উপস্থিত একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদ। যদিও জানানো হয় যে, এই কমিটিতে প্রয়োজনে আরো নতুন নিয়োগ হতে পারে। সবার মতামতের ভিত্তিতে চার জনকে কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই চার ব্যক্তি হলেন- নাসির আলী খান পল, আজহারুল হক মিলন, ফখরুল আলম, মোহাম্মদ আলী, তৈয়বুর রহমান হারুন। পরবর্তীতের তাদের প্রস্তাবে জেবিএর প্রস্তাবিত নতুন উপদেষ্টা পরিষদ ও কার্যকরি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এবং উপদেষ্টা পরিষদের সবাই সমমর্যাদায় উপদেষ্টা হবেন বলে জানানো হয়।

কমিটি গঠনের পূর্বে স্বাগত বক্তব্যে শাহ নেওয়াজ বলেন, জ্যামাইকা এখন বেস্ট এরিয়া। এখানেই আমাদের সন্তানরা বড় হচ্ছে। তাদের জন্য আমাদের কিছু করা প্রয়োজন। আমরা যেহেতু জ্যামাইকায় থাকি সেহেতু আমাদের জ্যামাইকার উন্নয়ন নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন এখন সিটির ভোটার লিস্টে বাংলা লেখা রয়েছে। এটা অবশ্যই আপনাদের অবদান। আমরা জ্যামাইকায় এলাকায় স্থায়ী শহিদ মিনার করতে চাই। যতদূর জানি অর্থ এবং স্থান বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমাদের এই সংগঠনের মাধ্যমে আমরা প্রবাসী বাংলাদেশি সেবা দেওয়ার চেষ্টা করবো। নিউইয়র্কের অন্যান্য এলাকায় বাংলাদেশ সোসাইটির উদ্যোগে কনস্যুলেট সেবা প্রদান করা হলেও জ্যামাইকায় তা হচ্ছে না। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন সিটিজেন হয়েছেন, কিন্তু ভোটার রেজিস্ট্রেশন করছেন না। ভোটা রেজিস্ট্রেশন না করলে আমাদের সংখ্যা কত তা জানা যাবে না। আর তা জানা না গেলে মূলধারায় আমাদের অবস্থান শক্ত হবে না। সিটির সুযোগ সুবিধা পেতে গেলেও আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কমিউনিটি বোর্ড এবং এই সংগঠনের মাধ্যমে সাধারণ প্রবাসী বাংলাদেশিসহ ব্যবসায়ীদের উপকারে কাজ করতে পারি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাকসুদুল হক চৌধুরী, বাবু খান, কামরুজ্জামান বাবু, আকাশ রহমান, লুৎফুর রহমান, ফিরোজ আহমেদ, মঞ্জুর কাদের, কাজী হেলাল আহমেদ, তৈয়বুর রহমান হারুণ, ফার্মাসিস্ট এম আউয়াল, ওয়াজেদ এ খান, শেখ আক্তারুল ইসলাম, ওমর ফারুক, মোহাম্মদ আলী, খলিলুর রহমান, আসাদুজ্জামান বাবু, খান শওকত, মোসলেম উদ্দিন, শেখ হায়দার আলী, রুবাইয়া রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান প্রমুখ।

কার্যকরি পরিষদ: সভাপতি শাহ নেওয়াজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আহসান হাবিব, সহ-সভাপতি মাকসুদ চৌধুরী ও রীনা সাহা, সাধারণ সম্পাদক রাব্বী সৈয়দ, সহ-সাধারণ সম্পাদক আনজাম সিদ্দিকী রাফি, কোষাধ্যক্ষ আহনাফ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান, সাহিত্য সম্পাদক মঞ্জুর কাদের, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মরিয়ম মারিয়া, প্রচার সম্পাদক জলি আহমেদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান বাবু, সমাজকল্যাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামিউল করিম আলমগীর, ক্রীড়া সম্পাদক সজিব চৌধুরী, দফতর সম্পাদক বদরুদ্দোজা সাগর, আপ্যায়ন সম্পাদক মোতালিব সিকদার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কবি সালেহা ইসলাম, কার্যকরি সদস্য যথাক্রমে- মোহাম্মদ আলী, মোসলেহউদ্দিন খান সেলিম, ডিউক খান, সেলিম খান, ডা. নাফিসুর রহমান, শেখ হায়দার আলী, কাজী জামান বিটু, সুলতান বোখারী, শিবলী নোমানী, মনিউর রহমান জাহাঙ্গীর, শামস চৌধুরী রুশো, সোহেল সীমান্ত, হাফিজ উদ্দিন, ডা. আইরুন নাহার রুলী, নাজিয়া জাহান, মাহবুবুল ফিরোজ, হুমায়ুন কবীর তুহিন ও মোস্তফা অনিক রাজ।

উপদেষ্টা পরিষদ: নাসির আলী খান পল, মোর্শেদ আলম, আওয়াল সিদ্দিকী, কাজী আজহারুল হক মিলন, ফখরুল আলম, মোহাম্মদ তৈয়েবুর রহমান হারুন, আজহার হক, মোস্তাক আহমেদ নিউটন, আকাশ রহমান, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, রেজাউল করীম চৌধুরী, রাফাত হোসাইন, খলিলুর রহমান, শেখ ইলিয়াস হাবীব, শাহ মোয়াজ্জেম, আলমগীর ভূইয়া, কাজী হেলাল আহমেদ, রুবাইয়া রহমান, মোহাম্মদ কবীর, আকতার রহমান ও ডা. নার্গিস রহমান।

শেয়ার করুন