২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১১:১৩:২৩ পূর্বাহ্ন


দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক
অভিবাসন-প্রত্যাশীদের নিয়ে সতর্কতায় বাইডেন এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৫-২০২২
অভিবাসন-প্রত্যাশীদের নিয়ে সতর্কতায়  বাইডেন এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট / ছবি সংগৃহীত


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর গত ২৯ এপ্রিল একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ‘অভূতপূর্ব’ চাপের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। কারণ অভিবাসন ইস্যুটি নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে হোয়াইট হাউসের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সারা গোলার্ধ থেকে আমাদের এই দু’দেশে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের নজিরবিহীন প্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে দুই প্রেসিডেন্ট আঞ্চলিক অভিবাসন বৃদ্ধি প্রশমনে একটি শক্তিশালী কার্যসম্পাদনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকটি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনেঝড়ো এবং ক্ষণে ক্ষণে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির পর দু’দেশের জটিল সম্পর্ককে আরো সহযোগিতার ভিত্তিতে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য বাইডেন প্রশাসনের প্রচেষ্টারই একটি নিদর্শন।

অবৈধ অভিবাসন নিয়ে মেক্সিকোর সাথে ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক সম্পর্কের উল্লেখ করে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, দুই নেতার কথোপকথনটি ছিল খুবই গঠনমূলক। প্রেসিডেন্ট বাইডেন মেক্সিকান প্রেসিডেন্টকে কোনোভাবে হুমকি দিচ্ছেন- এমন কোনো কিছু তাঁদের ওই কথোপকথনে ছিলনা।

দুই দেশ বাণিজ্য, সংস্কৃতি এবং সহিংস মাদক সমস্যা সমাধানে অঙ্গাঙ্গীভাবে আবদ্ধ। তবে সমস্ত কিছুর ওপর উভয় দেশের নজর ছিল কীভাবে বৈধ এবং অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার ওপর।সাকি বলেন, অধিকাংশ কথোপকথন ছিল অভিবাসন সম্পর্কে এবং সীমান্তে অভিবাসন কমাতে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে সমন্বয়, অর্থনৈতিক সমন্বয়ের ওপর অব্যাহত কাজ সম্পর্কে।

বৈঠকের পর লোপেজ ওব্রাডর এক টুইট বার্তায় বলেছেন, মেক্সিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো এব্রার্ড ‘উন্নয়নের জন্য সহযোগিতার বিষয়’ এবং আমেরিকা মহাদেশের শীর্ষসম্মেলন নিয়ে আলোচনা করতে শিগগিরই ওয়াশিংটনে যাবেন।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগে ২০১৪-১৯ সাল পর্যন্ত গড়ে ১ হাজার ৬০০ অভিবাসন-প্রত্যাশী লোকজন যুক্তরাষ্ট্রেঢুকতো। ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন গত তিন সপ্তাহে দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে দিনে ৭ হাজার ৮০০টি অনথিভুক্ত অভিবাসনপ্রার্থীকে নিবন্ধিত করেছে,যা ওই সময়ের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।


শেয়ার করুন