২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৩:৪২:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


ক্যালিফোর্নিয়া কোর্টের রায়
অভিভাসীদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-১২-২০২৩
অভিভাসীদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না


গত ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার ইউএস সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট অব ক্যালিফর্নিয়ার প্রধান মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট বিচারক ডানা মাকোটো সাব্রাউ রায় দিয়েছেন অভিভাসীদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে প্রায় আট বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রমকারী পরিবারগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার আদেশ প্রদান করেন। বিচারকের এই রায় আগামী ২০৩১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবত থাকবে।

রায়ে বিচারক বলেন, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে অবৈধভাবে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রমকারী পরিবারগুলোকে নিবৃত্ত করার উদ্দেশ্য ফেডারেল সরকার এই পদ্ধতি শুরু করে এবং হাজার শিশুকে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে। যার ফলে শিশু-কিশোরদের মানবেতন জীবনযাপন করতে হয়। বিচার বলেন, হাজার হাজার পরিবারের বিচ্ছেদ আমাদের দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে লজ্জাজনক অধ্যায়। বিচারক প্রেসিডেন্ট বাইডেন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে বিচ্ছিন্ন শিশুদের তাদের পিতা-মাতার সঙ্গে পুনরায় মিলিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে শিশু ও পরিবারগুলোর ডাটাবেস তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। 

২০০৩ সালে রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশ কর্তৃক মনোনীত বিচারক ডানা মাকোটো সাব্রাউ ২০১৮ সালের জুনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে সীমান্তে অভিবাসী পরিবারগুলো বিচ্ছেদ বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আওতায় এনে প্রায় ৫ হাজারের বেশি শিশুকে অভিভাবকদের থেকে আলাদা করেছে। অবশ্য এরা অবৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশের সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসন বাচ্চাদের সারা দেশের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রেখেছিলেন। যে কারণে শিশুরা তাদের বাবা-মাকে কীভাবে খুঁজে পাবে তা তারা জানতো না। এটি নিতান্তই একটি পাগলামি। ইউএস অ্যাটর্নি মামলার জবাবে বাচ্চাদের বা তাদের পরিবারের সরকারি ডাটাবেজ সংযুক্ত করে কোর্টে দাখিল করতে ব্যর্থ হোন।

বিচারক আরো বলেন, শিশুরা এখনো আলাদা হতে পারে, কিন্তু সীমিত সময়ের জন্য, বছরের পর বছর ধরে নয়। থাকতে পারেন যদি শিশুদের পিতামাতা গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন।

আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন বলছে, বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলো অন্যান্য সুবিধার জন্য যোগ্য হতে পারে। যেমন-মানবিক প্যারোলে তিন বছর পর্যন্ত আইনি সুবিধা, সরকারি খরচে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্মিলন, এক বছরের আবাসন, তিন বছরের কাউন্সেলিং, অভিবাসন আদালতে আইনি সহায়তা। এ পর্যন্ত তাদের কোনো সহযোগিতা প্রদান করা হয়নি। ২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসন পিতা-মাতা এবং শিশুদের প্রত্যেককে কয়েক হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বিবেচনা করলেও পরে তা স্থগিত করা হয়।

আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন তথ্য অনুসারে সরকার এবং স্বেচ্ছাসেবকরা এখনো পর্যন্ত ৬৮ জন শিশুকে খুঁজে বের করতে পারেনি, যারা ট্রাম্পের নিষ্ঠুর নীতির অধীনে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। তারা নিরাপদ কি না এবং পরিবার বা প্রিয়জনের সঙ্গে পুনর্মিলন করছে কি না তা নির্ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এসিএলইউ অ্যাটর্নি লি গেলার্ট সাংবাদিকদের বলেছেন এটা ছিল আমাদের দেশের ইতিহাসে এক মর্মান্তিক ঘটনা।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ সেক্রেটারি আলেজান্দ্রো মায়োরকাস শুক্রবার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে এটি ছিলো ট্রাম্প প্রশাসনের নিষ্ঠুর এবং অমানবিক নীতি। আর রায়ের ব্যাপারে বলেছেন, এ রায় ছিল আমাদের দেশের মূল্যবোধের প্রতি অবিচল আনুগত্য।

ট্রাম্প নির্বাচনী ক্যাম্পেইন শুক্রবারের রায়ের পর কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

শেয়ার করুন