৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ৬:১৬:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


জেএফকে এয়ারপোর্টে আ.লীগের শান্তি বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৯-২০২৩
জেএফকে এয়ারপোর্টে আ.লীগের শান্তি বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ জেএফকে এয়ারপোর্টে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ও বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ


জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে আসেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, বিএনপির স্টেট, মহানগর উত্তর এবং দক্ষিল জেএফকে এয়ারপোর্টে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে শান্তি সমাবেশের আয়োজক করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, নিউইয়র্ক স্টেট এবং মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন। এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয় বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জেএফকে বিমান বন্দরে অবতরণ করেন রাত ১০টা ৫০ মিনিটে। সেই সময় শান্তি সমাবেশ এবং বিক্ষোভ সমাবেশকারীদের মধ্যে কেউই ছিলেন না। রাত ৮টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ দুই দলকে সেখান থেকে বের করে দেয়। শান্তি সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়। অন্যদিকে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তার পদত্যাগ দাবি করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের আহ্বান করা হয়। এই সময় উভয় পক্ষই তাদের নিজস্ব স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় দুই দলের নেতা-কর্মীরা দলীয় ব্যানার, ফেস্টুন হাতে পাল্টাপাল্টি স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বিমানবন্দর।

এদিকে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ চলাকালে আওয়ামী লীগের নেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি দক্ষিণের এক নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পরে বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ, দক্ষিণের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, সদস্য সচিব বদিউল আলম, উত্তরের আহ্বায়ক আহবাব চৌধুরী খোকন ঐ নেতাকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন।

আওয়ামী লীগের স্বাগত সমাবেশ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগতম-শুভেচ্ছা জানিয়ে আওয়ামী লীগ জেএফকে বিমানবন্দরের চার নম্বর টার্মিনালের যাত্রী ওয়েটিং এলাকায় আয়োজিত কর্মসূচিতে (সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা) উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে সংগঠনের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ ও সিনিয়র সহ-সভাপতি এম ফজলুর রহমান, উপদেষ্টা ড. প্রদীপ কর, ডা. মাসুদুল হাসান, জয়নাল আবেদীন, সামসুদ্দীন আজাদ, লুৎফুল করীম, নিজাম চৌধুরী, আইরীন পারভিন, মহিউদ্দিন দেওয়ান, আব্দুল হাসিব মামুন, হাজী এনাম, আব্দুর রহীম বাদশা, মিসবাহ আহমেদ, ফরিদ আলম, সদস্য খোরশেদ খন্দকার, শাহানারা রহমান, আব্দুল মালেক, এডভোকেট শাহ বখতিয়ার, এম এ করীম জাহাঙ্গীর, কাজী কয়েস, তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, শরাফ সরকার, শরিফ কামরুল হিরা, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহনাজ মমতাজ, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন, মহানগর আওয়ামী লীগের (একাংশের সভাপতি রফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী, আরেক অংশের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, এম আলমগীর, নূরুল আমীন বাবু, সাইকুল ইসলাম, দরুদ মিয়া রনেল, সেবুল মিয়া, রহিমুজ্জামার সুমন, জামাল হোসেন, আবুল হোসেন, হাসান জিলানী, মঞ্জুর চৌধুরী, নুরুল আফসার সেন্টু, দেওয়ান বজলু, কুশিবিদ আশরাফুজ্জামান, মোর্শেদা জামান, মনিকা রয়, সোলায়মান আলী, শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন, আর আমিন, শাহ চিশতি, আতাউল গনি আসাদ, মাসুদ সিরাজি, নূরুজ্জামান সর্দার, খান শওকত, শাখাওয়াত বিশ্বাস, আব্দুল মুহিত, আব্দুল কাদের মিয়া ছাড়াও পেনসিলভেনিয়া, নিউইংল্যান্ড, ওয়াশিংটন ডিসি, ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, শিকাগো স্টেট এবং কানাডা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যোগদান করেন।

বিএনপির বিক্ষোভ-প্রতিবাদ: অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাকর্মীরা ‘যেখানে হাসিনা সেখানেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেএফকে বিমানবন্দরের চার নম্বর টার্মিনালের পার্কিং লটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। কেন্দ্রীয় বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য যথাক্রমে আব্দুল লতিফ সম্রাট, জিল্লুর রহমান জিল্লু, গিয়াস আহমেদ ও মিজানুর রহমান ভূইয়া (মিল্টন ভূইয়া), নিউইর্ক স্টেট কমিটির আহ্বায়ক অলিউলাহ আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, সদস্য সচিব বদিউল আলম, উত্তরের আহ্বায়ক আহবাব চৌধুরী খোকন, সদস্য সচিব ফয়েজ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা-কর্মীর মধ্যে সহ-সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, আনোয়ার হোসেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাকসুদুল হক চৌধুরী, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর খান হারুণ, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাবেক সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম মোল্লা, বদরুল হক আজাদ, ভিপি জসীম উদ্দিন, রিয়াজ মাহমুদ, গোলাম ফারুক শাহীন, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার সায়েম রহমান, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দী, ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, যুবদলের সাবেক সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাতিন, যুব দল নেতা আতিকুল হক আহাদ, মিজানুর রহমান, পারভেজ সাজ্জাদ, দেওয়ান কাওসার, মোহাম্মদ এ রহমান, আবুল কাসেম, আব্দুস সবুর, মোশারফ হোসেন সবুজ, ওমর ফারুক, শেখ হায়দার আলী, ওমর ফারুক, মাহফুজুল মাওলা নান্নু, আবু তাহের, কাউসার আহমেদ, রেজাউল আজাদ ভূইয়া, রুহুল আমিন নাসির, মোহাম্মদ জে হোসেন, মাজহারুল ইসলাম জনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, উত্তম বনিক, দেলোয়ার হোসেন শিপন, মনিরুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক দলের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর, মীর মিজান, মোস্তাক আহমেদ, কয়েস আহমেদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন