২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৩:৪৬:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


বৃষ্টির লুকোচুরিতে নিউইয়র্ক গোলাপগঞ্জ সোসাইটির সফল ও বর্ণিল বনভোজন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৭-২০২৩
বৃষ্টির লুকোচুরিতে নিউইয়র্ক গোলাপগঞ্জ সোসাইটির সফল ও বর্ণিল বনভোজন নিউইয়র্ক গোলাপগঞ্জ সোসাইটির বনভোজনের দৃশ্য


১৬ জুলাই। দিনব্যাপী ছিল অঝোর ধারায় বৃষ্টি। বাস্তবতা যাই হোক না কেন আবহাওয়ার পূর্ভাবাসে তাই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। আকাশের এই ঘোমরা মুখ দেখে প্রবাসের অনেক সংগঠনই তাদের বনভোজনের আয়োজন বাতিল করেন। বৃষ্টিকে জয় করার মানসিকতা অনেক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ছিল না। তারা মনে করেছে বৃষ্টিতে বনভোজন করে লাভ নেই। রবং অন্যদিন বনভোজন করি। তারা রিক্স নিতে চান নি। কিন্তু প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন নিউইয়র্ক গোলাপগঞ্জ সোসাইটির কার্যকরি সদস্য এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা ছিলেন ছিলেন অবিচল। তাদের এই অবিচল থাকার অনেক কারণও রয়েছে। ঠিক তার এক সপ্তাহ পূর্বে আবহাওয়ার এমনই পূর্ভাবাস ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে ভিন্ন। মাঝেমধ্যে দেখা যায় আমেরিকায় আবহাওয়ার পূর্ভাবাসের মিল অমিল থাকে। ভাগ্য যদি প্রসন্ন হয় তাহলে গোমরা আকাশ, আলোকিত হয় উচ্ছ্বাসের আলোতে। তার উপরেই মনে ভরসা ছিল গোলাপগঞ্জ সোসাইটির কর্মকর্তাদের। বিশ্বাস ছিল অটুট। যে কোন প্রতিকূলতা তারা উৎরে যাবেন। হয়েছেও তাই। সারা দিন বৃষ্টির লুকোচুরির খেলা ছিল। আবার গোলাপগঞ্জবাসীর পাশেও দাঁড়িয়েছিল। কথা বলে না যত গর্জে তত বর্ষে না। আসলে হয়েছিলও তাই। কর্মকর্তাদের বিশ্বাস ছিল তারা ভাগ্যদেবী শেষ পর্যন্ত তাদের পাশেই থাকবেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত ছিলেনও। যে কারণে তারা তাদের বার্ষিক বনভোজন সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছেন।

গত ১৬ জুলাই খুব সকালেই পিকনিক স্পট রেইনি পার্কে গিয়ে হাজির হন সভাপতি এবাদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ পারভেজ, সাবেক সভাপতি হেলিম উদ্দিন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ আতিকুল ইসলাম। একটু পরেই উপস্থিত হন মেলার আহ্বায়ক আব্দুল মোমিত চৌধুরী ওমেল, সদস্য সচিব এনাম উদ্দিন। তারা বনভোজনের স্পট প্রস্তুতির পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আশ্রয় নেন। বলতে থাকেন বৃষ্টি শেষ, বনভোজন শুরু হবে এবং তা রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত চলবে। তাদের আহবানে সাড়া দিয়েছেন গোলাপগঞ্জবাসীসহ প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবার পরিজন নিয়ে লোকজন মেলায় আসতে থাকেন। বৃষ্টি শেষ হলে কার্যকরি কমিটি বনভোজনের উদ্বোধন করেন। চলতে থাকেন ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের বয়সভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, মহিলাদের হাড়ি ভাঙ্গা, বালিশ খেলা এবং পুরুষদের দৌড় প্রতিযোগিতা। থাকে চলতে থাকে পিঠা, চানাচুর এবং তরমুজ বিতরণ। এক সময় পুরো রেইনপার্ক লোকজনে ভর্তি হয়ে যায়।

বনভোজনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এবাদ চৌধুরী এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ পারভেজ। মেলায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল হাসিব মামুন, ওয়াহিদুর রহমান মুক্তা, আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, কবীর চৌধুরী, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের একাংশের সভাপতি শাহীন কামালী, সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুর রহমান ফটিক, শ্রীমঙ্গল এসোসিয়েশনের সভাপতি মামুনুর রশীদ শিপু, সাধারণ সম্পাদক সুফিয়ান চৌধুরী, সিলেট সদর সমিতির দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, সিলেট সদর থানা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আর সি টিটো, মূলধারার রাজনীতিবিদ সাবুল উদ্দিন, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ, আতিকুল হক জাকির, ফারুক সিদ্দিকী, কালাম আহমেদ, সৈয়দ আতিক, জুলকর হায়দার, হাসান চৌধুরী, মামুন। বনভোজন সফল করতে সহযোগিতা করেন বনভোজনের আহ্বায়ক আব্দুল মোমিত চৌধুরী ওমেল, সদস্য সচিব এনাম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি হেলিম উদ্দিন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ আতিকুল ইসলাম, সদস্য ফয়সল আহমদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, সাইফুল্লাহ সেবুল, ইমরান খন্দকার, আবুল কালাম, জামাল উদ্দিন, আব্দুল মুক্তাদির, রাফাত চৌধুরী, হেনাজ উদ্দিন, মুখতারুল ইসলাম ফয়েজ চৌধুরী, দুদু মিয়া, সাবিরা চৌধুরী, মিসবাহ আহমেদ, সৈয়দ সেলিম আহমেদ, আরেফ আহমেদ চৌধুরী, রেদওয়ান আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ চৌধুরী সবু, রেশাদ চৌধুরী, আকরাম চৌধুরী, দিনা চৌধুরী, সৈয়দ সায়েল আহমেদ, নাহিদ চৌধুরী, শেখ আতিকুল ইসলাম অপু, মোহাম্মদ তারেখ আহমেদ, আব্দুল সাত্তার চৌধুরী দুলু, আজিজুল হক চৌধুরী মঞ্জু, ফজলে রাব্বী চৌধুরী প্রমুখ।

বিকেলে বেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী শশি। পড়ন্ত বিকেলে বিতরণ করা হয় পুরস্কার এবং বনভোজনের বিশেষ আকর্ষণ র‌্যাফেল ড্র। রাফেল ড্রতে প্রথম পুরস্কার ছিল স্বর্ণালঙ্কার। বিজয়ী ছিলেন শিরিন আক্তার। সব মিলিয়ে র‌্যাফেল ড্রতে ৮টি আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়া হয়। এক সময় ভাঙে গোলাপগঞ্জবাসীর মিলনমেলা। সবাই ধন্যবাদ জানিয়ে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন সভাপতি এবাদ চৌধুরী। আগামীর আমন্ত্রণ জানান সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ পারভেজ।

শেয়ার করুন