২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১১:২২:০১ পূর্বাহ্ন


জন দুর্ভোগের মধ্যেও ‘সরকার উৎসব শুরু করছে- মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০২-২০২৩
জন দুর্ভোগের মধ্যেও ‘সরকার উৎসব শুরু করছে- মির্জা ফখরুল


জন দুর্ভোগের মধ্যেও ‘সরকার উতসব শুরু করছে’ বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার সকালে জাতীয়তাবাদী যুব দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পনের পরে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘‘ সরকার যেহেতু জনগনের প্রতি দায়-দায়িত্ব নেই সেই কারণে তারা এখন উতসব শুরু  করেছে। আপনি যেটা বেেল্ছন আজকে যে, তারা আবদুল হামিদ সাহেবে(প্রেসিডেন্ট) এলাকাতে উতসব অনুষ্ঠান করছে। 


তারা তো এটা স্বীকারই করতে চায় না দেশে একটা অর্থনৈতিক সংকট চলছে, দেশে মূল্যস্ফীতি চরম আকার ধারণ করেছে। দেশের সাধারণ মানুষ তারা আজকে চাল কিনতে পারছে না।আমি আবার শুনেছি যেটা ভয়ংকর মারাত্মক যে, ওএমএসের কার্য্ক্রম তারা বন্ধ করে দেবে এবং কার্ডের মাধ্যমে তারা আবার চাল বিক্রি করবে বা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করবে।”


কার্ডের মাধ্যমে নিত্যপণ্য বিক্রিতে আরেকটা দুর্নীতির জায়গা খুলবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।


মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘দেখুন সরকার বিদ্যুত চুক্তি করেছে ভারতের আদানি কোম্পানির সঙ্গে। সেই বিদ্যুত চুক্তি সকলে বলছেন, দেশি-বিদেশী সকলে যে, এটা অপ্রয়োজনীয় চুক্তি, অসম চুক্তি। যে কারণে বাংলাদেশকে শুধু পয়সাই দিতে হবে, বাংলাদেশ বেশি লাভ পাবে না।”


‘‘ এই ধরনের চুক্তিগুলোর মধ্য দিয়ে, এই ধরনের প্রজেক্টের মধ্য দিয়ে তারা সম্পদ লুট করেছে, বিদেশে সম্পদ গড়ছে।”


তিনি বলেন, ‘‘ এই আওয়ামী লীগ সরকার যারা জনগনের দ্বারা নির্বাচিত হয়নি, যারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় বসে আছে তাদের জনগনের প্রতি কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। সবচেয়ে মারাত্মক যে বিষয়টি হচ্ছে, সেটি হচ্ছে যে, সরকারের জবাবদিহিতার জন্য কোনো পার্লামেন্ট নেই। সে পার্লামেন্ট আছে সেটা জনগনের নির্বাচিত নয়।”


‘‘ সরকার আজকে নয়, তারা ক্ষমতায় আসার পর থেকে অর্থাত ১৪/১৫ বছর থেকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই রাষ্ট্রের সকল সম্পদ ভোগ করবার জন্য একের পর এক বিভিন্ন রকম অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে টাকা ব্যয় করে অর্থ লুট করছে, পাচার করছে এবং বিদেশে সম্পদ গড়ে তু্লেেছ করছে।


এই অবস্থার উত্তরণে ‘আন্দোলন’ এর কোনো বিকল্প নাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘ আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। এই আন্দোলনে আমাদের ১৭ জন নেতা-কর্মীকে রাজপথে হত্যা করেছে।”


‘‘ সেই কারণে বলছি ‘আন্দোলন আন্দোলন আন্দোলন’ করেই এই গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো।”


সকাল ১১ টায় বিএনপি মহাসচিব যুব দলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুনায়েম মুন্নাসহ নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর  রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করেন এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে 


এই সময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুব দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মামুন হাসানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


গত ২২ ফেব্রুয়ারি টুকু-মুন্নার নেতৃত্বে ২৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি।


গত বছরের মে মাসে টুকুকে সভাপতি ও মুন্নাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৮ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি।


নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহসভাপতি ২৫ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ১৫ জন, সহ সাধারণ সম্পাদক ২৫ জন,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ২৫ জন, সদস্য ৭৫ জন ছাড়াও রয়েছে সম্পাদকীয় পদে নেতৃবৃন্দ।

 

 

শেয়ার করুন