৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০১:১৬:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে এবার বন্দুকধারীর গুলিতে তিন আইনশৃংলাবাহিনীর সদস্য নিহত ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ


আসুন পৃথিবীর ১০০ মিলিয়নের বেশি শরণার্থীর পাশে দাঁড়াই : ড. আবু জাফর মাহমুদ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৬-২০২৩
আসুন পৃথিবীর ১০০ মিলিয়নের বেশি শরণার্থীর পাশে দাঁড়াই : ড. আবু জাফর মাহমুদ আবু জাফর মাহমুদকে সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে


যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে ওয়ার্ল্ড রিফিউজি ডে উদযাপন করেছে ইন্টারফেইথ সেন্টার অফ ইউএসএ। গত ২০ জুন মঙ্গলবার নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় দারুল উলুম মুসলিম সেন্টারে ওই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির শরণার্থীসহ বিভিন্ন স্তরের সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিপল ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেস’র প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার মাউন্টেন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার, গ্লোবাল অ্যামব্যাসেডর ফর পিস ড. আবু জাফর মাহমুদ বলেছেন, পৃথিবীর ১০০ মিলিয়নের বেশি শরণার্থীর শান্তি ও নিরাপদে ঘরে ফেরার অনুকূল পথ তৈরির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সবাই হাতে হাত ধরে মানুষকে মানুষের শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া থেকে রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে লড়াই সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

ইন্টারফেইথ সেন্টার অফ ইউএসএ’র প্রেসিডেন্ট ইমাম মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কো স্পন্সর ছিল নিউইয়র্ক স্টেট ২৪ এর অ্যাসেমব্লিম্যান ডেভিড আই ওয়েপরিন ও তৃণমূল সংগঠন ইউএনএ-ইউএসএ। বক্তব্য রাখেন জুইশ সম্প্রদায়ের নেতা দি ব্রিজ এমসিপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট মার্ক মেয়ের অ্যাপেল, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি মাউন্ট সিনাই ওরশীপ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী বিশপ লুবিন মোইজ, হিন্দু ধর্মীয় গুরু আনন্দ মর্গ ও ইয়োগা মেডিটেশনের প্রেসিডেন্ট আচার্য অভিরামানান্দ অভদূত, মুসলিম অন্টর্পনার এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আব্দুল রহমান, সমাজকর্মী মুহাম্মদ রকিবুল ইসলাম, এএইচআরআই’র প্রধান নির্বাহী ড. এনামুল হক প্রমুখ।

উপস্থিত বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিনিধিরা তাদের প্রার্থনা রীতিনীতি পরিবেশন করেন। সে সঙ্গে তারা মানুষসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক কারণে শরণার্থী পরিণত হওয়া পৃথিবীর ১০০ মিলিয়নের বেশি মানুষের বাস্তুভিটায় ফিরে যাওয়ার অনুকূল পথ তৈরিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবু জাফর মাহমুদ বলেন, রিফিউজি ডে উপভোগের কোনো দিবস নয়, এটি বর্তমান পৃথিবীর এক কঠিন বাস্তবতা। আমাদের প্রত্যেকের সিদ্ধান্ত ও তৎপরতা গ্রহণের দিন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বস্থানীয় এক যোদ্ধা হিসেবে আমি স্মরণ করি, ১৯৭১ এ আমিসহ আমার গোটা জাতি শরণার্থী ছিলাম। আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে আমরা শরণার্থী হলেও অস্ত্র হাতে নিয়ে মোকাবিলা করেছি। গেরিলাযুদ্ধ করেছি। আমরা পূর্ব পাকিস্তান থেকে  স্বাধীন ভূখ- সৃষ্টি করেছি। এই কারণে, আমরা শরণার্থীর যে যন্ত্রণা তা গভীরভাবে বুঝতে পারি। আমাদের দুঃখ-কষ্ট ও নিপীড়নের বিষয়গুলো পৃথিবীর সব জাতির শরণার্থীর সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। ড. মাহমুদ বলেন, গত এক দশকে গোটা পৃথিবীর শরণার্থী সংকট বেড়ে চলেছে। আফগানিস্তান, কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া, ইউক্রেন, ভেনেজুয়েলাসহ পৃথিবীর দেশে দেশে শরণার্থীরা কঠিন মানবেতর জীবনযাপন করছে। অত্যাচার নিপীড়নের বাইরেও জলবায়ু পরিবর্তনের করুণ পরিণতি হিসেবে শরণার্থী হতে হচ্ছে বহু মানুষকে। সেখানে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের অভিঘাতে জর্জরিত হতে হচ্ছে নারী-পুরুষ শিশুদের। এই পরিস্থিতির ভেতরে বিশ্ব মানবতার স্বার্থেই আমাদের নতুন পথ তৈরি করতে হবে। শরণার্থীদের জন্য অন্তত নিজের অন্তরের দরজা খুলে দিতে হবে, হাত প্রসারিত করতে হবে। অনুষ্ঠানে বক্তারা সবার ভয়েসকে মানবতার পক্ষে একাত্ম করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি পিপল ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেসের প্রেসিডেন্ট আবু জাফর মাহমুদসহ উপস্থিত বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে নিউইয়র্ক স্টেট এর অ্যাসেম্বলিম্যান ডেভিড আই ওয়েপরিনের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। উপস্থিত শরণার্থীদের মধ্যে আবু জাফর মাহমুদ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিশেষ সহায়তা প্রদান করেন আবু জাফর মাহমুদ।


গ্লোবাল পিস অ্যাম্বাসেডর ড. আবু জাফর মাহমুদের ঈদ শুভেচ্ছা

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারা পৃথিবীর মুসলিম উম্মাহসহ সব জাতি-গোত্র ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন গ্লোবাল পিস অ্যাম্বাসেডর ডক্টর আবু জাফর মাহমুদ। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রিয় ব্যক্তিত্ব, বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিসেস ও অ্যালেগ্রা হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট এসিইও, পিপল ইউনাইটেড ফর পিসের প্রেসিডেন্ট ড. আবু জাফর মাহমুদ এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেছেন, সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রেম ও ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের মধ্যে একটি অসাধারণ শিক্ষা নিয়ে হাজির হয়। এটি আমাদের চেতনা, নৈতিকতা ও মানবিক শিক্ষার এক অসাধারণ পর্ব। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে আত্মত্যাগ ও ভ্রাতৃত্বের নজির স্থাপনই এই সময়ের বড় করণীয়।

ড. আবু জাফর মাহমুদ বলেন, আমাদের যেসব স্বজন হারিয়ে গেছেন, এই পর্যন্ত যেসব মানব-মানবী এই পৃথিবীকে আলোকোজ্জ্বল করেছেন, আমাদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তাদের সবার জন্য দোয়া করার এটি এক উৎকৃষ্ট সময়। এই দিনে আল্লাহ তায়ালা আমাদের ওপর অনেক বেশি সন্তুষ্ট। আল্লাহ আমাদের আত্মত্যাগের প্রতিযোগিতার প্রতি সন্তুষ্ট। আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি দিচ্ছি। এটি হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সময় থেকে আমরা বহন করে চলেছি। এইদিনে আমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসাটা আরো গভীর করার জন্য আল্লাহর নিয়ামত আশা করি এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।

সারা পৃথিবীতে মানুষে মানুষে যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে, এটি শয়তানেরই কাজ এই কাজগুলোতে যারা অংশ নেয় এবং যারা নেতৃত্ব করে, তারা নিশ্চয়ই আল্লাহর পছন্দের বাইরে। আমরা আল্লাহর পছন্দের প্রতি সুগভীর আস্থায় অনুগত। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একে অন্যের মধ্যে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাবো। আমরা জাতি-ধর্ম-বর্ণ অঞ্চল নির্বিশেষে আমাদের মধ্যকার ভালোবাসা আরো বেশি বিস্তৃত করবো। আরো বেশি গভীর করবো।

শেয়ার করুন