২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৭:৩৩:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


দুই সপ্তাহে ৭৭৪ অভিযোগ দায়ের
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে ঘৃণাজনিত অপরাধ বৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-১১-২০২৩
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে ঘৃণাজনিত অপরাধ বৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ


ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শুরু হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিবাদ বিরোধিতা ও ইসলাম আতঙ্কের যেন ঝড় বইছে। আমেরিকান ইহুদি ও মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সংঘাতের মুখোমুখি এনে ফেলেছে এই যুদ্ধ।

ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলার ফলে সংঘটিত সংঘাতের এক সপ্তাহ পরে, ১৪ অক্টোবর তারিখে শিকাগো শহরের বাইরে এক ৬ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি আমেরিকান বালককে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এই বালককে মারাত্মকভাবে ছুরিকাঘাত করা ও তার মাকে আহত করার আগে সেই হামলাকারী চিৎকার করে বলে, ‘তোমরা মুসলিমরা অবশ্যই মরবে।’ গত মাসে হিউস্টনে ২০ বছর বয়সী জর্ডান থেকে আসা এক আশ্রয়প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। এই তরুণ ‘ইহুদিদের হত্যা’র সমর্থনে অনলাইনে পোস্ট করেছিল। আমেরিকান অ্যান্টি ডিফেমেশন লিগ বা এডিএল যুদ্ধের প্রথম দুই সপ্তাহে ইহুদিবাদবিরোধী হয়রানি, ভাঙচুর ও হেনস্তার ৩১২টি ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। গত বছরে এই সময়কালে ঘটা এমন ঘটনার প্রায় পাঁচ গুণ বেশি এই সংখ্যা।

উল্লিখিত দুই সপ্তাহে ৭৭৪টি অভিযোগ দায়ের করেছে কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনস। গত বছর এই সময়কালে ঘটা এমন ঘটনার তিন গুণেরও বেশি এই সংখ্যা। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে যখন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘মুসলিমদের নিষিদ্ধ’ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, তারপর থেকে এটাই সর্বোচ্চ।

বেশির ভাগ ঘটনা ঘৃণাজনিত অপরাধের শ্রেণিতে পড়ে না। তবে নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো শহরগুলোতে পুলিশের তথ্য থেকে দেখা গেছে, ৭ অক্টোবরের পর থেকে ঘৃণাপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘৃণাজনিত অপরাধ ইতিমধ্যেই নজিরবিহীন মাত্রায় থাকায় এই বৃদ্ধি উদ্বেগজনক। ১৯৯১ সালে ঘৃণাজনিত অপরাধ তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছিল এফবিআই। গত বছর সর্বোচ্চসংখ্যক এই ধরনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে এই সংস্থা।

শেয়ার করুন