০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ১১:৫৩:৪৭ পূর্বাহ্ন


শান্তির পাহাড়ে কুকি চিনের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৪-২০২৪
শান্তির পাহাড়ে কুকি চিনের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস কুকি চিনের লগো


বান্দরবানের থানচি ও রুমায় কয়েক দফা সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে যে দুশ্চিন্তা শুরু হয়, তাতে কিছুটা স্বস্থির নিঃস্বাস মিলছে। সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে মিডিয়ায় বলেন, ‘দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। এর ফল আপনারা সময়মতো পাবেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই, আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিষ্কার। বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ- সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’

মূল খবর হলো পাহাড়ে যৌথবাহিনীর কম্বিং অপারেশন এখন চলমান। সেখানে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীবাহিনীদের দমনে কম্বিং অপারেশন শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। গত রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন মাঠে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। 

সেখানে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘ইতোমধ্যে কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বাহিনী সম্মিলিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গোয়েন্দা তাদের মত করে কাজ করছে। বিজিবি কাজ করছে। র‌্যাব কাজ করছে। পুলিশ তার কাজ করছে। এটা একটা সমন্বিত কাজ। রাষ্ট্রের নীতির মধ্যে থেকে যে করনীয় সেটাই করা হচ্ছে। তিনি বলেন, তাদেরকে শুরুতে আমরা একটু বিশ্বাস করেছিলাম। যেহেতু শান্তির আলোচনা হচ্ছে। শান্তির মধ্যেই সব শেষ হবে। কিন্তু এরই মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অচিরেই জনগণের মাঝে শান্তির পরিবেশ ফিরে আসবে।’ এর আগে সেনাপ্রধান হেলিকপ্টারযোগে ঘটনবহুল বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলা পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, বান্দরবানের দুই উপজেলায় ১৭ ঘণ্টার মধ্যে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা, অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার অপহরণের ঘটনা ঘটে। এরপর ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী। পরে গভীর রাতে আলীকদম উপজেলায় পুলিশ ও সেনাদের একটি যৌথ তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এসব ঘটনায় কেএনএফ জড়িত বলে ধারণা পুলিশ ও স্থানীয়দের। এসব ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় ছয়টি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় পৃথক তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি, পুলিশ ও আনসারের অস্ত্র লুট, থানায় হামলা ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের অভিযোগ করা হয়েছে। 

জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথ অভিযানে অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে বলে আমি মনে করি। সেনাপ্রধান আরও বলেন, গত শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, আমি সেনাবাহিনীর পক্ষে বলতে পারি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পূর্ণরূপে সক্ষম এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। কারণ এই সন্ত্রাসের কোনো জায়গা বাংলাদেশে নেই। তিনি বলেন,অভিযান চলমান রয়েছে। এটা একটা সমন্বিত প্রচেষ্টা।’ 

চলছে একের পর এক গ্রেফতার 

এদিকে সর্বশেষ তথ্য অনুসারে কেএনএফের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানান আটক চেওসিম বম (৫৫) বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড শারন পাড়া এলাকার মৃত রোয়াল খুব বমের ছেলে। 

এরপর বান্দরবানে কম্বিং অপারেশনে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ১৮ নারীসহ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের ৪৯ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল রুমা ও থানছি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংক লুট এবং ম্যানেজার অপহরেন ঘটনায় এই পর্যন্ত ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ৮ মামলায় যৌথ বাহিনী রুমা, থানচি ও বান্দরবান সদরে অভিযান চালিয়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোট ৫৬ জনকে আটক করে পুলিশের কাছ হস্তান্তর করেছে বলে জানা গেছে।

কে এনএফ কারা, কিভাবে সন্ত্রাসী হয়ে উঠলো তারা 

পাহাড়ে সন্ত্রাস কার্যের ইতিহাস দীর্ঘ। এবং এগুলোর পরিচালনায় যে সকল সংগঠন রয়েছে এগুলোর একটির সঙ্গে অণ্যটির সম্পর্ক ওৎপ্রতভাবে জড়িত থাকার সম্ভাবনাই বেশি। বিভিন্ন তথ্যমতে, কেএনএফ এর প্রতিষ্ঠাতা ও মুল পরিচালনাকারী নাথান বম বাংলাদেশে বর্তমানে নেই। সীমান্তের ওপারে কোনো এক স্থানে থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নানা ঘটনা ঘটানোর নির্দেশ দিয়ে চলছেন তিনি। তবে জানা গেছে, নাথানের অবস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ২০০৮ সালে অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত কুকি-চিন জনগোষ্ঠীর শিক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন কুকি-চিন জাতীয় ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও)। সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের অনগ্রসর ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য রক্ষা করা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার রূপ বদলাতে থাকে। ২০১৭ সালের পর থেকে নতুন রূপ ধারণ করেন এর প্রতিষ্ঠাতা নাথান। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠা করেন কেএনএফ। 

অন্য এক সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) নামে সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন নাথান। ২০১৬ সালে সশস্ত্র একটি গ্রুপ তৈরি করেন। পরে কেএনডিওর বদলে কুকি-চিন ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স (কেএনভি) নাম দিয়ে কার্যক্রম চালান। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান নাথান বোম। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। এরপর ভারতের মণিপুর ও বার্মার চীন রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কেএনভির প্রথম ব্যাচে সংগঠনের শতাধিক সদস্যকে মণিপুরে প্রশিক্ষণে পাঠান। এরপর ১০০ সদস্যকে মণিপুর, বার্মার কারেন ও কাচিন রাজ্যে গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। ২০২০ সালে কেএনভির নাম বদলে কেএনএফ হয়। তাদের সশস্ত্র উইংয়ের নাম দেওয়া হয় কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)। 

কে এই নাথাম বম? 

পুরো নাম নাথান লনচেও বম। এখন পর্যন্ত রহস্যময় নাম। কেএনএফের দাবি, নাথান লনচেও বম কেএনএফের প্রধান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ নম্বর আসন বান্দরবান থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন নাথান বম। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, নাথান বম রুমা উপজেলার হেডের পাড়ার বাসিন্দা। বয়স আনুমানিক ৪২ বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। সেখান থেকে সম্পন্ন করেছেন স্নাতকোত্তর। নাথান এক সন্তানের জনক। তার স্ত্রী স্থানীয় এক স্কুলের শিক্ষক। পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনা কর্মী হিসেবে কাজ করেন। 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নাথান ছাত্রজীবন থেকে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রথমে যুক্ত ছিলেন সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদে। তবে ভাস্কর্য বিভাগের ছাত্র হিসেবে শিখেছিলেন ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ। পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর খাগড়াছড়ি শহরের মহাজন পাড়া এলাকায় লারমা স্কয়ারে এমএন লারমার একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করা হয় ২০০০ সালে। এরপর শিল্পী হিসেবে খ্যাতি বাড়ে। সে সময় হিল আর্টিস্ট গ্রুপেও যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি বম বিষয়ে লেখালেখি করেছেন। কুকি-চিনভুক্ত জাতিগোষ্ঠীর পরিচিতি নিয়ে ‘দ্য বমজৌ’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন। এছাড়া গবেষণামূলক আরও পাঁচটি বই প্রকাশিত হয়। এই কারণে নাথান লেখক হিসেবেও পরিচিত। 

কি চায় কুকি চিন 

রাঙ্গামাটির সাজেকের বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, বান্দরবানের উপকণ্ঠ থেকে চিম্বুক পাহাড়ের ম্রো অঞ্চল হয়ে রুমা রোয়াংছড়ি, থানছি, লামা ও আলীকদম- এই ৯টি উপজেলা নিয়ে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত একটি পৃথক রাজ্য সৃষ্টি করাই মূলত কেএনএফ এর প্রধান উদ্দেশ্য। তাদের দাবি, পার্বত্য চট্টগ্রামের পৃথক পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন। 

জানা গেছে, কুকি চিন জাতীয় ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) এনজিও’র আড়ালে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা সংগ্রহ করেছেন নাথান। সেই অর্থ দ্বারা অস্ত্র লেনদেনও করতো। আর্থিক সহায়তা ও সাবলম্বী হয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই কুকি চিন রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য সশস্ত্র আন্দোলনের পরিকল্পনা করে তারা। 

‘কুকি-চিন টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল’ নামে একটি পরিষদ গঠন করতে চায় এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, যার মাধ্যমে ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখতে চায়। এছাড়া কুকি-চিন আর্মড ব্যাটালিয়ন (কেএবি) নামে একটি সশস্ত্র বাহিনী করার দাবিও জানায়। গত শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ দাবি জানায় কেএনএফ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘কেএনএফ’ নামের একটি ফেসবুক পেজে দাবি সম্বলিত পোস্টটি করা হয়। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং ভারতের মিজোরামে বসবাসরত বম জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারের পালেতুয়া এলাকায় খুমি ও ম্রো জনগোষ্ঠীর লোকজনকে ফিরিয়ে আনা।’ এর আগে বান্দরবানে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির দুই দফায় মুখোমুখি সংলাপ হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি তৃতীয় দফা সংলাপ হওয়ার কথা থাকলেও এর আগেই মঙ্গলবার বান্দরবানের রুমায় ও বুধবার থানচিতে দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল 

তিনটি ব্যাংকে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়া সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করার কথা জানান তিনি। ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার পর শনিবার তিনি বান্দরবান সফর করেন। রুমা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, আনসার ব্যারাক, সোনালী ব্যাংক ও মসজিদ পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা একসময় খুব শান্তিপ্রিয় ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সন্ত্রাসীরা ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের মতো বড় ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে। এর আগেও এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছে। এসব কার্যক্রম আমরা বিনা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেব না। এদের পেছনে কোনো ইন্ধন আছে কি না, তা বের করে আনা হবে। ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে। 

সবশেষ

পার্বত্য এলাকা তথা পাহাড়িয়া এলাকায় অনেক সম্পদ রয়েছে এবং সেই সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য দরকার একটি স্থিতিশীল পরিবেশ। মিয়ানমারে সরকারবিরোধী তথা স্বাধীনতা কামী একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ব্যর্থ হচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ওই সংঘাতে বাংলাদেশের ভূ-খ-েও তাদের ছোড়া গেলায় মাঝে মধ্যে এসে পড়ছে। মানুষ নিহত হয়েছে। আতংক বিরাজ করছে। মিয়ানমারের বিস্ফোরণের আওয়াজ বাংলাদেশ বসে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। এমন একটি আতঙ্কজনক পরিস্থিতে কেএনএফের তৎপরতা সাদামাটা চোখে দেখার সুযোগ নেই। এই সংকট নিরসনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তা না হলে ওই এলাকার মানুষ শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারবে না। সেখানে স্থিতিশীল পরিস্থিতি বজায় থাকবে না একইভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও স্বস্থি থাকবে না। ফলে এ ধরনের অপতৎপরতা শক্তহাতে দমন করা যতদ্রুত সম্ভব ততই মঙ্গল।

শেয়ার করুন