২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৯:০০:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


২০২২-২৩ প্রস্তাবিত বাজেট কতটুকু উন্ননয়নবান্ধব
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৬-২০২২
২০২২-২৩ প্রস্তাবিত বাজেট কতটুকু উন্ননয়নবান্ধব বাজেটের এক নজরে একটি চিত্র/ছবি সংগৃহীত


মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ,ভর্তুকির চাপ সামাল দিয়ে উন্নয়ন ধারা বজায় রাখা বর্তমান কঠিন সময়ে বাজেট প্রণয়নের মূল চ্যালেঞ্জ এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য সকল দেশের মতোই জ্বালানি সংকট, নিত্যমূল্যের মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতির চাপ , ডলার সংকটে কঠিন সময় পার করছে। বাংলাদেশের জন্য যোগ করতে হবে কর্ম সংস্থান, দ্রব্য আমদানি কমিয়ে রপ্তানিকে প্রণোদনা, ট্যাক্স নেট বাড়ানো , অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ জোরদার করা। ব্যায় নিয়ন্ত্রণে কৃচ্ছতা সাধন। ৯ জুন ২০২২ জাতীয় পার্লিয়ামেন্টে ৬ লক্ষ ,৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার যে ভর্তুকি বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে সেটিতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কতটা বাস্তব সম্মত সেটি নিয়ে সন্দহ প্রকাশ করার অবকাশ আছে। 

প্রস্তাবিত বাজেট ২০২১-২২ বাজেট ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি এবং সংশোধিত বাজেট থেকে ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা বেশি। ২০২২-২৩ সালের বাজেট ছিল ৬ লক্ষ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার। নতুন বাজেটে আয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪ লক্ষ, ৩৮ হাজার কোটি টাকা।  জাতীয় রাজস্ববোর্ড ( এনবিআর) কর্তৃক আদায়ের লক্ষমাত্রা ৩ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা এবং এনবিআর বহির্ভুত আয় লক্ষমাত্রা ১৮ হাজার কোটি টাকা। করের বাইরে রাজস্ব আয় লক্ষমাত্রা প্রস্তাব করা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা। বলা যায় অভ্যন্তরীণ খাত  থেকে আয়ের লক্ষমাত্রা অতিমাত্রায় উচ্চ বিলাসী। লক্ষ্য অর্জন আদৌ হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। 

বাজেটের চুম্বক অংশ নিম্ন রূপ

মোট বায়  ৬,৭৮,০৬৪ কোটি টাকা , মোট আয় ৪,৩৩,০০০ কোটি টাকা , ঘাটতি ২,৪৫,০৬৪ কোটি টাকা।  প্রস্তাবিত বাজেটে অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশী সূত্র থেকে ঘাঁটিটি মেটানোর যে পরিকল্পনা করা হয়েছে সেটি অর্জন বিশাল চ্যালেঞ্জ হবে। 

বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় যা বলা হয়েছে সংক্ষিপ্ত আকারে সেটি হলো 

আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়া 

অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বিপুল ভর্তুকি 

দেশীয় শিল্প উৎসাহিত,আমদানি নিরুৎসাহিত 

প্রাক্কলিত মুদ্রাস্ফীতি ৫.৬% 

অর্থ মন্ত্রী ঘোষিত বাজেটে এই লক্ষ্য গুলো অর্জন কতটা লাগসই সেটি নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা প্রকৃত মূল্যস্ফীতি অন্তত ১০% । সেটি কিভাবে সামাল দেয়া হবে সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই। খাদ্য পণ্য, জ্বালানি বিদ্যুৎ সার খাতে বিপুল ভর্তুকি কিভাবে সংস্থান করা হবে সেই বিষয়টিও স্পষ্টীকরণ করা হয় নি। সকল সম্ভাব্য ক্ষেত্রে কৃচ্ছতার কথা বলা হলেও প্রস্তাবিত বাজেটে সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই।

বাংলাদেশ সংকটে পড়বে ডলার সংকট মোকাবিলায়। কম উপযোগিতার প্রকল্প গুলোর ধীর গতির কথা আগে বলা হলেও তার প্রতিফলন নেই বাজেটে। এই অযথায় প্রস্তাবিত বাজেট কিভাবে দরিদ্র শ্রেণীকে সুরক্ষা দিবে সেটি নিয়ে সংশয় আছে। অনেকেই বলছেন যারা বিদেশে বিপুল পরিমান অর্থ পাচার করেছে তাদের টাকা দেশে আনার সুযোগ এনে ডে মুক্তি দেয়ার সুযোগ দেয়ায়  নৈতিকতার প্রশ্ন উঠেছে। কর চার দেয়ার ক্ষেত্রে ধোনি অতি ধোনিদের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। গরিব আর প্রান্তিকদের জন্য বেশি কিছু দেয়া হয়নি।  তবে কৃষি , শিক্ষা এবং স্বাস্থখাতে কিছুটা বাড়তি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। 

অনেকেই বলছেন ধার করে ঘি খেতে চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী। 


শেয়ার করুন