২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৭:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


শেফ খলিলের ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়াড লাভ
লন্ডন থেকে হাবিব রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১১-২০২২
শেফ খলিলের ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়াড লাভ অ্যাওয়ার্ড হাতে মোহাম্মদ খলিলুর রহমান


যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট শেফ, খলিল বিরিয়ানি হাউসের স্বত্বাধিকারী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের অ্যাওয়ার্ডের পর শেফ খলিলুর রহমান ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড ২০২২ পেয়েছেন। ১৮তম এই আয়োজনের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বাইরে কোনো শেফ প্রথম এই অ্যাওয়ার্ড লাভ করলেন। দুই সহস্রাধিক আমন্ত্রিত অতিথি, অনেক এমপি, বিবিসিসহ অসংখ্য মূলধারার সাংবাদিকের উপস্থিতিতে শেফ খলিলের হাতে অ্যাওয়ার্ডটি তুলে দেন ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম এনাম আলীর ছেলে ও প্রতিষ্ঠানের ডাইরেক্টর জেফরি আলী।

উল্লেখ্য, শেফ খলিলুর রহমান এ বছরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। ব্যস্ততার কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পেরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক রেকর্ডে বক্তব্য পাঠান, যা উপস্থিত অতিথিদের শোনানো হয়।

অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দা মুনা তাসনিমসহ অনেক ব্রিটিশ সেলিব্রেটি উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিটিশ কারি ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে সবচেয়ে জমকালো, বর্ণাঢ্য এবং বৃহৎ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এই ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড। গত ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় ‘দ্য এভালুশন লন্ডন’-এ জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার হাতে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেয়া হয়।

কারি ইন্ডাস্ট্রির অস্কারখ্যাত এই ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের সূচনা হয়েছিলো এনাম আলীর হাত দিয়ে অভিজাত হোটেল গ্রোজভেনার হাউসে ২০০৫ সালে। জমকালো বর্ণাঢ্য আয়োজন, সেলিব্রেটি ব্যক্তিত্ব, ব্রিটিশ রাজনীতি এবং ব্যবসার প্রভাবশালীদের উপস্থিতি আলাদা একটি স্থানে নিয়ে গেছে ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডকে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড  ক্যামেরুন, লেবার লিডার, হোম সেক্রেটারি উপস্থিত হয়েছেন একাধিকবার। মন্ত্রী, এমপি, মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার প্রভাবশালী সম্পাদক, সাংবাদিক, ডিরেক্টররা এবং কমিউনিটি মিডিয়া ও সমাজের বিশিষ্টজনের উপস্থিতিও ছিলো নিয়মিত। লিজেন্ডারি সাংবাদিক ট্রেভেল ম্যাকডোনাল্ড থেকে শুরু করে হো ওয়ান্ট টু বি এ মিলিয়নিয়ারখ্যাত ক্রিস টারেনসহ সেরা সেলিব্রেটিরা থেকেছেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায়। ব্রিটিশ ক্যালেন্ডারের অন্যতম সেরা ইভেন্ট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এই আয়োজন।

এ বছর মার্চ মাসে এনাম আলী মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে ছাড়াই এবারের অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড চালু হবার পর থেকে বিশ্বমানের এই অনুষ্ঠানটি প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন এনামর সুযোগ্য কন্যা জাস্টিন আলী। সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছেন এনাম আলীর যোগ্য উত্তরসূরি তাঁর ছেলে জেফরি আলী।

অনুষ্ঠানে শেফ খলিলের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের প্রবর্তক মরহুম এনাম আলী স্মরণে ১মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে একটি সুদৃশ্য স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের সকলকে ব্ল্যাক টাই ডিনারে আপ্যায়ন করা হয়।

শেয়ার করুন